নবম শ্রেণীর বাংলা নাটক ধীবর বৃত্তান্তর (কালিদাস) গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর । Wbbse Class 9 Bengali

0

নবম শ্রেণীর বাংলা নাটক ধীবর বৃত্তান্তর (কালিদাস) গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর । Wbbse Class 9 Bengali

ধীবর বৃত্তান্ত - নাটক - কালিদাস | নবম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্নোত্তর। Nobom Shrenir Bangla Kalidas Rochito Natok Dhibor Britanto 

Wbbse Class 9 Bengali Dhibor Britanto (নাটক - ধীবর বৃত্তান্ত) Question Answer In Bengali ধীবর বৃত্তান্ত নবম শ্রেণির বাংলা নাটকর গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নক্লাস 9 (Class 9) বাংলা বিষয়ের নাটক ধীবর বৃত্তান্তর প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে চলে এসেছি তোমাদের সামনে।নবম শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের নাটক ধীবর বৃত্তান্তর (class 9 Bengali suggestion 2024) নিচের দেওয়া প্রশ্ন গুলি তোমাদের জন্য অনেক অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ (Very Very Important)এই প্রশ্নগুলি পরীক্ষায় আসার সম্ভাবনাও অনেক বেশি থাকে। তাই ক্লাস 9 বাংলা বিষয়ের নাটক ধীবর বৃত্তান্তর (Wbbse Class 9 Bengali Natok Dhibor Birtanto) প্রশ্নের উত্তর গুলি তোমরা ভালো করে পড়তে থাকো। আশা করি ক্লাস  9 বাংলা বিষয়ের নাটক ধীবর বৃত্তান্তর  প্রশ্ন উত্তর গুলি তোমাদের অনেক সাহায্য করবে। এখানে MCQ ,SAQ , সংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী সব রকমের প্রশ্নের আলোচনা করা হলো।

নবম শ্রেণীর বাংলা সাজেশান। Wbbse Class 9 Suggestions Bengali ।Nobom Shrenir Bangla Sagestion

Multiple Choice Question (MCQ) প্রশ্নোত্তর । প্রতিটি প্রশ্নের মান – 1 । নবম শ্রেণীর বাংলা নাটক ধীবর বৃত্তান্তর গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর । Wbbse Class 9 Bengali

1. 'ধীবর বৃত্তান্ত ' নাটকটির রচয়িতা হলেন ---

A)   বাল্মীকি

B)   কাশীরাম দাস

C)   কালিদাস

D)   জয়দেব

উত্তর: কালিদাস ।

2. পাঠ্য ' ধীবর বৃত্তান্ত' সাহিত্য সংরূপের দিক থেকে এটি ----

A)   নাটিকা

B)   গল্প

C)   প্রবন্ধ

D)   উপন্যাস

উত্তর: নাটিকা ।

3. কালিদাস যে রাজার সভাকবি ছিলেন তিনি হলেন---

A)   শশাঙ্ক

B)   হর্ষবর্ধন

C)   দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত

D)   লক্ষণ সেন

উত্তর: দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত ।

4. শকুন্তলার পিতার নাম কী?

A)   মহর্ষি দুর্বাসা

B)   মহর্ষি বিশ্বামিত্র

C)   মহর্ষি গৌতম

D)   মহর্ষি কণ্ব

উত্তর: মহর্ষি বিশ্বামিত্র।

5. শকুন্তলার পালক পিতার নাম কী?

A)   মহর্ষি দুর্বাসা

B)   মহর্ষি বিশ্বামিত্র

C)   মহর্ষি গৌতম

D)   মহর্ষি কণ্ব

উত্তর: মহর্ষি কণ্ব।

6. শকুন্তলার দুই সখীর নাম কী?

A)   জয়া - বিজয়া

B)   ডাকিনী - যোগিনী

C)   অনসূয়া - প্রীয়ংবদা

D)   অরুন্ধতী - চিত্রাঙ্গদা

উত্তর: অনসূয়া - প্রীয়ংবদা ।

7. শকুন্তলা থাকতেন---

A)   দুর্বাসা মুনির আশ্রমে

B)   কণ্ব মুনির তপোবনে

C)   বিশ্বামিত্র মুনির তপোবনে

D)   বাল্মীকি মুনির তপোবনে

উত্তর: কণ্ব মুনির তপোবনে।

8. শকুন্তলার স্বামীর নাম কী?

A)   রাজা দশরথ

B)   রাজা দুষ্মন্ত

C)   রাম

D)   কৃষ্ণ

উত্তর: রাজা দুষ্মন্ত ।

9. শকুন্তলার আংটি হারিয়ে যাই --

A)   স্নানের সময়

B)   অঞ্জলি দেবার সময়

C)   ফুল তোলার সময়

D)   বস্ত্র পরিধানের সময়

উত্তর:অঞ্জলি দেবার সময়

10. শকুন্তলার আংটি টি কে পেয়েছিল?

A)   কুমোর

B)   ধীবর

C)   মালি

D)   পুরোহিত

উত্তর: ধীবর।

11. দুই রক্ষীর নাম কী?

A)   জয় - বিজয়

B)   জানুক - সূচক

C)   অমল - বিমল

D)   শুভ - নিশুভ

উত্তর: জানুক - সূচক।

12. "শুনুন মহাশয়, এরকম বলবেন না ।"--- এই উক্তিটির বক্তা ---

A)  মহারাজা

B)   রাজ্যশ্যালক

C)   পুরুষ

D)   প্রথম রক্ষী

উত্তর: পুরুষ।

13. ধীবর জানায় আংটিটি সে---

A)   কুড়িয়ে পেয়েছে।

B)   মাছের পেট থেকে পেয়েছে।

C)   চুরি করেছে।

D)   পুরস্কার পেয়েছে।

উত্তর: মাছের পেট থেকে পেয়েছে।

14. দুই রক্ষী ধীবর কে বলেছিল--

A)   জোচ্চোর

B)   পাপী

C)   গাঁটকাটা

D)   শয়তান

উত্তর:  গাঁটকাটা।

15. রাজ্যের আইন অনুযয়ী মৃত্যুদণ্ডের আগে  আসামীকে---

A)   ফুলের মালা পরানো হয়।

B)   কাঁটার মুকুট পরানো হয়।

C)   ক্রুশবিদ্ধ করা হয়।

D)   কোমরে দড়ি বেঁধে ঘোরানো হয়।

উত্তর: ফুলের মালা পরানো হয়।

16. আংটির বিনিময়ে রাজা ধীবর কে--

A)   স্বর্ণমুদ্রা দেয়

B)   মণিমানিক্য দেয়

C)   শাস্তি দেয়

D)   আংটির সমমূল্য এর অর্থ দেয়

উত্তর: আংটির সমমূল্য এর অর্থ দেয়।

17. অঙ্গুরীয় দেখে রাজার ---

A)   পূর্বের কথা মনে পড়েছিল

B)   ধীবরকে চোর সাব্যস্ত করেছিল

C)   নির্বিকার ছিল

D)   উপরের কোনোটিই নয়

উত্তর: পূর্বের কথা মনে পড়েছিল।

একটি  বাক্যে উত্তর দাও। প্রতিটি প্রশ্নের মান – 1 । নবম শ্রেণীর ক্লাস নাইনের ধীবর বৃত্তান্ত। Wbbse Class 9 Dhibor Britanto Question & Answer in Bengali

1. ' ধীবর বৃত্তান্ত' নাট্যাংশটি কার লেখা?

উত্তর: 'ধীবর বৃত্তান্ত' নাট্যাংশটি প্রখ্যাত সংস্কৃত কবি কালিদাসের রচনা। রচনাটির মূল ভাষা সংস্কৃত। এটি বাংলা ভাষায় অনূদিত হয়েছে ।

2. 'ধীবর বৃত্তান্ত' নাট্যাংশটির তরজমা কে করেছেন?

উত্তর: 'ধীবর বৃত্তান্ত' নাট্যাংশটি বাংলায় তরজমা করেছেন সত্যনারায়ণ চক্রবর্তী।

3. শকুন্তলা কে?

উত্তর: শকুন্তলা হলো ঋষি বিশ্বামিত্র ও অপ্সরা মেনকার কন্যা। কিন্তু তিনি মহর্ষি  

কণ্বের আশ্রমে প্রতিপালিত হন।

4. ঋষি দুর্বাসা কেনো শকুন্তলাকে অভিশাপ দিয়েছিলেন?

উত্তর: রাজা দুষ্মন্ত এর চিন্তায় অন্যমনস্ক শকুন্তলা তপোবনে আসা দুর্বাসা কে লক্ষ্য করেনি। সামান্য আশ্রম কন্যার উপেক্ষা সহ্য করতে না পেরে ক্রোধান্বিত ও অপমানিত দুর্বাসা শকুন্তলাকে অভিশাপ দিয়েছিলেন।

5. ঋষি দুর্বাসা শকুন্তলাকে কী অভিশাপ দিয়েছিলেন?

উত্তর: ঋষি দুর্বাসা শকুন্তলাকে অভিশাপ দিয়েছিলেন যে, যার চিন্তায় সে মগ্ন , সেই বেক্তি তাকে ভুলে যাবে।

6. শেষপর্যন্ত ঋষি দুর্বাসা শকুন্তলার শাপমুক্তির কী পথনির্দেশ করেন?

উত্তর: শকুন্তলার সখী প্রীয়ংবদার অনুরোধে ঋষি দুর্বাসা শকুন্তলার সাপমুক্তির উপায় হিসেবে বলেন যে, শকুন্তলা রাজাকে তাদের সম্পর্কের কোনো নিদর্শন বা প্রমাণ দেখালে রাজার সব মনে পড়বে।

7. শকুন্তলার কাছে রাজা দুস্মন্তের কোন নিদর্শন ছিল?

উত্তর: রাজা দুস্মন্ত তাঁর রাজধানীতে ফিরে যাবার সময় শকুন্তলাকে একটি রত্নখচিত , নিজ নামাঙ্কিত , বহুমূল্য আংটি দেন। সেটাই ছিল তার নিদর্শন।

8. রাজা দুষ্মন্ত শকুন্তলাকে চিনতে পারেনি কেন?

উত্তর: পতিগৃহে যাত্রাপথে শচীতীর্থে স্নানের পর অঞ্জলি দেওয়ার সময় রাজা দুষ্মন্তের স্মারক - নিদর্শন আংটি টি শকুন্তলার হাত থেকে জলে পড়ে যাই । নিদর্শন হিসাবে আংটি না দেখতে পারার কারণে দুস্মন্ত তাকে চিনতে পারেননি ।

9. আত্মপরিচয় দিতে ধীবর কী কী বলেছিলো ?

উত্তর: ধীবর তার আত্ম পরিচয় দিতে গিয়ে বলেছিলো সে একজন জেলে , তার শক্রাবতারে ।

10. প্রথম ও দ্বিতীয় রক্ষ্মীর নাম কী?

উত্তর: প্রথম ও দ্বিতয় রক্ষীর নম হলো সূচক ও জানুক ।

11. নিজের বৃত্তির সমর্থনে ধীবর কী উদহারণ দিয়েছিলো?

উত্তর:  নিজের বৃত্তির সমর্থনে ধীবরের উদাহরণ হলো -- বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণ স্বভাবে দয়াবান । কিন্তু যজ্ঞয় পশুবধের সময়ে তিনিই নির্দয় ব্যাক্তি হয়ে যান।

12. শকুন্তলার হাতের আংটি কীভাবে ধীবরের হস্তগত হয় ?

উত্তর: নিজের শিকার করা একটি রুই মাছ খন্ড করে কাটার সময় ধীবর তার পেটের মধ্যে শকুন্তলাকে দুষ্মন্তের উপহার দেওয়া মণিমুক্তায় ঝলমলে আংটিটি পায় ।

13. প্রথম রক্ষীর হাত নিশপিশ করছিল কেনো?

উত্তর: প্রথম রক্ষীর হাত নিশপিশ করছিল কারণ, জেলেকে মারবার আগে যে মালা পরানো হবে তা গাঁথার জন্যে ।

14. পাঠ্যাংশের শেষে রাজশ্যালক ধীবরকে কী বলে স্বীকার করেছিলেন?

উত্তর: পাঠ্যাংশের শেষে রাজশ্যালক ধীবরকে তার একজন বিশিষ্ট প্রিয় বন্ধু বলে স্বীকার করেছিলেন।

 15. ধীবর কিভাবে আংটি সমেত ধরা পরে ?

উত্তর: রুই মাছের পেট থেকে বহুমূল্য আংটি পেয়ে যখন ধীবর সেটি বিক্রির জন্য লোককে দেখাচ্ছিল ,তখনই সে ধরা পড়ে ।

16. রাজশ্যালক রাজবাড়ি থেকে ফিরে এসে রক্ষীদের কী নির্দেশ দিয়েছিলেন ?

উত্তর : রাজশ্যালক রাজমহল থেকে ফিরে রক্ষীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন , ধীবরকে যেন ছেড়ে দেওয়া  হয় , কারণ আংটিটির বেপার সে যা বলেছে তা সত্য ।

17. আংটি হতে পেয়ে রাজা দুষ্মন্ত কেমন আচরণ করেছিলেন?

উত্তর: স্বভাবগত গম্ভীর প্রকৃতির রাজা আংটি হতে পেয়ে মুহূর্তের জন্য সেদিকে বিহ্বলভাবে তাকিয়েছিলেন।

18. রক্ষী জানুক রাজশ্যালকের রাজসেবাকে ব্যঙ্গ দৃষ্টিতে কীভাবে ব্যাখ্যা করেছে?

উত্তর: রাজশ্যালক রাজসেবা করতে গিয়ে জেলেকে পারিতোষিক এনে দিয়েছেন। এতে রক্ষী জানুক হিংসার তাড়নায় বলেছে, এ আসলে রাজ সেবা না জেলের সেবা।

নবম শ্রেণীর বাংলা নাটক ধীবর বৃত্তান্তর (কালিদাস) গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর । West Bengal Board Class 9 Bangla 

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন গুলির উত্তর দাও। প্রতিটি প্রশ্নের মান – 3 

1. ঋষি দুর্বাসা শকুন্তলার কোন আচরণে অপমানিত হয়েছিলেন ? তারপর কী হয়েছিল ?

উত্তর : কলিদাস রচিত 'ধীবর- বৃত্তান্ত' নাট্যাংশে উল্লিখিত  মহর্ষি কণ্বের তপোবনে অতিথি পর্যায়ের দায়িত্ব আশ্রমকন্যা শকুন্তলার উপর । অথচ মহামুনি দুর্বাসা তপোবনে এলে শকুন্তলা আত্মচিন্তায় মগ্ন থাকায় মুনির মুনির উপস্থিতি বুঝতে পারেনি। নিজের দায়িত্ব পালনে অসমর্থ শকুন্তলার এই উপেক্ষায় অপমানিত হয়েছিলেন ঋষি দুর্বাসা।

ঋষি দুর্বাসা শকুন্তলার আচরণে অত্যন্ত কুপিত হয়ে শকুন্তলাকে অভিশাপ দিয়েছিলেন যে, যার চিন্তায় শকুন্তলাকে অভিশাপ দিয়েছিলেন যে, যার চিন্তায় শকুন্তলা আত্মমগ্ন সেই ব্যাক্তিকে স্মরণ করিয়ে দিলেও তিনি শকুন্তলাকে চিনতে পারবেন না ।

এরপর শকুন্তলার প্রিয় সখী প্রিয়াংবদার অনুরোধে ঋষি দুর্বাসা তার অভিশাপ খণ্ডনের উপায় বলে দিয়েছিলেন।

2. মহর্ষি কণ্বের অনুপস্থিতিতে তপোবনে কী ঘটেছিলো? ফিরে এসে তিনি কীসের আয়োজন করেছিলেন?

উত্তর: মহর্ষি কণ্ব তীর্থে যাওয়ার পর পুরুবংশীয় দুষ্মন্ত শিকারে ক্লান্ত হয়ে কণ্বের আশ্রমে বিশ্রাম নেওয়ার জন্যে এসেছিলেন। সেখানে অথিতি সেবায় নিযুক্ত কণ্বের পালিত কন্যা শকুন্তলার রূপে মুগ্ধ হয়ে তিনি শকুন্তলাকে গন্ধর্বমতে বিবাহ করেন । বিবাহের কিছু পরেই রাজা শকুন্তলাকে আশ্রমে রেখে নিজ রাজধানীতে ফিরে গিয়েছিলেন।

        মহর্ষি কণ্ব তীর্থ থেকে ফিরে শকুন্তলার বিবাহ সম্পর্কে জানেন ও তাকে স্বামী গৃহে পাঠানোর ব্যাবস্থা করেন।

নবম শ্রেণীর বাংলা নাটক ধীবর বৃত্তান্তর (কালিদাস) গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর । Wbbse Class 9 Bengali

3. শকুন্তলা কীভাবে রাজা দুষ্মন্ত রাজ্যসভায় অপমানিত হয়েছিলেন?

উত্তর: দুর্বাসা মুনির অভিশাপ অভিশপ্ত শকুন্তলার স্বামী স্বীকৃতি পাওয়ার একমাত্র অবলম্বন ছিল রাজার দেওয়া আংটি । শচীতীর্থে স্নানের পর সেটি হারিয়ে শকুন্তলার যখন রাজা দুষ্মন্তের রাজধানীতে পৌঁছান তখন রাজা তাকে চিনতে পারেননি । দুর্বাসার অভিশাপ অনুযায়ী কোনো নিদর্শন না দেখাতে পারলে রাজা তাকে ভুলে যাবেন । তাই কোনো রাজ - নিদর্শন দেখিয়ে স্ত্রীর দাবি  প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি শকুন্তলা । এই কারণে তিনি রাজ্যসভায় অপমানিত হন।

4. ' ধীবর বৃত্তান্ত' নাট্যাংশে ধীবরের নিজের মুখে পাওয়া পরিচয় লেখো ।

উত্তর: 'ধীবর বৃত্তান্ত' নাট্যাংশে ধীবরের নিজের মুখের পাওয়া পরিচয় খুবেই সংক্ষিপ্ত । আলোচ্য নাটকটির প্রধান চরিত্র এই ধীবর একজন অতিসাধারণ , সরল , দরিদ্র বেক্তি । সে শক্রাবতারে  থাকে । জাল, বঁড়শি সহযোগে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে । তাকে ' চোর ' অপবাদ দিয়ে ধরে নিয়ে এলেও সে চোর নয় । মাছের পেট কেটে সে রাজ নামাঙ্কিত আংটি পেয়েছে এই দাবিই ধীবর প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে ।

5. নিজের বৃত্তি বা পেশা সম্পর্কে 'ধীবর বৃত্তান্ত' নাট্যাংশে ধীবরের ধারণা কেমন ছিল?

উত্তর: পেশা বা জীবিকা প্রত্যেক মানুষের জীবনেই অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ । কালিদাস রচিত 'ধীবর বৃত্তান্ত' নাট্যাংশের প্রধান চরিত্র ধীবর একজন অতি সাধারণ জেলে। তার বৃত্তি ছিল জাল , বঁড়শি সহযোগে মাছ ধরা ও তা বিক্রি করা । ধীবর তার পেশার প্রতি ছিল দায়িত্ব সচেতন এবং কর্তব্যনিষ্ঠ । রাজশ্যালক ও রক্ষীরা তাকে চোর অপবাদ দিলে এবং তার পেশা নিয়ে বিদ্রুপ করলে ধীবর জানায় , সে নির্দোষ । মাছ ধরা তার জীবিকা। যে বৃত্তি নিয়ে সে জন্মেছে তা বৃহত্তর সমাজে নিন্দনীয় হলেও তা সে কখনোই পরিত্যাগ করতে পারবে না।

6. " এখন মারতে হয় মারুন , ছেড়ে দিতে হয় ছেড়ে দিন।" --- আলোচ্য উক্তিটির তাৎপর্য বাখ্যা করো।

উত্তর: কালিদাস রচিত 'ধীবর বৃত্তান্ত' নাট্যাংশের মুখ্যচরিত্র ধীবর নগর রক্ষায় নিযুক্ত রাজশ্যালক ও রক্ষীদের উদ্ধৃত উক্তিটি করেছে । মৎসজীবী  ধীবর মাছ কেটে রাজনামাঙ্কিত বহুমূল্য আংটি পেয়ে তা বিক্রির জন্য জন সমক্ষে  দেখাতে থাকেন। কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে মূল্যবান রাজসম্পদ দেখে চোর সন্দেহে ধীবর কে আটক করেন নগররক্ষীরা নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার চেষ্টা করে ঊর্ধ্বতন নগররক্ষীদের বহু লাঞ্ছনা গঞ্জনার শিকার হয় ধীবর। নানা বাধা পেরিয়ে আংটি পাওয়ার ঘটনা বর্ণনা করে ধীবর দৃঢ়তার সঙ্গে জানায় এর পর বিচার  নগররক্ষীদের হাতে।

7. 'ধীবর বৃত্তান্ত' নাট্যাংশে ধীবরের প্রতি রক্ষীদ্বয়ের নিষ্ঠুর ভাবনা কীভাবে ফুটে উঠেছে।

উত্তর: কালিদাসের 'ধীবর বৃত্তান্ত' নাট্যাংশে শেষ বিচারের আগে রক্ষীরা চুরির অপরাধে ধৃত ধীবরের সঙ্গে যথেষ্ট নিষ্ঠুর ব্যবহার করে । রক্ষীরা ধীবর কে ' ব্যাটা বাটপাড় ' , 'চল রে গাঁট কাটা' ইত্যাদি সম্বোধন করা ছাড়াও , তার কঠোরতম শাস্তি কামনা করছে। প্রথম রক্ষী বলেছে-- " একে মরার আগে এর গলায় যে ফুলের মালা পরানো হবে , তা গাঁথতে আমার হাত দুটো এখনই নিশপিশ করছে"। দ্বিতীয় রক্ষী ভেবেছে শাস্তি দিতে ধীবরকে হয়তো শকুন বা কুকুর দিয়ে খাওয়ানো হবে ।

8. রাজশ্যালকের কথনে আংটি ফায়ার পেয়ে রাজার আচরণ কেমন হয়েছিল?

উত্তর: কালিদাসের ' ধীবর বৃত্তান্ত' নাট্যাংশের সামান্য পরিসরে রাজার অস্তিত্ব সামান্য দেখানো হয়েছে । আংটি ফিরে পেয়ে রাজা ধীবর কে যে পরিমাণ পারিতোষিক দিয়েছেন , তা থেকে রক্ষী জনুকের মনেহয়, আংটিটি রাজার ভীষণ প্রিয় ছিল। রাজশ্যালক সে প্রসঙ্গে জানান রত্নখচিত বলে যে আংটিটি রাজার কাছে মূল্যবান এমন তার মনে হয়নি। বরং স্বভাব গম্ভীর রাজা আংটি দেখে সাময়িক বিহ্বল হয়ে যান। তার থেকে মনে হয় রাজার কোনো প্রিয়জনের কথা মনে পড়েছিল।

 নবম শ্রেণীর বাংলা নাটক ধীবর বৃত্তান্তর (কালিদাস) গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর । Wbbse Class 9 Bangla Natok Dhibor Britanto Proshno O Uttor

রচনা ধর্মী প্রশ্নগুলির উত্তর দাও। প্রতিটি প্রশ্নের মান – 5 

1. 'ধীবর বৃত্তান্ত' নাট্যাংশ অবলম্বনে ধীবর চরিত্রটি বিশ্লেষণ করো।

2. 'ধীবর বৃত্তান্ত' নাট্যাংশের সংলাপ - ভাষা ও উপমা প্রয়োগে নাট্যকারের দক্ষতার পরিচয় দাও ।

3. 'ধীবর বৃত্তান্ত' নাট্যাংশে রাজশ্যালক ও রক্ষীরা ধীবরের প্রতি প্রাথমিক ব্যাবহার করেছিল আলোচনা করো।

4. 'ধীবর বৃত্তান্ত' নাট্যাংশে ধীবরবকে চোর সন্দেহে কারা ধরেছিলো? শেষপর্যন্ত ধীবরের কী পরিণতি হয়েছিল ?

5. একটি আংটিকে কেন্দ্র করে ঘটনার প্রবাহ যেভাবে আবর্তিত হয়েছে 'ধীবর বৃত্তান্ত' নাট্যাংশ অবলম্বনে তার বর্ণনা দাও।

6. " সখীরা মনে করলেন সেই অংটিই হবে ভবিষ্যতের স্মারকচিহ্ন "। --- এখানে কোন আংটির কথা বলা হয়েছে? সেই আংটি কীভাবে ' স্মারকচিহ্ন' হতে পারে? আংটিটি কীভাবে হারিয়ে গিয়েছিল?

7. "আপনারা শান্ত হন। আমি এরকম কাজ (চুরি) করিনি।"--- কার উক্তি ? বক্তা কোন কাজ করেনি? উক্তিটির মধ্যে দিয়ে বক্তা কী বোঝাতে চেয়েছেন?

8. " যে বৃত্তি নিয়ে যে মানুষ জন্মেছে , সেই বৃত্তি নিন্দনীয় হলেও তা পরিত্যাগ করা উচিত নয়।" -- উক্তিটি কার? কোন প্রসঙ্গে এই উক্তি ? উক্তিটি তে যে দর্শন ফুটে উঠেছে তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও ।

9. " এখন মারতে হয় মারুন , ছাড়তে হয় ছেড়ে দিন।"--- কার উক্তি? কোন পরিপ্রেক্ষিতে বক্তা এই উক্তি করেছিলেন? বক্তা কেনো এতো জোরের সঙ্গে এমন উক্তি করেছেন?

10. " প্রভু , অনুগৃহীত হলাম।" --- ' প্রভু' কে ? কোন প্রসঙ্গে এই উক্তি? বক্তার এতো বিনিময়ের কারণ কী?

11. " মুহূর্তের মধ্যে রাজা বিহ্বলভাবে চেয়ে রইলেন ।" -- রাজা কে? প্রসঙ্গ উল্লেখ করো। রাজার বিহ্বল হওয়ার কারণ কী?

12. " এ কী যা তা অনুগ্রহ! এ যে শূল থেকে নামিয়ে একেবারে হাতির পিঠে চড়িয়ে দেওয়া হলো।"--- বক্তা কে? প্রসঙ্গ নির্দেশ করো। উপমাতির স্বরূপ উদঘাটন করো।

Frequently Asked Questions

Q) প্রথম ও দ্বিতীয় রক্ষীর নাম কী?

Ans: প্রথম ও দ্বিতীয় রক্ষীর নাম হলো সূচক ও জানুক।

Q) শকুন্তলার দুই সখীর নাম কী?

Ans: অনুসূয়া ও প্রিয়ংবদা।

Q) শকুন্তলা কোন ঋষির কাছে প্রতিপালিত হয়েছেন?

Ans: মহর্ষি কণ্ব।

Q) শকুন্তলাকে কে অভিশাপ দিয়েছিলেন?

Ans: ঋষি দুর্বাসা।

Q) শকুন্তলার স্মৃতিচিহ্নস্বরূপ আংটিটি কোথায় হারিয়ে যায়?

Ans: শচীতীর্থে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

Enter Your Comment

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)