ষষ্ঠ শ্রেণীর ইতিহাস তৃতীয় ইউনিট টেস্ট 2025: প্রশ্নপত্র ও উত্তর সহ সম্পূর্ণ গাইড
Class 6 History 3rd Unit Test Suggestion 2025
ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য Class 6 History 3rd Unit Test Suggestion 2025 একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি উপকরণ। এই গাইডে ক্লাস 6 ইতিহাস 3য় ইউনিট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র 2025, Third Summative Test History Suggestions, ষষ্ঠ শ্রেণির তৃতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের ইতিহাস প্রশ্নপত্র, এবং Third Unit Test Question Paper History Class 6 সংক্রান্ত সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা এই সম্পূর্ণ তথ্য ব্যবহার করে পরীক্ষার জন্য সহজে প্রস্তুতি নিতে পারবে, গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর অনুশীলন করতে পারবে, এবং সঠিক ধারণা নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।
WBBSE Class 6 History Third Unit Test Question Paper 2025
১। শূন্যস্থান পূরণ করঃ (১×৫ = ৫)
ক) মগধ অঞ্চলে ______ চাষ বেশি হত।
উত্তর : - ধানের
খ) ‘হিদুষ’ শব্দটি এসেছে যে নদের নাম থেকে তা হল__________।
উত্তর : - সিন্ধু
গ) অর্থশাস্ত্র – র লেখক হলেন ______।
উত্তর : - কৌটিল্য
ঘ) বৈদিক সমাজে পরিবারের প্রধান ছিলেন ______।
উত্তর : - গৃহপতি বা পিতা
ঙ) গৌতম বুদ্ধের প্রথম নাম ছিল ______।
উত্তর : - সিদ্ধার্থ
২। সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখঃ (১×৫ = ৫)
ক) প্রাচীন ভারতের ইতিহাসে প্রথম নগরায়ণ দেখা গিয়েছিল — (হরপ্পায় / মগধে / কলকাতায়)
উত্তর : - হরপ্পায়
খ) মহাভারতের আদি নাম — (ভারত / জয়কাব্য / মহাভারত)
উত্তর : - জয়কাব্য
গ) পাথর কেটে রথের মত দেখতে মন্দির তৈরী হয়েছিল — (তামিলনাড়ুতে / কেরালায় / মহাবলীপুরমে)
উত্তর : - মহাবলীপুরমে
ঘ) মিশরের শাসকদের বলা হত — (ফ্যারাও / রাজা / নৃপতি)
উত্তর : - ফ্যারাও
ঙ) সেন্ট থমাস খ্রিস্টধর্ম প্রচারের জন্য ভারতীয় উপমহাদেশে এসেছিলেন — (আলেকজান্ডার / মিনান্দর / গন্ডফারনেস)-এর আমলে।
উত্তর : - গন্ডফারনেস
৩। বেমানান শব্দটি খুঁজে বের করে লেখঃ (১×৩ = ৩)
ক) সুয়ান জাং, ফাসিয়ান, আলেকজান্ডার
উত্তর : - আলেকজান্ডার
খ) ভৃগকচ্ছ, তাম্রলিপ্ত, কল্যাণবন্দর
উত্তর : - কল্যাণবন্দর
গ) অভিজ্ঞান শকুন্তলম, মেঘদূতম, মৃচ্ছকটিকম
উত্তর : - মৃচ্ছকটিকম
৪। ভুল বাক্যগুলি সঠিক করে লেখঃ (১×৩ = ৩)
ক) নালন্দা মহাবিহারে কেবল ব্রাহ্মণ ছাত্ররাই পড়তে পারত।
উত্তর : - নালন্দা মহাবিহারে শুধুমাত্র ব্রাহ্মণ ছাত্ররাই নয়, বিভিন্ন বর্ণ ও দেশ থেকে ছাত্ররা পড়তে পারত।
খ) কম্বনের রামায়নে রামকে বড়ো করে দেখানো হয়েছে।
উত্তর : - কম্বনের রামায়নে রামকে দেবতা হিসেবে নয়, মানবীয় চরিত্রে দেখানো হয়েছে।
গ) পলিসগুলির মধ্যে বিখ্যাত ছিল মগধ।
উত্তর : - মগধ রাজ্যগুলি মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ও বিখ্যাত ছিল।
৫। নিচের প্রশ্নগুলির সঠিক উত্তর লেখঃ (১×১০ = ১০)
ক) সবচেয়ে পুরানো বৈদিক সংহিতা কোনটি?
উত্তর : - সবচেয়ে প্রাচীন বৈদিক সংহিতা হলো ঋগ্বেদ।
খ) দুটি গণরাজ্যের নাম লেখ।
উত্তর : - দুটি প্রাচীন ভারতীয় গণ রাজ্যের নাম হলো বৃজি এবং মল্ল।
গ) কার্ষাপণ বলতে কী বোঝ?
উত্তর : - কার্ষাপণ হলো প্রাচীন ভারতীয় মুদ্রা যা খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতাব্দী থেকে প্রচলিত ছিল। এটি সোনা, রূপা, বা তামার তৈরি ছিল।
ঘ) বণিকগ্রাম বলতে কী বোঝ?
উত্তর : - ণিকগ্রাম বলতে বোঝায় সেইসব গ্রাম বা জনপদ, যেখানে প্রধানত ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করতেন এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের কাজে নিয়োজিত থাকতেন। এই ধরনের গ্রাম সাধারণত বানিজ্যপথের ধারে প্রতিষ্ঠিত হত।
ঙ) অগ্রহার ব্যবস্থা কাকে বলে?
উত্তর : - অগ্রহার ব্যবস্থা হল কোনো ব্রাহ্মণ বা বিদ্বানকে জমি বা গ্রাম দান করার রীতি। প্রাপ্ত সেই জমি বা গ্রামকে অগ্রহার বলে। এতে প্রাপক সম্পূর্ণ মালিকানা ও কর আদায়ের অধিকার পেতেন।
চ) গুরুকুল ব্যবস্থা কাকে বলে?
উত্তর : - গুরুকুল শিক্ষা ব্যবস্থা হল একটি প্রাচীন ভারতীয় আবাসিক স্কুলিং পদ্ধতি যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের গুরুর সাথে বসবাস করে, ঘনিষ্ঠ মিথস্ক্রিয়া এবং বাস্তব অভিজ্ঞতার মাধ্যমে শেখে।
ছ) কয়েকটি বিখ্যাত মহাবিহারের নাম লেখ।
উত্তর : - ১. তক্ষশিলা মহাবিহার ২. নালন্দা মহাবিহার ৩. বিক্রমশীলা মহাবিহার ৪. ওদন্তপুরী মহাবিহার ৫. সোমপুর মহাবিহার।
জ) বরাহমিহিরের লেখা দুটি গ্রন্থের নাম কী?
উত্তর : - বরাহমিহিরের লেখা দুটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের নাম হলো পঞ্চসিদ্ধান্তিকা এবং বৃহৎ সংহিতা।
ঝ) তোরণ কাকে বলে?
উত্তর : - বৌদ্ধস্তূপের মধ্যে প্রবেশ করার জন্য যে প্রবেশদ্বার নির্মিত হত, তাকেই বলা হয় তোরণ।
ঞ) চীন সভ্যতা গড়ে উঠেছিল কোন কোন নদীর অববাহিকায়?
উত্তর : - চীন সভ্যতা গড়ে উঠেছিল প্রধানত হুয়াংহো (হলুদ নদী) এবং ইয়াংসিকিয়াং নদীর অববাহিকায়।
৬। ডানদিকের সঙ্গে বামদিকের মিল স্থাপন করঃ (১×৪ = ৪)
বামদিক - ডানদিক
i) নকস-ই রুস্তম ক) ইন্দোগ্রীক শাসক
ii) প্রথম অ্যান্টিওকস খ) গণিতবিদ
iii) মিনান্দার গ) সিরিয়া
iv) নাগার্জুন ঘ) প্রথম দরায় বৌষ
উত্তর : -
i) নকস-ই রুস্তম ঘ) প্রথম দরায় বৌষ
ii) প্রথম অ্যান্টিওকস গ) সিরিয়া
iii) মিনান্দার ক) ইন্দোগ্রীক শাসক
iv) নাগার্জুন খ) গণিতবিদ
৭। নিচের প্রশ্নগুলির সঠিক উত্তর লেখঃ (২×৫ = ১০)
ক) মহাভারতকে পঞ্চম বেদ বলা হত কেন?
উত্তর : - মহাভারত কে পঞ্চম বেদ বলা হয়। বেদ যেমন জ্ঞানের ভান্ডার মহাভারতে সেই প্রকার অসংখ্য জ্ঞান গল্পের আকারে দেওয়া আছে। তাই মহাভারত কে পঞ্চম বেদ বলা হয়।
খ) ‘মৃচ্ছকটিক’ শব্দের অর্থ কী? ‘মৃচ্ছকটিক’ নাটকটির রচয়িতা কে?
উত্তর : - 'মৃচ্ছকটিক' শব্দের অর্থ হলো 'মাটির ছোট্ট গাড়ি'। এই সংস্কৃত নাটকটির রচয়িতা হলেন শূদ্রক।
গ) সংখ্যায়ন কাকে বলে?গুহাবাস কাকে বলে?
উত্তর : - পাটিগণিত, বীজগণিত ও জ্যামিতি মিলিয়ে বৌদ্ধদের গণিতবিজ্ঞান তৈরি হয়েছিল। সেই গণিতবিজ্ঞানকে জৈনরা সংখ্যায়ন বলত। অশোক ও তাঁর পরবর্তী মৌর্য সম্রাটরা আজীবিকদের জন্য পাহাড় কেটে কৃত্রিম গুহা বানাত। সেই গুহাগুলির ভিতরে সন্ন্যাসীরা থাকতেন বলে তাকেই গুহাবাস বলা হত।
ঘ) টীকা লেখো: আর্যভট্ট।
উত্তর : - গুপ্ত যুগের বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও গণিতজ্ঞ ছিলেন আর্যভট্ট। চারটি খণ্ডে এবং ১১৮টি স্তোত্রে বিভক্ত আর্যভট্টীয় নামক গ্রন্থে তিনি গণিত, সময় ও গ্রহ-নক্ষত্র বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তিনিই প্রথম সংখ্যা হিসেবে শূন্যের ব্যবহার করেন। আর্যভট্টের মতে, পৃথিবীর আকৃতি গোলাকার এবং নিজ অক্ষের ওপর পৃথিবী সর্বদা ঘুরছে। চন্দ্রগ্রহণ বিষয়ে তিনি বলেন, পৃথিবীর ছায়া চাঁদের ওপর পড়লেই চন্দ্রগ্রহণ হয়। আর্যভট্টের লেখা অপর একটি গ্রন্থ হল সূর্য সিদ্ধান্ত। জ্যোতির্বিজ্ঞান ও গণিতে তাঁর বিশেষ কৃতিত্বের কারণে ভারতের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহের নাম রাখা হয় আর্যভট্ট।
ঙ) ইরিথিয়ান সাগর বলতে কোন অঞ্চলকে বোঝানো হত?
উত্তর : - ইরিথ্রিয়ান সাগর বলতে মূলত ভারত মহাসাগর, লোহিত সাগর এবং পারস্য উপসাগরের সংলগ্ন জলরাশিকে বোঝানো হতো।
৮। নিচের প্রশ্নগুলির সঠিক উত্তর লেখঃ (৩+২ = ৫)
ক) ‘যবনিকা’ শব্দটি কিভাবে তৈরি হয়েছে? শক-কুষানরা উপমহাদেশে কী ধরনের পোশাক চালু করেছিল?
উত্তর : - যবনিকা শব্দটি এসেছে 'যবন' (গ্রিক বা বিদেশি) থেকে, অর্থাৎ বিদেশিদের পর্দা অথবা পর্দা/ঝুল। শক ও কুষাণরা পুরুষদের পাজামা ও কোট এবং মহিলাদের লম্বা স্কার্ট ও ওড়না ধরনের পোশাক চালু করেছিল।
খ) কোন কোন নদীর তীরে মেসোপটেমিয়া সভ্যতা গড়ে উঠেছিল? মিশরের লিপির নাম কী? রাজা হামুরাবি বিখ্যাত কেন? প্রথম কাগজ বানানোর কৌশল কারা তৈরি করেছিল? ‘পলিস’ বলতে কী বোঝ?
উত্তর : - ১. মেসোপটেমিয়া সভ্যতা ইউফ্রেটিস ও টাইগ্রিস নদীর তীরে গড়ে উঠেছিল।
২. মিশরের প্রাচীন নাম ছিল 'কেমেট'।
৩. রাজা হামুরাবি লিখিত আইনের জন্য বিখ্যাত।
৪. প্রথম কাগজ/প্যাপিরাস বানানোর কৌশল মিশরীয়রা আবিষ্কার করেছিল।
৫. পলিস বলতে প্রাচীন গ্রিসের শহর-রাষ্ট্রকে বোঝায়।
গ) জাতিভেদ প্রথা কঠোর হবার ফলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের চর্চায় সমস্যা তৈরী হয়েছিল কেন? পতঞ্জলির লেখা গ্রন্থটির নাম কী?
উত্তর : -জাতিভেদ কঠোর হওয়ায় নিম্নবর্ণের লোকদের চিকিৎসার সুযোগ ছিল না, তাই চিকিৎসাবিজ্ঞানের চর্চা বাধাপ্রাপ্ত হতো। পতঞ্জলির লেখা বিখ্যাত গ্রন্থের নাম 'যোগসূত্র'।
ঘ) ‘মুদ্রারাক্ষস’ ও ‘দেবীচন্দ্রগুপ্তম’ নাটকের বিষয়বস্তু কী? তামিল মহাকাব্য দুটির নাম লেখ। মৌর্য আমলের অর্থনীতি মূলত কিসের উপর নির্ভর করত?
উত্তর : -১. 'মুদ্রারাক্ষস' নাট্যটি চাণক্য চন্দ্রগুপ্তের রাজনৈতিক কৌশল। 'দেবীচন্দ্রগুপ্তম' নাটকটি চন্দ্রগুপ্ত দ্বিতীয় ও ধ্রুবদেবীর কাহিনি।
২. তামিল মহাকাব্য: 'শিলাপদিকারম' ও 'মণিমেখলাই'।
৩. মৌর্য আমলের অর্থনীতি ছিল কৃষি-নির্ভর।
৯। টীকা লেখ (যে কোনো দুটি): ৩ x ২ = ৬
ক) তক্ষশিলা মহাবিহার
উত্তর : - তক্ষশিলা প্রকৃতপক্ষে ছিল গন্ধার মহাজনপদের রাজধানী। বিভিন্ন বিদেশি শক্তি নানা সময়ে তক্ষশিলা দখল করায় প্রথম থেকেই বহু মানুষ ও পণ্ডিত ব্যক্তিদের আসা-যাওয়া ছিল তক্ষশিলায়। এই সূত্র ধরেই বৌদ্ধ ধর্ম তক্ষশিলায় জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং ধীরে ধীরে বিখ্যাত শিক্ষাকেন্দ্রে পরিণত হয়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ষোলো থেকে কুড়ি বছর বয়সের ছাত্ররা উচ্চশিক্ষার জন্য মেধা পরীক্ষা দিয়ে এখানে ভরতি হতে পারত। শিক্ষার্থীরা আট বছর এখানে লেখাপড়ার চর্চা করত। রাজা, ব্যবসায়ী, সাধারণ মানুষ এই মহাবিহার পরিচালনায় সাহায্য করতেন। পরীক্ষা পদ্ধতি ছিল সহজ। তবে এখানে লিখিত পরীক্ষা দিতে হত না। জীবক, পাণিনি, চাণক্য ছিলেন এই মহাবিহারের ছাত্র।
খ) সুদর্শন হ্রদ
উত্তর : - প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশে রাজকীয় উদ্যোগকে জলসেচ ব্যবস্থার একটি প্রধান উদাহরণ সুদর্শন হ্রদ। মৌর্য আমলের থেকে গুপ্ত আমল পর্যন্ত এই হ্রদের ব্যবহার ছিল। চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের শাসনকালে কাথিয়াওয়াড় অঞ্চলে এই হ্রদ বানানো হয়েছিল। 'ওয়াড়' কথার মানে শহর। এটি একটি নদীভিত্তিক বড় মাপের সেচ প্রকল্প। অশোকের শাসনকালে সেচ প্রকল্পটিতে কয়েকটি সেচ খালও যোগ করা হয়। শক শাসক রুদ্রদামন এই হ্রদটির সংস্কার করেন। বাঁধটিকে আরও বড় ও শক্তিশালী করা হয়। এই পুরো কাজের বর্ণনা রুদ্রদামন জুনাগড়ের একটি শিলালেখে খোদাই করেছিলেন। গুপ্ত সম্রাট স্কন্দগুপ্তের শাসনের প্রথম বছরেই আবার হ্রদটি মেরামতির দরকার হয়। খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতক থেকে খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতক পর্যন্ত সুদর্শন হ্রদের টানা ব্যবহার হয়েছিল।
গ) গন্ধার শিল্প
উত্তর : - গান্ধার শিল্প হল উত্তর-পশ্চিম ভারতে এবং তৎসংলগ্ন অঞ্চলে বিকাশিত একটি বিশেষ শিল্পধারা, যা মূলত কুষাণ যুগে প্রস্ফুটিত হয়েছিল। এই শিল্পরীতির প্রাথমিক কেন্দ্র ছিল গান্ধার অঞ্চল, যা বর্তমানে পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে অবস্থিত। গান্ধার শিল্পের বিকাশের সাথে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থান যেমন পেশোয়া, বেগ্রাম এবং জোয়াট উপত্যকার নামও জড়িত।
গান্ধার শিল্পের মূল বৈশিষ্ট্য হল এর গ্রীক আঙ্গিক এবং বৌদ্ধ বিষয়বস্তু। যদিও এই শিল্পে গ্রীক শিল্পের ছাপ স্পষ্ট, তবু এর বিষয়বস্তু মূলত গৌতম বুদ্ধ ও বৌদ্ধ ধর্মের আদর্শের সাথে যুক্ত। এই শিল্পরীতিতে গ্রীক দেব-দেবী, পোশাক, অলঙ্কার এবং মুখাবয়বের নিখুঁত চিত্রায়ণ দেখা যায়।
১০। নিচের বিবৃতিগুলির সঙ্গে মানানসই ব্যাখ্যা লেখঃ (১×৪ = ৪)
ক) বিবৃতি: দাক্ষিণাত্যে ভালো তুলো চাষ হত।
ব্যাখ্যা:
i) দাক্ষিণাত্যের কালো মাটি তুলোচাষের পক্ষে ভালো ছিল।
ii) দাক্ষিণাত্যের মাটিতে অন্য কোন ফসল হতো না।
iii) দাক্ষিণাত্যের কৃষকরা শুধুই তুলো চাষ করতে জানতেন।
উত্তর : - i)
খ) বিবৃতি: সমুদ্র বাণিজ্যে ভারতীয় উপমহাদেশের দুই উপকূলের বন্দরগুলি খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
ব্যাখ্যা:
i) দুই উপকূলে প্রচুর মাছ পাওয়া যেত।
ii) উপকূলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছিল অত্যন্ত মনোরম।
iii) পশ্চিম উপকূলের বন্দরগুলির সঙ্গে রোমের বাণিজ্য চলত এবং পূর্ব উপকূলের মাধ্যমে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষিত হত।
উত্তর : - iii)
গ) বিবৃতি: শুশ্রুত সংহিতায় কারিগরদের হাতের কাজের প্রশংসা করা হয়েছে।
ব্যাখ্যা:
i) কারিগরদের খুশি করার জন্য।
ii) কারিগররা চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয় জিনিস সঠিকভাবে বানিয়ে দিতেন।
iii) কারিগররাই শুশ্রুত সংহিতা লিখেছিলেন।
উত্তর : - ii)
ঘ) বিবৃতি: সুয়ান জাং চিন থেকে ভারতীয় উপমহাদেশে এসেছিলেন।
ব্যাখ্যা:
i) বৌদ্ধ ধর্ম সম্পর্কে আরও পড়াশোনা করার জন্য।
ii) ভারতীয় উপমহাদেশে বেড়াতে আসার জন্য।
iii) হর্ষবর্ধনের শাসন বিষয়ে বই লেখার জন্য।
উত্তর : - i)
Enter Your Comment