Class 6 তৃতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন বাংলা প্রশ্নপত্র 2025 – গুরুত্বপূর্ণ সাজেশন ও উত্তর
ক্লাস 6 3য় ইউনিট পরীক্ষা বাংলা সাজেশন 2025
শিক্ষার্থীদের জন্য ক্লাস 6 3য় ইউনিট পরীক্ষা বাংলা সাজেশন 2025 অত্যন্ত সহায়ক। এই Class 6 Bengali 3rd Unit Test Question Paper 2025 ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার ধরণ ও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সম্পর্কে ধারণা পেতে পারে। ষষ্ঠ শ্রেণির তৃতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের বাংলা সাজেশন 2025 অনুসরণ করলে সঠিকভাবে প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব। এছাড়াও WBBSE Class 6 Final Exam Question Paper 2025 এবং class VI তৃতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন 2025 বাংলা সাজেশন শিক্ষার্থীদের ক্লাস ও বাড়িতে রিভিশনে সাহায্য করবে। Class Six Third Summative Bengali Question 2025 এবং ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা সাজেশন প্রশ্নপত্র ব্যবহার করে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করা আরও সহজ হবে।
📚✨ Final Exam 2025 – Prepare Yourself!
ছাত্রছাত্রীরা! 😃 এখনই সংগ্রহ করে নাও আমাদের 4 Set প্রশ্নপত্র বা অধ্যায় ভিত্তিক সাজেশন 💥।
বিষয়সমূহ: বাংলা, ইংরেজি, ভূগোল, ইতিহাস, অঙ্ক, বিজ্ঞান
সব প্রশ্নই নতুন সিলেবাস অনুযায়ী তৈরি, যা তোমার পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সাহায্য করবে📝।
📱 সংগ্রহ করতে হলে Click করো: Click Here
Class 6 Bengali 3rd Unit Test Suggestion 2025 with Answers
১। নিচের প্রশ্নগুলির অতি সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : (১×১০=১০)
(ক) প্রতাপাদিত্য কোন অঞ্চলের জমিদার ছিলেন?
উত্তর : - প্রতাপাদিত্য ছিলেন দক্ষিণবঙ্গের যশোরের জমিদার ছিলেন ।
(খ) যতীন দাশের বাবার নাম কী ছিল?
উত্তর : - বীর-বিপ্লবী যতীন দাশের পিতার নাম ছিল বঙ্কিমবিহারী দাশ।
(গ) ‘Indian Struggle’ গ্রন্থটি কার লেখা?
উত্তর : - 'Indian Struggle' গ্রন্থটি লিখেছেন সুভাষচন্দ্র বসু।
(ঘ) ‘দুই সহোদর ভাই’ বলতে কবি কাদের বুঝিয়েছেন?
উত্তর : - কবি কাজী নজরুল ইসলাম 'দুই সহোদর ভাই' বলতে ভারতবর্ষে দীর্ঘকাল ধরে বসবাসকারী হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়কে বুঝিয়েছেন।
(ঙ) ‘ধরাতল’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে গৃহীত?
উত্তর : - কবিতাটি রবীন্দ্রনাথের 'চৈতালি' নামক কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া।
(চ) হাবুদের ক্লাসের সবচেয়ে ফাঁকিবাজ ছেলের নাম কী?
উত্তর : - নিতাই।
(ছ) সুধীরবাবুর মুদ্রা দোষটি কী?
উত্তর : - অজেয় রায়-এর লেখা 'হাবুর বিপদ' গল্পে সুধীরবাবুর মুদ্রাদোষটি হলো 'মনে থাকবে' কথাটি বলা।
(জ) হাবু কোথাকার মেলায় গিয়েছিল?
উত্তর : - হাবু গোপালপুরের মেলায় গিয়েছিল।
(ঝ) ‘ননীদা নট আউট’ গল্পটি কোন মূল গ্রন্থের অন্তর্গত?
উত্তর : - 'ননীদা নট আউট' রচনাটি মতি নন্দীর 'ননীদা নট আউট' নামক মূল গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।
(ঞ) কিশোরের মন কীসে লাগেনা?
উত্তর : - কিশোরের খেলায় মন লাগে না।
২। যে কোনো ২টি প্রশ্নের উত্তর দাও : (৩×২=৬)
(ক) ‘সব
নিয়ে এ ধরণী ভালো’— কার এমনটা মনে হয়েছে? কী কী নিয়ে ধরণী ভালো বলে তার মনে হয়েছে? (১+২)
(খ) ‘বড়ো
হয়ে ঝিনুক কুড়োয়’– কে ঝিনুক কুড়োয়? সে কোথায় ঝিনুক কুড়োয়? (১+২)
(গ) ‘ধন্য
আমরা, যদি এ শিরায় থাকে তাঁদের রক্তলেশ’ – এখানে কাদের কথা স্মরণ করা হয়েছে? তাঁরা আমাদের দেশকে কেমনভাবে সমৃদ্ধ করেছেন? (১+২)
৩। যে কোনো ২টি প্রশ্নের উত্তর দাও : (৩×২=৬)
(ক) ‘সারা
ক্লাস হাসিতে ফেটে পড়ল’— কার কোন কথায় সারা ক্লাস হেসে উঠেছিল? (১+২)
(খ) সাঁওতালরা কোন দিনটিকে গৃহমার্জনা বা অলংকরণের জন্য নির্দিষ্ট করেছেন? ওই দিনটিতে রাঢ় বঙ্গের কৃষিজীবী সমাজে কোন কোন উৎসব পালিত হয়? (১+২)
(গ) ‘খবরটা শোনামাত্র ক্ষোভে ও দুঃখে মর্মাহত কবি রাত্রি জেগেই লিখে ফেলেছিলেন’— কোন খবরের কথা বলা হয়েছে? কবি রাত্রি জেগে কী লিখেছিলেন? (১+২)
৪। যে কোনো ১টি প্রশ্নের উত্তর দাও : (৫×১=৫)
(ক) হাবুর জীবনে হঠাৎ কোন বিপদ দেখা গিয়েছিল? সে সেই বিপদ থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসতে পেরেছিল? (২+৩)
(খ) পঁচিশ বছর আগে শনিবারের একটা ফ্রেন্ডলি খেলাকে ঘিরে কোন ঘটনা ঘটেছিল, তা কাহিনী অনুসরণে সংক্ষেপে লেখো।
৫। যে কোনো ১টি প্রশ্নের উত্তর দাও : (৫×১=৫)
(ক) ‘মোরা
দুই সহোদর ভাই’ কবিতার মূল বিষয়টি সংক্ষেপে আলোচনা কর।
(খ) 'এই হয়তো সশরীরে রাঁচি ফেরার শেষ সুযোগ।'—বক্তা কে ? কোন্
সুযোগের কথা বলা হয়েছে? লেখক কীভাবে সেই সুযোগকে কাজে লাগালেন ?
৬। নিচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : ১ x ৫ = ৫
(ক) হিজিবিজবিজ কার কান্না শুনে ঘুম থেকে উঠে পড়ল?
উত্তর : - হিজিবিজবিজ ছাগলের কান্না শুনে ঘুম থেকে জেগে উঠেছিল।
(খ) ছাগলটির নাম ব্যাকরণ হওয়ার কারণ কি ?
উত্তর : - ছাগলটি খুব চমৎকার 'ব্যা' করতে পারে তাই তার নাম ব্যাকরণ।
(গ) হুতোম প্যাঁচাকে কী দিয়ে হাওয়া করছিল?
উত্তর : -হুতোম প্যাঁচাকে জ্যাতা (জ্যাতা) বা পাখা দিয়ে হাওয়া করা হচ্ছিল।
(ঘ) কচু কারা খায় বলে শেয়াল জানিয়েছে?
উত্তর : -(ঘ) কচু কারা খায় বলে শেয়াল জানিয়েছে?
(ঙ) চালতা গাছে কে থাকে?
উত্তর : - বিড়াল।
৭। সন্ধি বিচ্ছেদ করো : চতুরঙ্গ, নিশ্চয়, মনোরম, নীরব
উত্তর : -
চতুরঙ্গ: চতু: + অঙ্গ
নিশ্চয়: নিঃ + চয়
মনোরম: মনঃ + রম
নীরব: নিঃ + রব
৮। পদান্তর করো : অগ্নি, মজা, আনন্দ, অভিনয়
উত্তর : - ১. অগ্নি → অগ্নিময়
২. মজা → মজাদার
৩. আনন্দ → আনন্দময়
৪. অভিনয় → অভিনীত
৯। নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্নগুলির যথাযথ উত্তর দাও :
স্কুলের মধ্যে সবচেয়ে ডানপিটে যে ছেলেটি, সবচেয়ে না-পড়ুয়া, দুষ্টুবুদ্ধিতে ভরাট, ধরা যাক ‘হৃদয়’ তার নাম, সে বসেছে একেবারে পিছনের বেঞ্চে। তার বসা দেখে সবাই বুঝে নিয়েছে যে নিরিবিলি আপন মনে তার নকল করা আজ ঠেকাতে পারবে না কেউ। কিন্তু হেডমাস্টারমশাই তো বলেই দিয়েছেন যে চানও না তিনি ঠেকাতে, নকল যদি কেউ করতে চায় তো করুক, সে তার নিজের দায়িত্ব। তাই ও নিয়ে আর ভাবছিলাম না আমরা। আত্মমর্যাদায় গরীয়ান হয়ে লিখে যাচ্ছিলাম সবাই।
প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :- ১ x ৫ = ৫
(ক) স্কুলের সবচেয়ে ডানপিটে ছেলেটির নাম কী হতে পারে?
উত্তর : - স্কুলের সবচেয়ে ডানপিটে ছেলেটির নাম হতে পারে হৃদয়।
(খ) সবচেয়ে না-পড়ুয়া ছেলেটি কোথায় বসেছে?
উত্তর : - সবচেয়ে না-পড়ুয়া ছেলেটি বসেছে একেবারে পিছনের বেঞ্চে।
(গ) হেডমাস্টারমশাই কী বলে দিয়েছেন?
উত্তর : - হেডমাস্টারমশাই বলে দিয়েছেন যে, নকল যদি কেউ করতে চায়, তাহলে করুক—সে তার নিজের দায়িত্ব।
(ঘ) কার নকল করা আজ কেউ ঠেকাতে পারবে না?
উত্তর : - হৃদয়ের নকল করা আজ কেউ ঠেকাতে পারবে না।
(ঙ) কিভাবে সকলে লিখে যাচ্ছিল?
উত্তর : - সকলে আত্মমর্যাদায় গরীয়ান হয়ে লিখে যাচ্ছিল।
১০। নিচের শব্দ যুগলের সঠিক অর্থ লেখ : ২ x ২ = ৪
i. দিন / দীন,
দিন: দিবস বা দিন।
উদাহরণ: "আজকের দিনটি খুব সুন্দর।"
দীন: দুঃখী বা দরিদ্র।
উদাহরণ: "সমাজের দীন-দুঃখী মানুষেরা খুব কষ্টে আছে।"
ii. নিতি / নীতি
নিতি/নীতি
নিতি: প্রাত্যহিক বা নিত্য।
উদাহরণ: "সে প্রতি নিতি সকালে মর্নিং ওয়াক করতে যায়।"
নীতি: নিয়ম বা আদর্শ।
উদাহরণ: "আমাদের প্রত্যেকেরই সৎ থাকার নীতি থাকা উচিত।"
১১। যে কোনো ১টি বিষয়ে পত্ররচনা করো : (৫×১=৫)
(ক) জন্মদিনের আমন্ত্রণ জানিয়ে তোমার প্রিয় বন্ধুর উদ্দেশ্যে একটি পত্র রচনা করো।
উত্তর : -
প্রিয় রিয়া,
তুমি কেমন আছো? তোমার মা-বাবা এবং ছোট বোন মেগি কেমন আছে? অনেক দিন তোমাদের সঙ্গে দেখা হয়নি, তাই তোমাদের খুব মনে পড়ছে।
আমি এই চিঠিটা লিখছি তোমাকে আমার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাতে। আগামী ২৩শে জুন, শুক্রবার বিকেল ৫টায় আমার বাড়িতে— ১২, রোজ স্ট্রিট, গ্রিন ভিলা-৫৫— অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আমাদের অনেক বন্ধু, যেমন অঙ্কিত ও সিমরানও আসবে।
খাবার-দাবারের সঙ্গে থাকবে অনেক মজার খেলা ও বিনোদনের আয়োজন। আশা করি, তুমি অবশ্যই আসবে এবং আমার আনন্দের দিনটি আরও সুন্দর করে তুলবে।
ও হ্যাঁ, ক্লাসে তোমার সাম্প্রতিক সাফল্যের খবর শুনে খুব খুশি হয়েছি। অভিনন্দন! এমনই পরিশ্রমী থেকো সবসময়।
তোমার আগমনের অপেক্ষায় রইলাম।
অনেক ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা,
[তোমার নাম]
(খ) বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল জানিয়ে বাবার কাছে একটি পত্র লেখো।
উত্তর : -
শ্রীচরণেষু,
বাবা, তুমি জেনে খুশি হবে যে আমি খুব ভালোভাবে বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সপ্তম শ্রেণিতে উঠেছি। আগামীকাল থেকেই আমার নতুন ক্লাস শুরু হয়েছে। নতুন বই, নতুন বিষয়—সবকিছুই আমার খুব ভালো লাগছে।
আমার শিক্ষকেরা আমার পড়াশোনার খুব প্রশংসা করেছেন। মা প্রতিদিন মনোযোগ দিয়ে আমাকে পড়াচ্ছেন। মা বলেছেন, আমি যদি আরও একটু পরিশ্রম করি, তাহলে আগামী বছর প্রথম স্থান অধিকার করতে পারব। আমি সেই লক্ষ্যেই চেষ্টা করছি।
এখানে আমরা সবাই ভালো আছি। আশা করি তুমিও ভালো আছো এবং কাজের চাপ কমেছে। খুব ইচ্ছে করছে তুমি বাড়ি এসে আমাদের সঙ্গে কিছুদিন থাকো। কবে আসবে, জানিও।
তুমি আমার প্রণাম নেবে।
তোমার আদরের
রমেশ
১২। অনধিক ১০০ টি শব্দের মধ্যে অনুচ্ছেদ রচনা করো : ৬
১২.১ বর্ষণমুখর একটি রাত
উত্তর : - আমার জীবনের এক অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা হলো সেই বর্ষণমুখর রাতটি। আজও মনে আছে, সেই রাতের প্রতিটি মুহূর্ত যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে চোখের সামনে। বিয়েবাড়ির উঠোন, কোলাহল, সজ্জা, মানুষের সরলতা—সব মিলিয়ে এক অন্যরকম আবহ তৈরি করেছিল। সন্ধ্যায় যখন সেখানে পৌঁছালাম, তখনই এক পশলা বৃষ্টি থেমে গেছে। আকাশ ছিল একেবারে ধোয়া তুলসির মতো পরিষ্কার, গোধূলির সোনালি আলো ছড়িয়ে পড়েছিল সারা উঠোনে। সেই আলোর মধ্যে লালপাড় হলুদ শাড়ি পরা কিশোরীরা খালি পায়ে ছুটে বেড়াচ্ছিল, তাদের হাসি যেন চারপাশের বাতাসকেও প্রাণবন্ত করে তুলেছিল। মনে হচ্ছিল, প্রকৃতির মাঝে যেন কৃষ্ণচূড়া ফুটেছে মানবরূপে।
গ্রামের মানুষদের আন্তরিকতা ও স্নেহ আমাকে মুগ্ধ করেছিল। শহরের বিয়েবাড়ির কৃত্রিমতা বা জাঁকজমক এখানে ছিল না। ছিল না কোনো নিওন আলো, না ছিল কানে তালা লাগানো সাউন্ড সিস্টেম। বরং ছিল কলাগাছ, গাঁদা ফুল, কাগজের ঝালর আর কয়েকটা হ্যাজাক বাতি—যেন সরলতার মধ্যেই লুকিয়ে আছে সৌন্দর্য। প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের এই উৎসব একাকার হয়ে গিয়েছিল।
রাত বাড়তেই আকাশে মেঘ জমে উঠল। বিদ্যুৎ ঝলকানি, মাদলের তাল আর মেঘের গর্জনে মুহূর্তেই প্রকৃতি যেন এক নাট্যমঞ্চে পরিণত হলো। হঠাৎ শুরু হলো প্রবল বর্ষণ। বৃষ্টিতে বিয়ের সব কর্মব্যস্ততা এক নিস্তব্ধতায় ঢেকে গেল। আমি জানালার পাশে বসে শুনতে লাগলাম বৃষ্টির ছন্দময় শব্দ—একটা অদ্ভুত শান্তি নেমে এলো মনে।
ঘরের খড়ের চাল থেকে টুপটাপ জল পড়ছে, মাটির ঘরের পাশে ছোট ছোট স্রোত বয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছিল, কোনো ক্ষুদ্র নদী জন্ম নিয়েছে হঠাৎই। দূরে কয়েকটা হাঁস বৃষ্টিতে ভিজছে, কখনো পাখা ঝেড়ে আবার নাচের মতো ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে পড়ছে। সেই মুহূর্তে মনে ভেসে উঠল রবীন্দ্রনাথের গান—
“মেঘের পরে মেঘ জমেছে, আঁধার করে আসে…”
এ গান তখন যেন নতুন করে অর্থ পেল। বুঝলাম, কেন কবিরা বর্ষাকে এত ভালোবাসেন।
বর্ষা শুধু জল নয়—এ এক অনুভব, এক মাদকতা, যা স্পর্শ করা যায় না, কেবল হৃদয়ে অনুভব করা যায়। বৃষ্টির রাতের শেষে গরম খিচুরি, ইলিশ ভাজা আর মাংসের গন্ধে ভরে উঠেছিল পুরো ঘর। সেই স্বাদ, সেই আবেশ—আজও আমার স্মৃতিতে অমলিন হয়ে আছে।
১২.২ ছাত্রজীবনে খেলাধুলার উপযোগিতা
উত্তর : - ভূমিকা: প্রাচীন প্রবাদেই বলা হয়— “স্বাস্থ্যই সম্পদ।” সুস্থ শরীর ছাড়া জীবনে প্রকৃত সাফল্য লাভ করা সম্ভব নয়। শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখার অন্যতম উপায় হলো খেলাধুলা। এটি শুধু শরীর নয়, মন ও চরিত্র গঠনেরও একটি অপরিহার্য অংশ। তাই ছাত্রজীবনে খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
খেলাধুলার গুরুত্ব: খেলাধুলা শরীরকে সুস্থ রাখে, মনকে প্রফুল্ল রাখে এবং মস্তিষ্ককে কর্মক্ষম করে। নিয়মিত খেলাধুলা করলে শরীরচর্চা হয়, রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। খেলাধুলা মানুষকে সাহসী, সৎ, পরিশ্রমী, আত্মবিশ্বাসী ও অধ্যবসায়ী করে তোলে। ডাক্তার ও শিক্ষাবিদরা বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা করলে শিক্ষার্থীর মানসিক ভারসাম্য বজায় থাকে এবং সে আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
খেলাধুলার প্রকারভেদ: খেলাধুলাকে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা যায়— ইনডোর গেম ও আউটডোর গেম।
ইনডোর গেম হলো ঘরের ভেতরে খেলা যায় এমন খেলা, যেমন— দাবা, লুডো, ক্যারম, টেবিল টেনিস ইত্যাদি।
আউটডোর গেম হলো মুক্ত বাতাসে মাঠে খেলা হয় এমন খেলা, যেমন— ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, ভলিবল ইত্যাদি।
উভয় প্রকার খেলাই শরীর ও মনের বিকাশে সহায়ক।
বিদ্যালয় জীবনে খেলাধুলা: বিদ্যালয় হলো জীবনের প্রথম শিক্ষাগার। শিক্ষার্থীদের চরিত্র গঠনে যেমন পাঠ্যপুস্তক জরুরি, তেমনি খেলাধুলাও প্রয়োজন। বিশ্বের নানা দেশে শিক্ষাবিদরা খেলাধুলাকে শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। আমাদের দেশেও এখন বিদ্যালয়গুলোতে নিয়মিত ক্রীড়া অনুষ্ঠান ও খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। এতে ছাত্রছাত্রীরা দলবদ্ধভাবে কাজ করা, নেতৃত্ব দেওয়া ও শৃঙ্খলার পাঠ শেখে।
আধুনিক জীবনে খেলাধুলার প্রয়োজন: বর্তমান যুগ যান্ত্রিকতার যুগ। মানুষ এখন মেশিনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে, ফলে কায়িক পরিশ্রম কমে গেছে। এই কারণে নানা রোগ-ব্যাধি, মানসিক চাপ ও উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিয়মিত খেলাধুলা করলে শরীরের সঙ্গে মনেও নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়। খেলাধুলা আমাদের ক্লান্তি দূর করে, মনকে সতেজ রাখে এবং কর্মক্ষমতা বাড়ায়।
অতিরিক্ত খেলাধুলার অপকারিতা: যে কোনো কিছুই পরিমিত হলে ভালো। অতিরিক্ত খেলাধুলায় সময় নষ্ট হয়, পড়াশোনায় মনোযোগ কমে, এমনকি শরীর ভেঙে পড়ার আশঙ্কাও থাকে। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট সময় খেলাধুলা করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
Enter Your Comment