অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল তৃতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন ২০২৫: সম্পূর্ণ গাইড
অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল তৃতীয় ইউনিট টেস্ট ও বার্ষিক পরীক্ষা ২০২৫
WB Class Eight Geography 3rd Unit Test Proshnopotro o Uttor
ক-বিভাগ
1.1 প্রদত্ত মানচিত্রে নিম্নলিখিত স্থানগুলি উপযুক্ত চিহ্ন ও প্রতীকসহ চিহ্নিত করো :
(ক) লরেন্সীয় মালভূমি
(খ) ম্যাকেঞ্জি পর্বত
(গ) পারানা নদী
(ঘ) দক্ষিণ আমেরিকার সাভানা জলবায়ু অঞ্চল
(ঙ) আয়ার হ্রদ
1.2 সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে বাক্য সম্পূর্ণ করো : (১×৫ = ৫)
(ক) নিশীথ সূর্যের দেশ হল— (গায়না উচ্চভূমি / কানাডার শিল্ড / নরওয়ের হ্যামারফেস্ট)
উত্তর : - নরওয়ের হ্যামারফেস্ট
(খ) ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় নির্গত হয়েছিল— (সায়ানাইড / মিথাইল আইসোসায়ানাইড / মিথেন)
উত্তর : -মিথাইল আইসোসায়ানাইড
(গ) পৃথিবীর গড় ঘনত্ব— (৫.৫ গ্রাম / ৭.৫ গ্রাম / ১১ গ্রাম) প্রতি ঘন সেমি
উত্তর : - ৫.৫ গ্রাম
(ঘ) পিট
কয়লা রূপান্তরিত হয়ে তৈরি হয়— (শিস্ট / মার্বেল / গ্রাফাইট)
উত্তর : - গ্রাফাইট
(ঙ) জলকণা ও তুষার কণার আংশিক মিশ্রিত রূপ হল— (স্লিট / শিলা / শিশির)
উত্তর : -স্লিট
2. নিম্নলিখিত বিবৃতিগুলি যাচাই করে শুদ্ধ/অশুদ্ধ লেখো : (১×৪ = ৪)
২.১ চেরাপুঞ্জির গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাত ১১,৭৭৭ মিমি।
উত্তর : - শুদ্ধ
২.২ ক্যাটাবেটিক বায়ু দিনেরবেলা কার্যকরী থাকে।
উত্তর : - অশুদ্ধ
২.৩ যে তাপমাত্রায় বায়ু সম্পৃক্ত হয় তাকে ওই বায়ুর ‘শিশিরাঙ্ক’ বলে।
উত্তর : - শুদ্ধ
২.৪ ব্রাজিলের সেলভা অরণ্যে সুন্দরী, গরান প্রভৃতি উদ্ভিদ দেখা যায়।
উত্তর : - অশুদ্ধ
3. বেমানান শব্দটিকে চিহ্নিত করো : (১×৩ = ৩)
(ক) এটনা, স্ট্রম্বোলি,
ক্রাকাতোয়া, মৌনালোয়া
উত্তর : - ক্রাকাতোয়া ইন্দোনেশিয়ার একটি সুপ্ত বা মৃত আগ্নেয়গিরি।
(খ) ব্যাসল্ট,
চুনাপাথর, অবসিডিয়ান, গ্র্যানাইট
উত্তর : - চুনাপাথর হল একটি পাললিক শিলা।
(গ) আয়নবায়ু,
চিনুক বায়ু, পশ্চিমাবায়ু, মেরুবায়ু
উত্তর : - চিনুক হলো উত্তর আমেরিকার একটি উষ্ণ ও শুষ্ক বায়ু।
4. ক-স্তম্ভের সঙ্গে খ-স্তম্ভ মিলিয়ে দাও (খ-স্তম্ভে একটি অতিরিক্ত বিকল্প রয়েছে) : (১×৪ = ৪)
ক-স্তম্ভ |
খ-স্তম্ভ |
৪.১
রূপোর
শহর |
(অ)
সিরোকিউমুলাস
|
৪.২
নবীন
ভঙ্গিল
পর্বত |
(আ)
ডোলেরাইট
|
৪.৩
উপপাতালিক
শিলা |
(ই)
আন্দিজ |
৪.৪
ম্যাকারেল
মেঘ |
(ঈ)
লেহম্যান |
|
(উ)
ব্রোকেনহিল |
Answer “ - |
|
ক-স্তম্ভ |
খ-স্তম্ভ |
৪.১
রূপোর
শহর |
(উ)
ব্রোকেনহিল |
৪.২
নবীন
ভঙ্গিল
পর্বত |
(ই)
আন্দিজ |
৪.৩
উপপাতালিক
শিলা |
(আ)
ডোলেরাইট |
৪.৪
ম্যাকারেল
মেঘ |
(অ)
সিরোকিউমুলাস |
অতিরিক্ত |
(ঈ)
লেহম্যান |
5. শব্দছক সাজিয়ে উত্তর খোঁজো : (১×২ = ২)
(ক) পৃথিবীর বৃহত্তম প্রবাল প্রাচীর –
ট
|
গ্রে |
|
ব্য
|
ফ |
র |
যা |
রি |
রি |
উত্তর : - গ্রেট বাড়িয়ার রিফ
(খ) মারে–ডার্লিং অববাহিকার প্রধান শহর ও বাণিজ্যকেন্দ্র –
ডি
|
ড |
আ |
লে |
উত্তর : - আডিলেড
6. সঠিক পরিচয় খোঁজো : (১×২ = ২)
(ক) আমি
একটি যন্ত্র। রিখটার স্কেলে আমি ভূমিকম্পের তীব্রতা পরিমাপ করতে পারি। আমি কে?
উত্তর : - রিখটার স্কেল
(খ) আমি
অস্ট্রেলিয়ার পূর্বদিক বরাবর উত্তর–দক্ষিণে বিস্তৃত একটি প্রাচীন ভঙ্গিল পর্বতশ্রেণি। আমি কে?
উত্তর : - গ্রেট ডিভাইডিং রেঞ্জ
7. দু-একটি শব্দে উত্তর দাও (যে-কোনো ছয়টি) : (১×৬ = ৬)
৭.১ কোন প্রকার মেঘকে ‘বজ্র মেঘ’ বলে? — কিউমুলোনিম্বাস
৭.২ মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলের দুটি পর্ণমোচী উদ্ভিদের নাম লেখো। — সেগুন এবং শাল
৭.৩ ইউক্রেনের চের্নোবিলে কত খ্রিস্টাব্দে পরমাণু দুর্ঘটনা ঘটেছিল? — ১৯৮৬
৭.৪ ভূমিকম্পের কোন তরঙ্গ বেশিরভাগ ক্ষয়ক্ষতির জন্য দায়ী? — L-তরঙ্গ
৭.৫ নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কোনটি? — মাউন্ট কুক
৭.৬ ওশিয়ানিয়ার দীর্ঘতম নদী কোনটি? — মারে–ডার্লিং
৭.৭ ডাউনস তৃণভূমির পশুখামারে শ্রমিকদের কী বলা হয়? — জ্যাকোস
খ-বিভাগ
8. সংক্ষেপে উত্তর দাও (যে-কোনো সাতটি) : (২×৭ = ১৪)
৮.১ ‘কনরাড বিযুক্তিরেখা’ ও ‘মোহোরোভিসিক বিযুক্তিরেখা’র অবস্থান নির্ণয় করো।
উত্তর :- কনরাড বিযুক্তিরেখাটি সিয়াল (ভূত্বকের উপরের অংশ) এবং সিমা (ভূত্বকের নিচের অংশ) স্তরের মধ্যে অবস্থিত। মোহোরোভিসিক বিযুক্তি রেখাটি ভূত্বক এবং গুরুমণ্ডলের (Mantle)
ঠিক উপরের স্তরের মধ্যে অবস্থিত।
৮.২ খনিজ হিসেবে ফেল্ডসপারের উপাদান ও ব্যবহার লেখো।
উত্তর :- ফেল্ডস্পারের প্রধান উপাদান হলো পটাসিয়াম, সোডিয়াম এবং ক্যালসিয়াম যুক্ত অ্যালুমিনোসিলিকেট। এটি কাচ তৈরি, সিরামিক এবং পেইন্ট, প্লাস্টিক ও রাবারের ফিলার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
৮.৩ সমুদ্রবায়ু ও স্থলবায়ুর মধ্যে দুটি বিষয়ে তুলনা করো।
উত্তর :- 1) সংজ্ঞা
স্থানীয় ভাবে সমুদ্র থেকে স্থল ভাগের দিকে যে বায়ু প্রবাহিত হয়, তাকে সমুদ্র বায়ু বলে।
একটি
নির্দিষ্ট সময়ে স্থল ভাগ থেকে সমুদ্রের দিকে প্রবাহিত বায়ু কে স্থল বায়ু বলে।
2) প্রবাহের সময়
-
সাধারণত বিকেল ও সন্ধ্যায় সমুদ্রবায়ুর প্রবাহ বেশি দেখা যায়।
স্থলবায়ু মূলত মধ্যরাত থেকে ভোরের দিকে প্রবাহিত হয়।
৮.৪ শিলাবৃষ্টি কাকে বলে? পশ্চিমবঙ্গে কোন সময়ে শিলাবৃষ্টি হতে দেখা যায়?
উত্তর :- শিলাবৃষ্টি হল আকাশ থেকে বরফের টুকরা বা শিলা পড়ার ঘটনা, যা সাধারণত বজ্রঝড়ের সময় হয়। পশ্চিমবঙ্গে সাধারণত গ্রীষ্মকালে এবং বসন্তের শেষ থেকে গ্রীষ্মের শুরু পর্যন্ত, অর্থাৎ মার্চ-মে মাসে শিলাবৃষ্টি দেখা যায়, যা কালবৈশাখী ঝড়ের অংশ হিসেবে ঘটে।
৮.৫ সমবর্ষণ রেখা কাকে বলে ?
উত্তর :- সমবর্ষণ রেখা হলো একটি মানচিত্রের সেই কাল্পনিক রেখা যা পৃথিবীর উপর এমন সব স্থানকে সংযুক্ত করে যেখানে নির্দিষ্ট সময়ে (যেমন, একদিন বা এক বছরে) একই পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই রেখাগুলোর মাধ্যমে কোন অঞ্চলের বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ও বন্টন সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
৮.৬ মারে–ডার্লিং অববাহিকার খনিজ সম্পদের পরিচয় দাও।
উত্তর :- এখানে খনিজ সম্পদের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম। তবে প্রান্তবর্তী অববাহিকা অঞ্চলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পাওয়া যায়। ব্রোকেন হিল অঞ্চলে রূপা, তামা, সোনা, সিসা ও টিন উত্তোলিত হয়। বিশেষ করে রূপার প্রাচুর্যের কারণে ব্রোকেন হিলকে ‘রূপোর শহর’ বলা হয়। এছাড়া অ্যাডিলেড অঞ্চলে অল্প পরিমাণে কয়লাও পাওয়া যায়।
৮.৭ নিউজিল্যান্ডের ব্রিটিশ জলবায়ু অঞ্চলের বিবরণ দাও।
উত্তর :- দক্ষিণ-পূর্ব অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটিশ জলবায়ু তাসমানিয়া, নিউজিল্যান্ডে এই জলবায়ু দেখা যায় । গ্রীষ্মকাল হালকা উয় (১৫°সে) আর শীতকালে বেশ শীত (৫° সে)। পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে এখানে সারাবছর প্রচুর বৃষ্টি ( ২০০ সেমি) হয়।
৮.৮ অস্ট্রেলিয়ার ‘আয়ার রক’ পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়েছে কেন?
উত্তর :- অস্ট্রেলিয়ার ‘আয়ার্স রক’ (বর্তমানে উলুরু) পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় কারণ এটি বিশ্বের বৃহত্তম মনোলিথগুলির মধ্যে একটি, এর ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক তাৎপর্য রয়েছে এবং এটি একটি অসাধারণ প্রাকৃতিক দৃশ্য তৈরি করে। এই বিশাল শিলাস্তম্ভটি সূর্যোদয়ের সময় এবং সূর্যাস্তের সময় রঙের পরিবর্তন দেখায়, যা দর্শকদের মুগ্ধ করে।
গ-বিভাগ
9. সংক্ষেপে উত্তর দাও (যে-কোনো পাঁচটি) : (৩×৫ = ১৫)
৯.১ নিরক্ষীয় বৃষ্টি অরণ্যের ভেতরে সহজে প্রবেশ করা যায় না কেন? মৌসুমী বিস্ফোরণ বলতে কী বোঝো।
উত্তর :- নিরক্ষীয় বৃষ্টি অরণ্যের উপরিস্তরে ডালপালা পাতা মিশে চাঁদোয়ার সৃষ্টি হয়, যার জন্য সূর্যের আলো অরণ্যের তলদেশে প্রবেশ করতে পারে না। তাই তলদেশ অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়। আবার, সারা বছর বৃষ্টি হওয়ায় অরণ্যের মাটি স্যাঁতসেতে থাকে। এই আর্দ্র স্যাঁতসেতে পরিবেশে প্রচুর লতা গুল্ম জন্ম জন্মায়। তাই অরণ্যের ভেতরে সহজে প্রবেশ করা যায় না।
মৌসুমী বিস্ফোরণ : - ভারত মহাসাগর, আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ভারতীয় উপমহাদেশে প্রচুর জলীয়বাষ্প সহ প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি শুরু হয়। একে মৌসুমী বায়ুর বিস্ফোরণ বলে। এই বায়ু জলভাগের উপর দিয়ে আশায় এতে জলীয় বাষ্প প্রচুর থাকে এবং প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ সেমি বৃষ্টিপাত ঘটায়, যা "মৌসুমী বিস্ফোরণ" নামে পরিচিত।
৯.২ অগ্ন্যুদ্গম কীভাবে হয়? একটি মৃত আগ্নেয়গিরির নাম লেখো।
উত্তর : - ভূ-পৃষ্ঠের নীচে থাকা উত্তপ্ত ও গলিত পদার্থ বা ম্যাগমা বিভিন্ন কারণে ভূত্বকের দুর্বল স্থান দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে এবং লাভারূপে প্রবাহিত হয় — একে অগ্ন্যুদ্গম বলে। এটি কখনও প্রবল বিস্ফোরণসহ ঘটে, আবার কখনও খুব ধীরে ধীরে ঘটে। অগ্ন্যুদ্গমের প্রধান কারণগুলি হলো —
১. তাপ ও চাপজনিত কারণ :
পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগের তাপমাত্রা অত্যন্ত বেশি (প্রায় ২০০০° সেলসিয়াস)। এই অতিরিক্ত তাপে শিলা গলে ম্যাগমা তৈরি হয়। ভূ-আলোড়নের ফলে অভ্যন্তরে তাপ ও চাপের পার্থক্য সৃষ্টি হলে ম্যাগমা উপরের দিকে উঠে আসে এবং অগ্ন্যুদ্গম ঘটে।
২. পাতসঞ্চরণের প্রভাব : i.অভিসারী পাতসীমায় দুটি পাত পরস্পরের দিকে আসলে ভারী পাতের অংশ গলে ফাটল পথে বেরিয়ে আসে।
ii. অপসারী পাতসীমায় দুটি পাত দূরে সরে গেলে মাঝের ফাটল দিয়ে ধীরে ধীরে ম্যাগমা বেরিয়ে আসে।
iiii. নিরপেক্ষ পাতসীমায় সৃষ্ট ট্রান্সফর্ম চ্যুতি বরাবরও ম্যাগমা নির্গত হয়।
৩. ভূত্বকের দুর্বল স্থান : ভূত্বকে যদি ফাটল, চ্যুতি বা ছিদ্রপথ (Vent)
থাকে, তবে সেই দুর্বল স্থান দিয়ে ম্যাগমা সহজেই বাইরে বেরিয়ে আসে।
৪. ভূগর্ভে গ্যাসীয় চাপ বৃদ্ধি : ভূগর্ভে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে গ্যাস উৎপন্ন হয়ে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে, যা ম্যাগমাকে উপরের দিকে ঠেলে দেয় এবং অগ্ন্যুদ্গম ঘটায়।
৫. ভূঅভ্যন্তরে জলের প্রবেশ : ভূত্বকের ফাটল পথে জল প্রবেশ করলে তা উত্তাপে বাষ্পীভূত হয়। এই বাষ্প ঊর্ধ্বমুখী চাপ সৃষ্টি করে ম্যাগমাকে উপরে তুলে আনে এবং অগ্ন্যুদ্গম ঘটায়।
একটি মৃত আগ্নেয়গিরির নাম মাউন্ট পোপো।
৯.৩ পাললিক শিলার বিশেষত্ব লিপিবদ্ধ করো।
উত্তর : -ভূপৃষ্ঠের উপর অবস্থিত প্রাথমিক বা আগ্নেয় শিলা বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা যেমন বায়ুপ্রবাহ, হিমবাহ, বৃষ্টিপাত দ্বারা যুগ যুগ ধরে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় এবং চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে নুড়ি, কাকর, বালি, কাদা, পলি ইত্যাদি সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম পদার্থের পরিণত হয়। এই সকল সূক্ষ্ম পদার্থ সমূহ বায়ুপ্রবাহ, জলস্রোত, হিমবাহ বা অনেক সময় মানুষের কার্যাবলীর দ্বারা বাহিত হয়ে সমুদ্রগর্ভে বা জলাশয়ে স্তরে স্তরে জমা হয়। এইভাবে বহু বছর ধরে জমা হতে হতে ভূ-গর্ভের তাপে ও উপরিস্থ জলরাশি বা উপাদান সমূহের চাপে জমাট বেঁধে যে শিলার সৃষ্টি করে তাকেই পাললিক শিলা বলে।
পাললিক শিলার বৈশিষ্ট্য
১) পাললিক শিলায় জীবাশ্ম দেখা যায়।
২) এই শিলায় স্তর ভেদ দেখা যায় বলে একে স্তরীভূত শিলা বলে।
৩) দীর্ঘদিন সমুদ্রের তলদেশে পলি জমা হয়ে মূলত এই শিলা গড়ে উঠেছে।
৪) পাললিক শিলা অত্যন্ত নরম এবং সহজেই ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।
৫) এই শিলা অনান্য শিলার থেকে হালকা।
৬) পাললিক শিলায় কোনরকম স্ফটিক লক্ষ্য করা যায় না।
৭) এই শিলায় সছিদ্রতা (Porosity)
লক্ষ্য করা যায়।
৮) এই শিলায় খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস পাওয়া যায়।
৯) এই শিলা চকচকে এবং সুন্দর নয়।
১০) পাললিক শিলায় কাদায় চিড় খাওয়া দাগ (Mud
Cracks) ও সমুদ্রগর্ভে সৃষ্ট বলে অনেক সময় ঢেউয়ের মতন চিহ্ন (Ripple
Mark) দেখা যায়।
৯.৪ ক্রান্তীয় অঞ্চলে মহাদেশের পশ্চিম দিকে মরুভূমির সৃষ্টি হয়েছে কেন? নিরক্ষীয় শান্ত বলয় কী?
উত্তর : -দুই গোলার্ধে ক্রান্তীয় অঞ্চলের কম উষ্ণ স্থান থেকে তুলনায় বেশি উষ্ণ নিরক্ষীয় অঞ্চলের দিকে আয়নবায়ু প্রবাহিত হওয়ায় এর উষ্ণতা বেড়ে যায় । জলীয় বাষ্প ধারনের ক্ষমতা বাড়ে। ফলে এই বায়ু মহাদেশের পূর্ব উপকূলে বৃষ্টিপাত ঘটালেও পশ্চিমাংশে একেবারেই বৃষ্টিপাত হয় না । এই কারনে মহাদেশের পশ্চিমাংশে অধিকাংশ উষ্ণ মরুভূমির সৃষ্টি হয়েছে ।
যেমন আফ্রিকার সাহারা (উত্তর গোলার্ধে) , আফ্রিকার কালাহারি ( দক্ষিণ গোলার্ধে)।
নিরক্ষীয় শান্ত বলয় হল পৃথিবীর নিরক্ষীয় অঞ্চলের একটি বিশেষ অঞ্চল যেখানে বায়ুপ্রবাহ খুবই কম থাকে এবং আবহাওয়া স্থিতিশীল থাকে। এই অঞ্চলটি সাধারণত নিরক্ষরেখার কাছাকাছি অবস্থিত এবং এখানে বায়ুপ্রবাহের অভাবে জাহাজ চলাচল করতে সমস্যার সম্মুখীন হয়।
৯.৫ পৃথিবীর নবীন ভঙ্গিল পার্বত্য অঞ্চলগুলি ভূমিকম্প প্রবন কেন ?
উত্তর : - পৃথিবীর নবীন ভঙ্গিল পার্বত্য অঞ্চল ভূমিকম্পপ্রবণ হওয়ার কারণগুলি হল নিম্নরূপ –
(1) অভিসারী পাত সীমানায় অবস্থান:- এই অঞ্চলগুলি অভিসারী পাত সীমানায় অর্থাৎ দুটি পাতের সংঘর্ষস্থলে অবস্থিত। এক্ষেত্রে হালকা পাতের নীচে ভারী পাতটি অনবরত প্রবেশ করার ফলে যে ঘর্ষণ ও সংঘর্ষ হয় তার ফলে ওই অঞ্চলে ভূমিকম্প হয় ।
(2) পর্বতের উত্থান প্রক্রিয়া:- নবীন ভঙ্গিল পর্বতের উত্থান প্রক্রিয়া এখনও চলতে থাকায় অঞ্চলটি ভূমিকম্পপ্রবণ।
(3) অন্যান্য:- এই অঞ্চলে প্রায়ই ভূমিধস ও অন্যান্য কারণে ভূমিকম্প হয়ে থাকে।
৯.৬ নিউজিল্যান্ডের ক্রান্তীয় তৃণভূমি ও নাতিশীতোষ্ণ তৃণভূমির পরিচয় দাও।
উত্তর : - ক্রান্তীয় তৃণভূমি : অস্ট্রেলিয়ার উত্তরে কম বৃষ্টিপাত যুক্ত অঞ্চলে বড়ো বড়ো ঘাস জন্মায়। অস্ট্রেলিয়ার এই অঞ্চল ‘পার্কল্যান্ড সাভানা' নামে পরিচিত। এই তৃণভূমিতে মাঝে মাঝে ইউক্যালিপটাস, জুরা জাতীয় গাছ দেখা যায় ৷
নাতিশীতোয় তৃণভূমি : গ্রেট ডিভাইডিং রেঞ্জের পশ্চিমদিকে মারে-ডার্লিং অববাহিকায় ছোটো ছোটো ঘাসের বিশাল তৃণভূমি দেখা যায়। এই তৃণভূমি ‘ডাউনস্’ নামে পরিচিত।
📚 অষ্টম শ্রেণী – 3rd Unit Test
✨ সব বিষয়ের 4 সেট প্রশ্নপত্র + উত্তরপত্র
⬇️ এখনই সংগ্রহ করুন : - Get Now
10. নিম্নলিখিত যে-কোনো দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও : (৫×২ = ১০)
১০.১ মারে–ডার্লিং অববাহিকার ভূপ্রকৃতি ও পশুপালনের বর্ণনা দাও।
১০.২ ওশিয়ানিয়ার অন্যতম প্রধান ভূখণ্ড অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমের মালভূমি এবং উপকূলের সমভূমি অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি উল্লেখ করো।
১০.৩ ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলের আর্থসামাজিক পরিবেশ ও জীবনযাত্রার বিবরণ দাও।
১০.৪ ‘বিশ্ব উষ্ণায়ন’ এবং ‘জলাভূমি ভরাট’ কীভাবে পরিবেশের অবনমন ঘটিয়েছে তা বুঝিয়ে দাও। পরিবেশ দূষণ আর পরিবেশের অবনমন তা কী বুঝিয়ে লেখো ।
Enter Your Comment