Class 9 Bengali 3rd Unit Test Question Paper 2024। তৃতীয় ইউনিট টেস্ট বাংলা প্রশ্ন নবম শ্রেণী

0
Class 9 Bengali 3rd Unit Test Question Paper 2024। তৃতীয় ইউনিট টেস্ট বাংলা প্রশ্ন নবম শ্রেণী

Class 9 Bengali Final Exam Suggestion। নবম শ্রেণি তৃতীয় ইউনিট টেস্ট বাংলা প্রশ্ন

পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদের(West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE)) অন্তর্গত নবম শ্রেণীর বাংলা তৃতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন( West Bengal Board Class 9 Bengali Third Unit Test) ছাত্রছাত্রীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। পশ্চিমবঙ্গ বোর্ডের নবম শ্রেণীর তৃতীয় ইউনিট টেস্টের বাংলা প্রশ্নপত্র(Class 9 Bengali 3rd Unit Test Suggestion 2024) পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা তৃতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন বাংলা নবম শ্রেণীর পরীক্ষার দক্ষতা বাড়িয়ে তুলতে পারে। এর জন্য শিক্ষার্থীদের ক্লাস 9 বাংলা বিষয়ের মডেল প্রশ্নপত্র অনুশীলন(Bengali 3rd Unit Test Question Paper), প্রশ্নপত্র অনুশীলন এবং প্রশ্ন ও উত্তর পর্যালোচনার উপর মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।প্রশ্নপত্র অনুশীলন(Class 9 Bengali 3rd Unit Test Question Paper) শিক্ষার্থীদের জন্য পূর্ণাঙ্গ সহায়তা প্রদান করে, যাতে তারা নবম শ্রেণীর তৃতীয় ইউনিট টেস্টের বাংলা বিষয়ের(WBBSE Class 9 Bengali 3rd Unit Test Question) পরীক্ষার জন্য সঠিকভাবে প্রস্তুতি নিতে পারে। তাই তোমাদের জন্য Info Educations নিয়ে এসেছে নবম শ্রেণীর তৃতীয় ইউনিট টেস্টের বাংলা বিষয়ের প্রশ্নপত্র(Class 9 Bangla 3rd Unit Test Suggestion 2024) ও তার বিস্তারিত সমাধান (Class 9 Bangla 3rd Unit Test Question Paper 2024 with Answer)এরকম আরও অন্যান্য বিষয়ের(Class 9 Third Summative Evaluation Exam All Subject) প্রশ্ন ও তার বিস্তারিত সমাধান পাওয়ার জন্য আমাদের Website কে আরও বেশি বেশি করে Follow করো। 

Class 9 Bengali Questions Third Unit Test 2024নবম শ্রেণীর তৃতীয় ইউনিট টেস্টের বাংলা বিষয়ের প্রশ্নপত্র 2024

শ্রেণী

নবম

বিষয়

বাংলা

পূর্ণমান

৯০

সময়

৩ ঘন্টা ১৫ মিনিট

WBBSE Class 9 Bengali Third Unit Test Question 2024

নবম শ্রেণীর বাংলা সাজেশন 2024

Class 9 Question Paper

Bengali

১। সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো : × ১৮ = ১৮

. একদল আত্মীয় অনেক দূর থেকে এসে তার বাড়িতে অতিথি হল কার কাছে আত্মীয় এসেছিল ?

() ইলিয়াসের কাছে

() শালুক ফুলের মতো

() মহম্মদ শার কাছে

() ইলিয়াসের মেয়ের কাছে

. এবার তার স্বরে কাতরতাকার স্বরে কাতরতা ?

() শোভনের বাবার

() শোভনের

() সোমেশের

() শোভনের মায়ের

. 'কামরাঙা লালমেঘকার মতো গঙ্গাসাগরের ঢেউয়ে ডুবে গেছে ?

() সাদা বকের মতো

() মৃত মনিয়ার মতো

() মাছরাঙা পাখির মতো

() চারমিনারের ভিত্তি

. নটে গাছটি বুড়িয়ে ওঠে , কিন্তু -- 

ক) মরে না।

খ) মুড়য় না।

গ) ফুরোয় না।

ঘ) নেভে না।

উত্তর: খ) মুড়য় না।

. বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যসৃষ্টি তার

() বাউল গানে

() পদাবলি কীর্তনে

() সিনোজয়িক

() ইওসিন

. ' ভুজঙ্গ ' শব্দের অর্থ --

ক) ব্যাঙ

খ) সাপ

গ) টিকটিকি

ঘ) পাখি

. আত্মনির্ভরশীল ভাষা হলো --

ক) বাংলা

খ) হিব্রু

গ) হিন্দি

ঘ) ইংরেজি

. চোখ ধাঁধানো সবুজ আলো আর বিকট শব্দকী দিয়ে পরীক্ষার সময় প্রফেসর শঙ্কুর এমন অভিজ্ঞতা হয়েছিল ?

() ট্যানট্রাম বোরোপ্যাক্সিনেট

() একুইয়স্

. নভেম্বর মাসে সারা বিশ্বের পক্ষীবিজ্ঞানীদের কনফারেন্স হওয়ার কথা যে শহরে-

() প্যারিস

() বার্লিন

.১০ প্রফেসর শঙ্কুর বন্ধু সন্ডার্স কোন্ রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন ?

() লিউকোমিয়া

() মেনেনজাইটিস্

.১১ কণ্ঠ্যতালব্য স্বরধ্বনিটি হল-

() ''

() ফুসফুসের ক্যান্সার

() যকৃতের ক্যান্সার

()

.১২ স্পর্ধা> আস্পর্ধা -- এখানে কোন জাতীয় ধ্বনি পরিবর্তন ঘটেছে ?

ক) আদি স্বরাগম

খ) মধ্য স্বরাগম

গ) অন্ত স্বরাগম

ঘ) ব্যঞ্জনালোপ

.১৩বাগাড়ম্বর' শব্দের সঠিক সন্ধিবিচ্ছেদ হল

() বাগ + আড়ম্বর

() বাগা + ডুম্বর

() বাক্ + ডুম্বর

() বাক + আড়ম্বর

.১৪ তির্যক বিভক্ত হল --

ক) ই

খ) অ

গ) এ

ঘ) র

.১৫ একটি তামিল শব্দ হল

() ঘুগনি

() বর্গি

() কচুরি

() চুরুট

.১৬সেদিন কোথায় তুমি হে ভাবুক, হে বীর মারাঠী।ভাবুক শব্দটি

() বিশেষ্যের বিশেষণ

() বিশেষণের বিশেষণ

() সর্বনামের বিশেষণ

() সংখ্যা বিশেষণ

.১৭ সমুদ্রের ঢেউয়ের মতন তার মননিম্নরেখ পদটি কী জাতীয় অব্যয় ?

() উপমাদ্যোতক

() হেতুবাচক

() যত

() সংশয়বাচক

.১৮সামীপ্যবাচক নির্দেশক সর্বনাম পদের উদাহরণ

() ওদের

() কারা

() অন্যথাসূচক

() এদের

২। কমবেশি ১৫টি শব্দের মধ্যে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখো : × ১৮ = ১৮

.জমিদার নিজে তাঁকে কাতর অনুরোধ জানিয়েছেন'—কাতর অনুরোধটি কী ছিল ?

. চন্দ্রনাথ পরীক্ষার সময় হিরুকে কীভাবে সাহায্য করেছিল ?

. 'আছুক শস্যের কার্য হেজ্যা গেল ঘর'—কলিঙ্গ দেশে কত দিনেরনিরন্তর বৃষ্টিতে এমনটা হয়েছিল?

. তরীতে মাথা ঠুকে সমুদ্রের দিকে তারা ছোটে। কবি কাদের কথা বলেছেন ?

.ভুটায়ানিরা কী বলে নিজেদের পরিচয় দেয় ?

. এত ভালো, এত স্নেহময়ী তিনিস্বামী বিবেকানন্দ কার সম্পর্কে এই মন্তব্য করেছেন ?

. 'আমি একজন জেলে'—জেলেটি কোথায় থাকে ?

. 'হাইনরিখ স্টাইনারের' পরিচয় কী?

. প্রফেসর শঙ্কু এবং গ্রেনফেল, জাদুকর আর্গাসের ম্যাজিক কোন্ থিয়েটারে দেখতে গিয়েছিলেন ?

.১০বিভং ভীবং বিভং”—বক্তা কে ?

Read More : - WBBSE Class 9 English Third Summative Question Paper।নবম শ্রেণির ইংরেজি বার্ষিক প্রশ্নপত্র  Class 9 

.১১ 'বে' উপসর্গটি কী অর্থে ব্যবহৃত হয় ?

.১২ কোন্ অনুসর্গ পদগুলি দিয়ে অপাদান কারক বোঝানো যায় ?

.১৩যোগরুঢ়' শব্দ বলতে কী বোঝো ?

.১৪ 'নবিশ' প্রত্যয় (বিদেশি তদ্ধিত প্রত্যয়) কোন্ অর্থে ব্যবহৃত হয় ? উদাহরণ দাও।

.১৫অপিনিহিতিকাকে বলে ?

.১৬ সন্ধিবিচ্ছেদ করো : নদ্যম্বু।

.১৭ একটি শব্দদ্বৈতাশ্রয়ী বিশেষণকে বাক্যে প্রয়োগ করো।

.১৮ভিক্ষা করে ফিরিতেছিলাম গ্রামের পথে পথে।বাক্যের ক্রিয়ার কালটি নির্ধারণ করো।

৩। কমবেশি ৬০টি শব্দে নীচের যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : × =

.এইটেই আমার কাছে তার স্মৃতিচিহ্ন'—কীসের কথা বলা হয়েছে? সেটাই শেষ স্মৃতিচিহ্ন কেন ?

.অগত্যা রাধারানী কাঁদিতে কাঁদিতে ফিরিল'—রাধারানী কোথা থেকে, কেন কেঁদে কেঁদে ফিরেছিল ?

৪। কমবেশি ৬০টি শব্দে নীচের যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : × =

.বিষম ধাতুর মিলন ঘটায়ে বাঙালি দিয়েছে বিয়াকবি কোন্ বাঙালির, কোন্ কৃতিত্বের কথা তুলে ধরেছেন ?

.ফুরয় না সেই একগুঁয়েটার দুরস্ত পিপাসাকোন্ পিপাসাকে, কেন দুরন্ত বলা হয়েছে ?

৫। কমবেশি ৬০টি শব্দে নীচের যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : × =

.চেষ্টাটার ফল আমি হয়তো দেখে যেতে পারব না'—লেখক কোন চেষ্টাকে, কেন কটাক্ষ করেছেন ?

.মিস্ মুলার কিংবা অন্য কারও পক্ষপুটে আশ্রয় নিলে চলবে নাস্বামী বিবেকানন্দ কেন মিস্ নোবলকে মিস্ মুলার সম্পর্কে সতর্ক করেছেন ?



📚✨ Final Exam 2025 – Prepare Yourself!

ছাত্রছাত্রীরা! 😃 এখনই সংগ্রহ করে নাও আমাদের 4 Set প্রশ্নপত্র বা অধ্যায় ভিত্তিক সাজেশন 💥।

বিষয়সমূহ: বাংলা, ইংরেজি, ভূগোল, ইতিহাস, অঙ্ক, বিজ্ঞান 

সব প্রশ্নই নতুন সিলেবাস অনুযায়ী তৈরি, যা তোমার পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সাহায্য করবে📝।


📱 সংগ্রহ করতে হলে Click করো: Click Here



৬। কমবেশি ৬০টি শব্দে নীচের যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও :    × =

. 'দামি রত্ন বসানো বলেই আংটিটা রাজার কাছে মূল্যবান মনে হয়েছেএমনটা আমার মনে হয় নাকার, কেন এরকম ধারণা হয়েছে ?

. 'চলরে গাঁটকাটা'—বক্তা কারা ? উদ্দীষ্ট ব্যক্তির প্রকৃত জীবিকা কীভাবে জানা গেছে ?

৭। নীচের যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও (কমবেশি ৬০টি শব্দে):   × =

 

.কাল টাফায় পৌঁছেছি'—টাফায় পৌঁছে প্রোফেসর শঙ্কু কী দেখলেন? টাফা গ্রহের বাসিন্দাদের কেমন দেখতে ছিল?

. ম্যালি-ফাউল পাখি ডিমে তা না দিয়েও ডিম ফোটায় কীভাবে? গ্রিরপাখিদের আচরণগত রহস্য উল্লেখ করো।

৮। নীচের যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও (কমবেশি ১৫০টি শব্দে): 5

. 'আমার ছাত্র আমাকে অমর করে দিয়েছে'—বক্তা কে? কীভাবে তিনি অমরত্ব লাভ করেছেন তা প্রসঙ্গ উল্লেখসহ আলোচনা করো।

. 'আমরাও ভিখারি হইয়াছি, দান গ্রহণ করিয়া খরচ করি'–কে এই উক্তিটি করেছেন? বক্তার এই মন্তব্যের প্রেক্ষাপট তাৎপর্য গল্পাংশ অবলম্বনে বিবৃত করো।

৯। নীচের যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও (কমবেশি ১৫০টি শব্দে): 5

. 'কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কররে লোপাট'—কাজী নজরুল ইসলাম কোন্ পটভূমিতে এই আহ্বান জানিয়েছেন? 'ভাঙার গান' কবিতার এই অংশে কবির যে মানসিকতা প্রকাশ পেয়েছে তা আলোচনা করো।

. 'সকাল হইতে সন্ধ্যা করে আনাগোনা কারা কোথায় আনাগোনা করে?' এই আনাগোনার মধ্য দিয়ে কবি কোন্ সত্য প্রকাশ করতে চেয়েছেন?

১০। নীচের যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও (কমবেশি ১৫০টি শব্দে): 5

১০.বাঙালির চরিত্রে বিদ্রোহ বিদ্যমান’–কে, কোন্ প্রবন্ধে এই মন্তব্য করেছেন? তিনি তাঁর মন্তব্যের জন্য কী কী যুক্তি উল্লেখ করেছেন?

১০.ঈশ্বরই প্রশংসার যোগ্য। তিনিই ধন্য'—কে, কেন এই মন্তব্য করেছেন?

১১। নীচের যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও (কমবেশি ১৫০টি শব্দে): 5

১১.কীভাবে এই আংটি আমার কাছে এলতা বললাম।” -কার আংটি, কে পেয়েছিল? সে কীভাবে পেয়েছিল?

১১. 'প্রভু, আজ আমার সংসার চলবে কী করে?'–কে, কাকে একথা বলেছে? বক্তা কোন্ কাজের জন্য কী উপহার পেয়েছিল?

১২। নীচের যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও (কমবেশি ১৫০টি শব্দে): 5

১২. 'আমি শার্ট বদল করতে উপরে যাচ্ছি'—বক্তা কে? তার হাত থেকে প্রফেসর শঙ্কু কীভাবে মুক্তি পেল তা বিবৃত করো।

১২. 'শঙ্কুদ্যাট বার্ড ইজ হিয়ার'–কে, কোন্ বার্ডের কথা বলেছেন? পাখিটি কীভাবে ওখানে গেল?

১৩। নীচের যে-কোনো একটি বিষয়ে প্রবন্ধ রচনা করো (কমবেশি ৩০০টি শব্দে): 10

১৩. পরিবেশদূষণ তার প্রতিকার।

১৩. যুগনায়ক বিবেকানন্দ।

১৩. 'চন্দ্রযান-'—মহাকাশবিজ্ঞানে ভারতের সাফল্য।

১৩. দেশভ্রমণশিক্ষার অঙ্গ।

১৪। নির্দেশ অনুসারে একটি প্রশ্নের উত্তর দাও: 4 x 1 = 4

১৪. ভাবসম্প্রসারণ করো

"পথের প্রান্তে আমার তীর্থ নয়, পথের দুধারে আছে মোর দেবালয়।

১৪. সারাংশ লেখো :

=

পাপীকে সাধু করা বড় সহজ কথা নয়। ইহাতে অনেক যত্ন, অনেক সতর্কতা, মানব প্রকৃতির অনেক জ্ঞান থাকা চাই। এমনকি, কিছু কালের নিমিত্ত আপনার স্বার্থ পর্যন্ত বিস্মৃত হতে হয়। সংসারে প্রেমই হৃদয়রাজ্যের অদ্বিতীয় ঈশ্বর। কি শিশু, কি প্রবীণ, কি বৃদ্ধ, কি ধনী, কি নির্ধন, কি পাপী, কি সাধু সকলেই এক বাক্যে ভালোবাসার দাস। অন্যের অন্তঃকরণে প্রভুত্ব করিতে হইলে প্রথমত ভালোবাসার দ্বারাই তাহার পথ প্রস্তুত করিতে হয়। এইরূপ পরোক্ষ শিক্ষাদানেরও উদ্দেশ্য ভালোবাসার দ্বারা কার্যকরী হয়। বস্তুত সহৃদয়তা ছাড়া যে পরের উপকার করা যায় না এবং সর্বসময় স্নেহের অভাবে যে সর্বপ্রকার সদ্‌গুণও থাকা না থাকা সমান তাহাতে আর সন্দেহ কি!

১৪. ভাবার্থ লেখো :

পদে পদে ছোটো ছোটো নিষেধের ডোরে

বেঁধে বেঁধে রাখিয়ো না ভালো ছেলে করে।

প্রাণ দিয়ে দুঃখ সয়ে, আপনার হাতে

সংগ্রাম করিতে দাও ভালো মন্দ সাথে।

শীর্ণ শান্ত সাধু তব পুত্রদের ধরে

দাও সবে গৃহছাড়া লক্ষ্মীছাড়া 'রে।

সাতকোটি সন্তানেরে হে মুগ্ধা জননী

রেখেছ বাঙালি করে মানুষ করোনি।

১৪. প্রদত্ত সূত্র অনুসারে গল্প লেখো : -

কাহিনি-সূত্র : তিনি লোকটিকে নিজের কাঁধে তুলে নিলেননীলরতন হাসপাতালে তাকে নিয়ে এলেনডাক্তাররা বিরক্তছোঁয়াচে রোগপ্রশ্ন করলেন'তুমি কি বিদ্যাসাগর হয়ে গেছ ?—তিনি বললেন'আমিই বিদ্যাসাগর।

 

Answer Sheet

Class 9 Bangla 3rd Unit Test Question Paper 2024 with Answer

ক্লাস 9 বাংলা 3য় ইউনিট পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর।

১। সঠিক উত্তর বেছে নিন:

. () মহম্মদ শার কাছে

১.২) শোভনের বাবা।

১.৩) মৃত মনিয়ার মতো।

. (খ) মুড়য় না।

১.৫) পদাবলী কীর্তন।

. (খ ) সাপ

. (খ) হিব্রু

. () ট্যানট্রাম বোরোপ্যাক্সিনেট

১.৯) চিলির রাজধানী সান্তিয়াগো

১.১০) যকৃতে ক্যান্সার।

.১১ () ''

.১২ ক) আদি স্বরাগম।

.১৩ () বাগ + আড়ম্বর

.১৪ গ) এ

১.১৫) চুরুট

১.১৬) সর্বনামের বিশেষণ

.১৭ () উপমাদ্যোতক

.১৮ () এদের

২.১ ) শোভনকে তাদের হারানো ছেলে হয়ে একবার তার স্ত্রীর সামনে আসার জন্যে জমিদার শোভনকে কাতর অনুরোধ জানান। 

২.২) চন্দ্রনাথ হিরুকে পরীক্ষার সময় তিনটি অঙ্ক তার খাতা থেকে দেখে লিখতে দিয়েছিল। 

২.৩) কলিঙ্গ দেশে সাতদিন নিরন্তর বৃষ্টিতে এমনটা হয়েছিল। 

২.৪) আলোচ্য উদ্ধৃতাংশে কবি নদীর জোয়ারের ঢেউ এর কথা বলেছেন। 

২.৫) ভুটিয়ানীরা নিজেদের পাহাড়নি বলে পরিচয় দেয়। 

২.৬) স্বামী বিবেকানন্দের বিখ্যাত ইংরেজ শিষ্যা মিসেস সেভিয়ার সম্পর্কে স্বামী বিকেকানন্দ বলেছেন। 

২.৭) আলোচ্য উদ্ধৃতাংশটিতে বক্তা শক্রাবতারে থাকেন। 

২.৮) হাইনরিখ স্টাইন বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতের অধ্যাপক ছিলেন। 

২.৯) প্রফেসর শঙ্কু এবং গ্রেনফল  জাদুকর আগ্রাসের ম্যাজিক প্লাজা থিয়েটারে দেখতে গিয়েছিলেন। 

২.১০) আলোচ্য উদ্ধৃতাংশে বক্তা হলেন বিধুশেখর । 

২.১১)  'বে ' উপসর্গ টি নেতিবাচক বা নয় অর্থে ব্যবহৃত হয়। 

২.১২) ' থেকে' , 'দিয়ে', 'চেয়ে' ,'দিয়া'  প্রভৃতি অনুসর্গ পদগুলি দিয়ে অপাদান কারক বোঝানো হয়। 

২.১৩) যেসব সাধিত শব্দ একাধিক ব্যুৎপত্তিগত অর্থের যে কোনো একটিকে বোঝায় তাকে  যোগরূঢ় শব্দ বলে। 

১.১৫) কোনো শব্দের দ্বিতীয় অক্ষরের ব্যঞ্জনের পর 'ই ' , 'উ' ধ্বনি থাকলে, 'ই ' বা  'উ' ধ্বনিটি কে নির্দিষ্ট স্থানের পূর্বে উচ্চারণ করার রীতিকে অপিনিহিতি বলে। 

১.১৭) ঝুড়ি ঝুড়ি আম। 

বাক্যে ব্যবহার: গতকাল রাতে ঝড়ে তে ঝুড়ি ঝুড়ি আম পরে গেছে ।

১.১৮) ঘটমান অতীত।

প্রবন্ধ রচনা

১৩। নীচের যে-কোনো একটি বিষয়ে প্রবন্ধ রচনা করো (কমবেশি ৩০০টি শব্দে): 

১৩. পরিবেশদূষণ তার প্রতিকার।

উত্তর : - পরিবেশদূষণ আমাদের পৃথিবীর জন্য একটি মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানবসভ্যতা উন্নতির পথে এগোলেও, তার প্রভাব পরিবেশের উপর মারাত্মকভাবে পড়ছে। পরিবেশদূষণ কেবল মানুষকেই নয়, প্রকৃতির অন্যান্য জীবকেও বিপদের মধ্যে ফেলেছে। নিচে পরিবেশদূষণের কারণ প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করা হলো।

পরিবেশদূষণের কারণ:

বায়ুদূষণ: শিল্পকারখানা, যানবাহনের ধোঁয়া, এবং বনভূমি ধ্বংস বায়ুদূষণের প্রধান কারণ। কার্বন ডাই-অক্সাইড এবং অন্যান্য বিষাক্ত গ্যাস আমাদের বাতাসকে দূষিত করছে।

জলদূষণ: কলকারখানার বর্জ্য, রাসায়নিক সার, এবং প্লাস্টিক আমাদের নদী, পুকুর সমুদ্র দূষিত করছে।

মাটিদূষণ: কৃষিক্ষেত্রে অতিরিক্ত সার কীটনাশক ব্যবহারের ফলে মাটি তার উর্বরতা হারাচ্ছে।

Class 9 Bengali 3rd Unit Test Question Paper 2024। তৃতীয় ইউনিট টেস্ট বাংলা প্রশ্ন নবম শ্রেণী

শব্দদূষণ: যানবাহনের হর্ন, শিল্পকারখানার যন্ত্রপাতির আওয়াজ, এবং শহরের কোলাহল মানুষ প্রাণীদের স্বাস্থ্যে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে।

বনভূমি ধ্বংস: নগরায়ন শিল্পায়নের জন্য বনভূমি ধ্বংসের ফলে জীববৈচিত্র্য হারিয়ে যাচ্ছে, যা পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছে। 

পরিবেশদূষণের প্রতিকার:

বৃক্ষরোপণ: বনভূমি রক্ষা বৃক্ষরোপণ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে।

পুনর্ব্যবহার: প্লাস্টিক এবং অন্যান্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপকরণ ব্যবহারের মাধ্যমে বর্জ্য কমানো যেতে পারে।

শিল্পদূষণ নিয়ন্ত্রণ: কলকারখানার বর্জ্য যথাযথভাবে প্রক্রিয়া করে নিষ্কাশন করা উচিত যাতে পরিবেশ দূষিত না হয়।

সবুজ শক্তি ব্যবহার: সৌরশক্তি, জলবিদ্যুৎ, এবং বায়ু বিদ্যুতের মতো সবুজ শক্তির ব্যবহার করে দূষণ কমানো সম্ভব।

সচেতনতা বৃদ্ধি: জনগণের মধ্যে পরিবেশ রক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত জরুরি।

প্লাস্টিক নিষিদ্ধকরণ: প্লাস্টিকের ব্যবহার সীমিত করা এবং তার পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব উপকরণ ব্যবহার করা উচিত।

জল সংরক্ষণ: জল সংরক্ষণের মাধ্যমে জলদূষণ রোধ করা সম্ভব।

গণপরিবহন ব্যবহারে উৎসাহ: ব্যক্তিগত যানবাহনের পরিবর্তে গণপরিবহন ব্যবহারে মানুষকে উৎসাহিত করা উচিত, যা বায়ুদূষণ কমাতে সাহায্য করবে।

শিক্ষা প্রশিক্ষণ: পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্মশালার মাধ্যমে জনসাধারণকে প্রশিক্ষিত করা যেতে পারে।

নিরাপদ কীটনাশক: কৃষিক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব সার কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে।

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ: জনসমাগমের স্থানগুলিতে শব্দের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।

পরিবেশদূষণ রোধ করতে হলে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার। আমাদের নিজেদের দায়িত্ব নিয়ে পরিবেশ রক্ষার জন্য সচেষ্ট হতে হবে, তবেই আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী রেখে যেতে পারবো।

১৩. যুগনায়ক বিবেকানন্দ।

উত্তর : - স্বামী বিবেকানন্দ, উনিশ শতকের এক অসাধারণ ব্যক্তি, ভারতীয় সমাজ, ধর্ম, এবং সাংস্কৃতিক জগতের একটি বিশিষ্ট নাম। তাঁর জীবন আদর্শ কেবল ভারতবর্ষেই নয়, সারা বিশ্বে এক নতুন ভাবধারার সৃষ্টি করেছে। বিবেকানন্দ ছিলেন একজন সত্যিকারের যুগনায়ক, যিনি নতুন যুগের চিন্তা মননশীলতাকে প্রভাবিত করেছিলেন। তার কর্ম চিন্তাধারা মানবতাকে অনুপ্রাণিত করে আজও।

Class 9 Bengali 3rd Unit Test Question Paper 2024। তৃতীয় ইউনিট টেস্ট বাংলা প্রশ্ন নবম শ্রেণী

বিবেকানন্দের বিশেষত্ব:

আধ্যাত্মিকতা ধর্ম: বিবেকানন্দ হিন্দু ধর্মের গভীরতম দর্শন আধ্যাত্মিকতাকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছিলেন। তিনি হিন্দু ধর্মের মূল সত্তা 'বেদান্ত' এবং 'যোগ' এর মাধ্যমে মানব কল্যাণের বার্তা ছড়িয়ে দেন।

পার্থিব জীবন এবং আধ্যাত্মিকতার মিলন: বিবেকানন্দ বিশ্বাস করতেন যে, আধ্যাত্মিকতার প্রকৃত সার্থকতা তখনই অর্জিত হয়, যখন তা মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে মেলানো যায়।

শিকাগো বক্তৃতা: ১৮৯৩ সালে শিকাগোর ধর্ম মহাসভায় তার ঐতিহাসিক বক্তৃতা বিশ্বকে ভারতীয় ধর্ম সংস্কৃতির গভীরতা সম্পর্কে সচেতন করে তোলে। এই বক্তৃতা আজও তার প্রাসঙ্গিকতা ধরে রেখেছে।

মানবসেবার গুরুত্ব: বিবেকানন্দ বলেছিলেন, "জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর" তার মতে, মানব সেবা ছিল স্রষ্টার সেবা করার অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপায়।

তরুণদের অনুপ্রেরণা: তরুণ সমাজকে জাগ্রত করার ক্ষেত্রে বিবেকানন্দের অবদান অনস্বীকার্য। তিনি বলেন, "উঠ, জাগো এবং লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত থেমে যেও না" তার এই আহ্বান আজও তরুণদের সামনে নতুন দিশা দেখায়।

শিক্ষা দর্শন: বিবেকানন্দ বিশ্বাস করতেন, প্রকৃত শিক্ষা মানুষের মধ্যে সুপ্ত শক্তি এবং মননশীলতাকে জাগিয়ে তোলার মাধ্যম। তার মতে, শিক্ষার প্রধান উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিত্বের পূর্ণ বিকাশ।

বিশ্বজনীন ধর্ম ভাবনা: তিনি সর্বধর্মের সমন্বয়ে একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, সব ধর্মই একই চরম লক্ষ্যঈশ্বরের কাছে পৌঁছানোঅর্জন করতে চায়।

নারীর ক্ষমতায়ন: বিবেকানন্দ নারীদের সমান অধিকার মর্যাদা প্রদানের পক্ষে ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, একটি সমাজ তখনই উন্নত হতে পারে, যখন নারীদের সম্মান সঠিক শিক্ষা প্রদান করা হবে।

রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা: স্বামী বিবেকানন্দ ১৮৯৭ সালে রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন, যার উদ্দেশ্য ছিল সেবা, শিক্ষা এবং আধ্যাত্মিকতার মাধ্যমে সমাজের উন্নয়ন।

স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রভাব: বিবেকানন্দের চিন্তাধারা ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। তার বাণী এবং দর্শন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং অন্যান্য স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি: তিনি সর্বদা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পক্ষে ছিলেন। তার মতে, ধর্মের ভিত্তিতে সমাজে বিভেদ সৃষ্টির কোনও স্থান নেই, কারণ সব ধর্মের মূল একই।

বিবেকানন্দ ছিলেন এমন একজন নেতা, যিনি সময়ের প্রয়োজন বুঝে জাতিকে এক নতুন পথ দেখিয়েছিলেন। তার জীবন দর্শন আজও আমাদের মননে এবং কর্মে পথপ্রদর্শক হয়ে আছে।

১৩. 'চন্দ্রযান-'—মহাকাশবিজ্ঞানে ভারতের সাফল্য।

উত্তর : - ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) আবারও সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়েছে তার চন্দ্রাভিযানের মাধ্যমে। 'চন্দ্রযান-' ভারতের মহাকাশ অভিযানে একটি যুগান্তকারী সাফল্য। এটি চাঁদে ভারতের তৃতীয় অভিযান এবং বিশেষ করে দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের মাধ্যমে ভারতের মহাকাশ গবেষণায় এক নতুন উচ্চতা যোগ করেছে। এই মিশন ভারতের মহাকাশবিজ্ঞানের ইতিহাসে একটি মাইলফলক।

চন্দ্রযান- এর গুরুত্বপূর্ণ দিক:

মিশনের উদ্দেশ্য: চন্দ্রযান- এর প্রধান লক্ষ্য ছিল চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে সেখানে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা চালানো এবং চাঁদের পৃষ্ঠতলের বিশ্লেষণ করা।

ইসরোর সাফল্য: চন্দ্রযান- মিশনের মাধ্যমে ইসরো আবারও প্রমাণ করেছে যে, ভারতের মহাকাশ গবেষণা অন্যান্য উন্নত দেশের সঙ্গে সমান তালে এগিয়ে চলেছে। এটি ইসরোর বিজ্ঞানীদের দক্ষতা পরিশ্রমের ফল।

প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ: চন্দ্রযান- ব্যবহৃত ল্যান্ডার এবং রোভার অত্যাধুনিক প্রযুক্তির উদাহরণ। এর ল্যান্ডার 'বিক্রম' এবং রোভার 'প্রজ্ঞান' সফলভাবে চাঁদের পৃষ্ঠে নামতে পেরেছে এবং বিজ্ঞানীদের প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহে সাহায্য করেছে।

চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রথম অবতরণ: চন্দ্রযান- চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে, যা আগে কোনও দেশ করতে পারেনি। এই স্থানটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এর বৈজ্ঞানিক মূল্য অনেক বেশি।

জল খনিজের সন্ধান: চন্দ্রযান- এর অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল চাঁদের মাটিতে জল খনিজের অস্তিত্ব খুঁজে বের করা। এটি ভবিষ্যতে চাঁদে মানব বসতি স্থাপনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

'চন্দ্রযান-৩'

অর্থনৈতিকভাবে সাশ্রয়ী মিশন: অন্যান্য মহাকাশ শক্তিগুলোর তুলনায় ইসরো অনেক কম খরচে এই মিশন সম্পন্ন করেছে, যা ভারতের প্রযুক্তিগত দক্ষতার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।

বিশ্বের প্রশংসা: চন্দ্রযান- এর সাফল্য সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। উন্নত দেশগুলির মহাকাশ সংস্থা থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রগুলি ভারতের এই সাফল্যকে অভিনন্দন জানিয়েছে।

ভারতের মহাকাশ গবেষণার উন্নয়ন: চন্দ্রযান- এর সফলতা ইসরোর ভবিষ্যৎ মহাকাশ মিশনের পথ সুগম করেছে। এটি ভারতের মহাকাশ গবেষণার উন্নয়নে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে।

গবেষণার প্রসার: চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের ফলে নতুন নতুন তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে, যা মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

জাতীয় গৌরব: চন্দ্রযান- মিশনের সাফল্য কেবলমাত্র বিজ্ঞান প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নয়, এটি ভারতের জাতীয় গর্বেরও প্রতীক। এটি ভারতের বৈজ্ঞানিক দক্ষতা এবং আত্মনির্ভরতার প্রমাণ।

ভবিষ্যতের মহাকাশ অভিযান: চন্দ্রযান- এর সাফল্য ইসরোর ভবিষ্যৎ মহাকাশ অভিযান, যেমন 'গগনযান' মিশনের জন্য শক্ত ভিত্তি তৈরি করেছে। এর মাধ্যমে ইসরো ভবিষ্যতে আরও উচ্চাভিলাষী অভিযান পরিচালনা করতে পারবে।

উপসংহার:

চন্দ্রযান- ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানে নতুন দিশা দেখিয়েছে এবং বিশ্বমঞ্চে ভারতের অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করেছে। এই মিশনের সাফল্য ভারতকে একটি মহাকাশ শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং ভবিষ্যতের মহাকাশ অভিযানের জন্য নতুন পথ উন্মোচন করেছে।

১৩. দেশভ্রমণশিক্ষার অঙ্গ।

উত্তর : - দেশভ্রমণ শুধু বিনোদন নয়, এটি শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যমও বটে। ভ্রমণ মানেই শুধু স্থান পরিবর্তন নয়, বরং নতুন স্থান, সংস্কৃতি, ইতিহাস, পরিবেশ, এবং মানুষের সঙ্গে পরিচিত হওয়া। ছাত্রদের জন্য দেশভ্রমণ শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হয়ে উঠতে পারে, যা পাঠ্যপুস্তকের বাইরে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ দেয়। নিচে দেশভ্রমণের মাধ্যমে শিক্ষার বিভিন্ন দিক আলোচনা করা হলো।

দেশভ্রমণের মাধ্যমে শিক্ষার গুরুত্ব:

বাস্তব অভিজ্ঞতা: দেশভ্রমণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সরাসরি বিভিন্ন স্থান, ঐতিহাসিক নিদর্শন, এবং বিভিন্ন সংস্কৃতি সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে।

ভূগোলের জ্ঞান বৃদ্ধি: দেশভ্রমণ শিক্ষার্থীদের ভূগোলের তাত্ত্বিক জ্ঞানকে বাস্তবে দেখতে উপলব্ধি করতে সহায়তা করে। ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলের প্রকৃতি, আবহাওয়া, ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

ইতিহাসের সঙ্গে পরিচয়: বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান, স্মৃতিসৌধ, মিউজিয়াম পরিদর্শনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা দেশের ইতিহাস সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচিত হতে পারে, যা তাদের ইতিহাসের বইয়ের জ্ঞানকে আরও গভীর করে তোলে।

সংস্কৃতির বৈচিত্র্য: ভারত যেমন একটি বহুবিধ সংস্কৃতির দেশ, দেশভ্রমণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন রাজ্যের ভাষা, খাদ্য, পোশাক, এবং উৎসব সম্পর্কে জানতে পারে। এটি তাদের মননশীলতা বৃদ্ধি করে এবং সহনশীলতার মনোভাব গড়ে তোলে।

মানুষের জীবনযাত্রার পরিচয়: ভ্রমণের সময় বিভিন্ন ধরনের মানুষের সঙ্গে মেলামেশার সুযোগ পাওয়া যায়, যা সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি তাদের জীবনযাত্রার বৈচিত্র্য বুঝতে সাহায্য করে।

স্বনির্ভরতা আত্মবিশ্বাস: দেশভ্রমণ শিক্ষার্থীদের স্বাধীনভাবে চলার অভ্যাস গড়ে তোলে। ভ্রমণের সময় বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়, যা তাদের সমস্যা সমাধানের দক্ষতা এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।

দলের মধ্যে কাজ শেখা: শিক্ষার্থীরা যখন দলবদ্ধভাবে ভ্রমণে যায়, তখন তারা সহপাঠীদের সঙ্গে সমন্বয় করে চলার এবং দলের অংশ হিসেবে কাজ করার অভ্যাস গড়ে তোলে।

বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির বিকাশ: ভিন্ন ভিন্ন স্থান পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির বিকাশ ঘটে। প্রকৃতির বিভিন্ন রূপ এবং প্রাকৃতিক ঘটনাগুলি তারা বাস্তবে উপলব্ধি করতে পারে।

আন্তর্জাতিক সচেতনতা: দেশভ্রমণ শিক্ষার্থীদের বিশ্বদৃষ্টি বাড়ায়। তারা শুধু নিজের দেশ নয়, বিশ্ব পরিস্থিতি সম্পর্কেও সচেতন হয়ে ওঠে, যা তাদের জ্ঞানকে আরও প্রসারিত করে।

সাহিত্য শিল্পের সঙ্গে পরিচয়: দেশভ্রমণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্থানের সাহিত্য শিল্প সম্পর্কে জানতে পারে, যা তাদের সৃজনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে।

স্বাস্থ্য মানসিক উন্নতি: ভ্রমণের মাধ্যমে শরীর মন উভয়ই সতেজ হয়। নতুন স্থান, নতুন মানুষ, এবং নতুন পরিবেশ মনকে চাঙ্গা করে এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।

উপসংহার:

দেশভ্রমণ শিক্ষার একটি অপরিহার্য অঙ্গ। এটি শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তকের বাইরে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করার সুযোগ দেয় এবং তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক, সামাজিক, এবং মানসিক বিকাশে সহায়তা করে। তাই, শিক্ষার্থীদের শুধু শ্রেণিকক্ষের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে তাদের দেশভ্রমণের সুযোগ দেওয়া উচিত, যাতে তারা বাস্তব জীবনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আরও বেশি জানার সুযোগ পায়।

১৪। নির্দেশ অনুসারে একটি প্রশ্নের উত্তর দাও

১৪. ভাবসম্প্রসারণ করো: "পথের প্রান্তে আমার তীর্থ নয়, পথের দুধারে আছে মোর দেবালয়।

উত্তর : - "পথের প্রান্তে আমার তীর্থ নয়, পথের দুধারে আছে মোর দেবালয়" একটি গভীর দার্শনিক উক্তি। এর ভাবার্থ হল, জীবন কোনো নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য নয়, বরং পথ চলার প্রতিটি মুহূর্তে, প্রতিটি অভিজ্ঞতায় জীবনের সত্যিকারের সৌন্দর্য এবং পূর্ণতা খুঁজে পাওয়া যায়।

তীর্থ সাধারণত এমন একটি স্থানের প্রতীক, যেখানে মানুষ পৌঁছে তার লক্ষ্য পূর্ণ করে। তবে এই উক্তিতে কবি বা লেখক বলতে চেয়েছেন, তার তীর্থ বা গন্তব্য শুধু পথের শেষে নয়, বরং তার আশেপাশের প্রতিটি ধাপে। দেবালয়, যা ঈশ্বরের আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত, এখানে প্রতীকীভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। লেখক বিশ্বাস করেন, ঈশ্বর বা জীবনের মূল উদ্দেশ্য শুধু একটি নির্দিষ্ট স্থানে নেই, বরং প্রতিটি অভিজ্ঞতা, প্রতিটি ছোট ছোট ঘটনা, প্রতিটি সম্পর্কের মধ্যেই ঈশ্বরের উপস্থিতি বিদ্যমান।

এই উক্তি আমাদের শেখায় যে, জীবনের যাত্রাই আসল, শুধু লক্ষ্যে পৌঁছানো নয়। পথ চলার সময় আমাদের যা কিছু দেখা, শোনা অনুভব করার সুযোগ হয়, সেগুলোই জীবনের প্রকৃত শিক্ষা পূজা। জীবনের প্রতি মুহূর্তেই ঈশ্বরের বা জীবনের সত্যিকারের অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়, যদি আমরা সঠিকভাবে তা উপলব্ধি করতে পারি। এই চিন্তাধারায় মানবিকতা, প্রকৃতি এবং প্রতিদিনের ঘটনা একটি বিশেষ মর্যাদা পায়।

সর্বোপরি, লেখক এটাই বোঝাতে চেয়েছেন যে, জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপেই আমাদের উপলব্ধি, উপলব্ধির মধ্যেই আমাদের তীর্থযাত্রা এবং সেই পথের দুধারে ছড়িয়ে আছে আমাদের জীবনের দেবালয়।

১৪. সারাংশ লেখো

পাপীকে সাধু করা বড় সহজ কথা নয়। ইহাতে অনেক যত্ন, অনেক সতর্কতা, মানব প্রকৃতির অনেক জ্ঞান থাকা চাই। এমনকি, কিছু কালের নিমিত্ত আপনার স্বার্থ পর্যন্ত বিস্মৃত হতে হয়। সংসারে প্রেমই হৃদয়রাজ্যের অদ্বিতীয় ঈশ্বর। কি শিশু, কি প্রবীণ, কি বৃদ্ধ, কি ধনী, কি নির্ধন, কি পাপী, কি সাধু সকলেই এক বাক্যে ভালোবাসার দাস। অন্যের অন্তঃকরণে প্রভুত্ব করিতে হইলে প্রথমত ভালোবাসার দ্বারাই তাহার পথ প্রস্তুত করিতে হয়। এইরূপ পরোক্ষ শিক্ষাদানেরও উদ্দেশ্য ভালোবাসার দ্বারা কার্যকরী হয়। বস্তুত সহৃদয়তা ছাড়া যে পরের উপকার করা যায় না এবং সর্বসময় স্নেহের অভাবে যে সর্বপ্রকার সদ্‌গুণও থাকা না থাকা সমান তাহাতে আর সন্দেহ কি!

উত্তর :- এই অংশে লেখক বলেন, পাপীকে সাধু করা কঠিন এবং এর জন্য অনেক যত্ন ভালোবাসা প্রয়োজন। ভালোবাসা হৃদয়ের সর্বশক্তিমান, যা সহৃদয়তা দিয়ে মানুষের মন জয় করতে সাহায্য করে এবং প্রকৃত পরিবর্তন আনে।

১৪. ভাবার্থ লেখো :

পদে পদে ছোটো ছোটো নিষেধের ডোরে

বেঁধে বেঁধে রাখিয়ো না ভালো ছেলে করে।

প্রাণ দিয়ে দুঃখ সয়ে, আপনার হাতে

সংগ্রাম করিতে দাও ভালো মন্দ সাথে।

শীর্ণ শান্ত সাধু তব পুত্রদের ধরে

দাও সবে গৃহছাড়া লক্ষ্মীছাড়া 'রে।

সাতকোটি সন্তানেরে হে মুগ্ধা জননী

রেখেছ বাঙালি করে মানুষ করোনি।

উত্তর : - কবিতার এই অংশে কবি বাঙালি সমাজের মধ্যে থাকা রক্ষণশীলতা, অত্যধিক শৃঙ্খলাবদ্ধতা, এবং সমাজের পুরোনো রীতিনীতির বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেছেন। কবি এখানে বাঙালি মায়েদের উদ্দেশ্যে একটি আহ্বান রেখেছেন যে, সন্তানদের ছোট ছোট নিষেধের মাধ্যমে শৃঙ্খলিত করে তাদের স্বাধীনতা হরণ করা উচিত নয়। অতিরিক্ত নিয়ম শৃঙ্খল তাদের জীবনের সঠিক বিকাশে বাধা সৃষ্টি করে, এবং শুধুমাত্রভালো ছেলেবা নিখুঁত রূপে গড়ে তোলার প্রয়াসে তাদের আত্মবিকাশের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়।

কবি বলেন, জীবনের সংগ্রামের মাধ্যমে মানুষ নিজের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা পায়। ভাল-মন্দ উভয়ের মধ্যেই লড়াই করার সুযোগ থাকলে, তবেই একজন ব্যক্তি প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠতে পারে। নিজের হাতে সংগ্রাম করে, দুঃখ সয়ে জীবনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে দেওয়া উচিত। এই প্রক্রিয়া তাদের জীবনে মানসিক দৃঢ়তা সাহস তৈরি করে। কিন্তু বাঙালি সমাজের মা-বাবারা অতিরিক্ত স্নেহ এবং রক্ষণশীল মানসিকতায় সন্তানদের সংগ্রাম করতে দিতে চান না, বরং তাদের কেবলমাত্র 'ভালো' রাখার জন্য দুঃখ সংগ্রাম থেকে দূরে রাখেন।

কবি এখানে বলেন, এমন শান্ত, শীর্ণ, নিষ্ক্রিয় জীবনধারার কারণে বাঙালি সমাজের সন্তানরা সাহসী, স্বাধীনচেতা মানুষ হতে পারছে না। তারা হয় ঘরে আবদ্ধ বা লক্ষ্মীছাড়া অর্থাৎ দুর্বলভাবে বেড়ে উঠছে। কবি আক্ষেপের সঙ্গে বলেন, বাঙালিদের মানুষের মতো মানুষ করা হয়নি, শুধু তাদের বাঙালি করে রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে সেই আত্মবিশ্বাস, লড়াই করার মানসিকতা তৈরি হয়নি, যা প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজন।

কবির এই আহ্বান বাঙালি মায়েদের উদ্দেশ্যে যে সন্তানদের স্বাধীনতা দেওয়া উচিত, যাতে তারা নিজের জীবনকে সংগ্রাম অভিজ্ঞতার মাধ্যমে গড়ে তুলতে পারে।

১৪. প্রদত্ত সূত্র অনুসারে গল্প লেখো : -

কাহিনি-সূত্র : তিনি লোকটিকে নিজের কাঁধে তুলে নিলেননীলরতন হাসপাতালে তাকে নিয়ে এলেনডাক্তাররা বিরক্তছোঁয়াচে রোগপ্রশ্ন করলেন'তুমি কি বিদ্যাসাগর হয়ে গেছ ?—তিনি বললেন'আমিই বিদ্যাসাগর।

উত্তর : - নীলরতন হাসপাতালে বসে ছিলেন ডাক্তারবাবুরা। কাজের চাপ এতটাই যে, ক্লান্তি তাদের চোখে-মুখে স্পষ্ট। হঠাৎ করেই হাসপাতালের মূল দরজা খুলে গেল। একজন মধ্যবয়স্ক মানুষ ধীর পায়ে এগিয়ে আসছেন। তার কাঁধে একজন অসুস্থ লোক, শরীর জর্জরিত, মুখে ক্লান্তির ছাপ। তিনি কোনও ভ্রূক্ষেপ না করে সেই অসুস্থ মানুষটিকে বয়ে নিয়ে এলেন হাসপাতালের ভেতর।

ডাক্তাররা প্রথমে কিছু বুঝতে পারলেন না। একজন ডাক্তার সামনে এসে জিজ্ঞেস করলেন, " কে? ছোঁয়াচে রোগ তো!" বাকিরাও বিরক্তি প্রকাশ করতে লাগলেন। একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাক্তার একটু রূঢ় স্বরে জিজ্ঞাসা করলেন, "তুমি কি বিদ্যাসাগর হয়ে গেছ নাকি? এইভাবে লোককে কাঁধে করে নিয়ে আসছ?"

লোকটি ধীরে ধীরে মাথা উঁচু করে, শান্ত অথচ দৃঢ় কণ্ঠে বললেন, "আমিই বিদ্যাসাগর।"

ডাক্তারবাবুরা হতবাক হয়ে গেলেন। এমন উত্তর আশা করেননি কেউই। এক মুহূর্তের জন্য সবাই চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলেন। তাদের চোখের সামনে যেন বিদ্যাসাগরের আদর্শ জীবন্ত হয়ে উঠল। বিদ্যাসাগরযিনি জীবনে কখনও পিছিয়ে যাননি, সমাজের জন্য নিরলস কাজ করেছেন, অসহায় মানুষদের সাহায্য করতে কখনও পিছপা হননি।

তারপর একজন ডাক্তার নিজের ভুল বুঝতে পারলেন। বিদ্যাসাগরের মতো মানুষের উপস্থিতি সামনে থাকলে, প্রশ্ন করারও কোনও মানে থাকে না। সে মানুষটি সত্যিই বিদ্যাসাগরের মতো। নিজের দায়িত্ব পালন করতে দ্বিধা করেননি। তিনি সেই অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখার ব্যবস্থা করলেন।

ডাক্তাররা বুঝতে পারলেন, আদর্শ বিদ্যাসাগরের মতো মানুষ কখনও এককভাবে বেঁচে থাকে না। তারা সমাজের মননে বাস করে, অন্যের মধ্যে বেঁচে থাকে তাদের মূল্যবোধ দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে।

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

Enter Your Comment

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)