Class 10 History Third Summative Question and Answer। দশম শ্রেণীর তৃতীয় ইউনিট টেস্টের ইতিহাস প্রশ্নপত্র

0
Class 10th History Third Summative Question and Answer। দশম শ্রেণীর তৃতীয় ইউনিট টেস্টের ইতিহাস প্রশ্নপত্র


দশম শ্রেণীর তৃতীয় ইউনিট টেস্টের ইতিহাস প্রশ্নপত্র ও তার সমাধান 


পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদের(West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE)) অন্তর্গত মাধ্যমিক ইতিহাস তৃতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন( Class 10 History Third Summative Unit Test ) ছাত্রছাত্রীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। Class 10 History 3rd Summative Unit Test পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার দক্ষতা বাড়িয়ে তুলতে পারে। এর জন্য শিক্ষার্থীদের দশম শ্রেণীর ইতিহাস মডেল প্রশ্নপত্র অনুশীলন(History Third Summative Unit Test), প্রশ্নপত্র অনুশীলন এবং প্রশ্ন ও উত্তর পর্যালোচনার উপর মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।প্রশ্নপত্র অনুশীলন(Class-10 History Third-Summative-Unit-Test Question) শিক্ষার্থীদের জন্য পূর্ণাঙ্গ সহায়তা প্রদান করে, যাতে তারা West Bengal Class 10 history third summative unit test পরীক্ষার জন্য সঠিকভাবে প্রস্তুতি নিতে পারে। তাই তোমাদের জন্য Info Educations নিয়ে এসেছে দশম শ্রেণীর (মাধ্যমিক) ইতিহাস প্রশ্নপত্র ও তার বিস্তারিত সমাধান (West Bengal Class 10th History Third Summative Question And Answer)। এরকম আরও অন্যান্য বিষয়ের প্রশ্ন ও তার বিস্তারিত সমাধান পাওয়ার জন্য আমাদের Website কে আরও বেশি বেশি করে Follow করো।  

WBBSE HISTORY 3RD SUMMATIVE QUESTION PAPER 2024 : - 

শ্রেণী

দশম

বিষয়

ইতিহাস

পূর্ণমান

70

সময়

2 ঘন্টা 30 মিনিট


বিভাগ ‘ক’ ১।  সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো (২০x১=২০)
১.১ ভারতে ফুটবল খেলা প্রবর্তন করেন-

(ক) ইংরেজরা 
(খ) ওলন্দাজরা 
(গ) ফরাসিরা 
(ঘ) পর্তুগীজরা।
১.২ ‘খেলা যখন ইতিহাস' গ্রন্থটি রচনা করেন-
(ক) কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায় 
(খ) বোরিয়া মজুমদার 
(গ) রূপক সাহা 
(ঘ) গৌতম ভট্টাচার্য।
১.৩ সাবলটার্ন স্টাডিজের প্রবর্তক-
(ক) মার্ক ব্লখ 
(খ) রণজিৎ গুহ 
(গ) তপন রায়চৌধুরি 
(ঘ) রমেশচন্দ্র মজুমদার।
১.৪ ভারতের প্রথম চলচ্চিত্র-
(ক) জামাই ষষ্ঠী 
(খ) বিশ্বমঙ্গল 
(গ) বালিকা বধূ 
(ঘ) রাজা হরিশচন্দ্র।
১.৫ ‘ব্রাহ্মসভা’ প্রতিষ্ঠা করেন-
(ক) দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর 
(খ) রাজা রামমোহন রায় 
(গ) কেশবচন্দ্র সেন 
(ঘ) দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ।
১.৬ পটলডাঙা অ্যাকাডেমির বর্তমান নাম হল-
(ক) হেয়ার স্কুল 
(খ) বেথুন স্কুল 
(গ) কলেজিয়েট স্কুল 
(ঘ) হিন্দু স্কুল।
১.৭ মেকলের মিনিট কবে পেশ করা হয়-
(ক) ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দে 
(খ) ১৮২৩ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে
(ঘ) ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দে।
১.৮ কলকাতা মেডিকেল কলেজ প্রথম শব ব্যবচ্ছেদ করেন-
(ক) নবীনচন্দ্র মিত্র 
(খ) দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ 
(গ) উমাচরণ ধর 
(ঘ) মধুসূদন গুপ্ত।
১.৯ ‘বাংলার নানাসাহেব' নামে পরিচিত ছিলেন-
(ক) হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়
(খ) কুমুদরঞ্জন মল্লিক 
(গ) দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর 
(ঘ) রামরতন মল্লিক।
১.১০ ভারতে প্রথম ওয়াহাবি আন্দোলনের প্রসার ঘটান-
(ক) সৈয়দ আহমেদ 
(খ) আবদুল ওয়াহাব 
(গ) তিতুমির 
(ঘ) মৈনুদ্দিন।
১.১১ উপনিবেশিক শোষণের বিরুদ্ধে ভারতে সংঘটিত প্রথম কৃষক বিদ্রোহ-
(ক) রংপুর বিদ্রোহ 
(খ) সন্ন্যাসী বিদ্রোহ
(গ) নীল বিদ্রোহ 
(ঘ) পাবনা বিদ্রোহ।
১.১২ ‘ফরাজি' কথার অর্থ হল-
(ক) আল্লাহর কাছে নিজেকে নিবেদন 
(খ) নবজাগরণ 
(গ) আল্লাহ কর্তৃক নির্দেশিত বাধ্যতামূলক কাজ 
(ঘ) নির্দেশিত পথ।
১.১৩ 'ভারত সভার প্রথম সভাপতি ছিলেন-
(ক) রাজনারায়ণ বসু 
(খ) শিবনাথ শাস্ত্রী 
(গ) কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় 
(ঘ) মনমোহন ঘোষ।
১.১৪ ‘দেশীয় সংবাদপত্র আইন ও অস্ত্র আইন চালু হয়-
(ক) ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে 
(গ) ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে 
(ঘ) ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে।
১.১৫ সিপাহি বিদ্রোহের প্রথম শহিদ ছিলেন-
(ক) নানাসাহেব 
(খ) তাঁতিয়া তোপি
(গ) রানী লক্ষ্মীবাঈ
(ঘ) মঙ্গল পান্ডে।
১.১৬ ভারতের প্রথম উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক সংগঠন ছিল-
(ক) ভারত সভা 
(খ) হিন্দুমেলা 
(গ) মহাজন সভা 
(ঘ) জমিদার সভা।
১.১৭ বসু বিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন-
(ক) জগদীশচন্দ্র বসু 
(খ) মেঘনাদ সাহা 
(গ) চন্দ্রমুখী বসু 
(ঘ) প্রফুল্লচন্দ্র রায়।
১.১৮ 'রমন এফেক্ট' আবিস্কারের জন্য নোবেল পুরস্কার পান-
(ক) মেঘনাদ সাহা 
(খ) আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় 
(গ) সি.ভি. রমন 
(ঘ) সত্যেন্দ্রনাথ বসু।
১.১৯ ‘ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্স’-এর প্রথম অধিকর্তা ছিলেন-
(ক) ড: মহেন্দ্রলাল সরকার 
(খ) ড: নীলরতন সরকার 
(গ) ইউজিন লাঁফো 
(ঘ) প্যারিমোহন মুখোপাধ্যায়।
১.২০ “সন্দেশ' পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন-
(ক) গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য 
(খ) লীলা মজুমদার 
(গ) উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী 
(ঘ) সত্যজিৎ রায়।

বিভাগ ‘খ’ ২।  যে কোনো ষোলটি প্রশ্নের উত্তর দাও (প্রতিটি উপবিভাগ থেকে অন্তত ১টি করে প্রশ্নের উত্তর দাও) (১৬ x ১ = ১৬)

উপবিভাগ ২.১: একটি বাক্যে উত্তর দাও
২.১.১ সরকারি নথিপত্র সংরক্ষ করা হয় কোথায়?
২.১.২ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য কে ছিলেন?
২.১.৩ ‘ধরতি আবা’ নামে কে পরিচিত ছিলেন?
২.১.৪ বাংলার প্রথম সংবাদপত্র কোনটি?

উপবিভাগ ২.২: ঠিক বা ভুল নির্ণয় করো
২.২.১ বঙ্গদর্শন পত্রিকার প্রথম সম্পাদক ছিলেন রাজা রামমোহন রায়।
২.২.২ কলকাতা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন ওয়ারেন হেস্টিংস।
২.২.৩ 'হুল' কথার অর্থ হল বিদ্রোহ।
২.২.৪ বাংলায় লাইনো টাইপ প্রবর্তন করেন উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী।

উপবিভাগ ২.৩: ‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মেলাও

'' স্তম্ভ

 '' স্তম্ভ

..  ডিরোজিও

() হিন্দুমেলা

.. সুই মুন্ডা

() প্রথম বাংলা অক্ষর টাইপ

.. নবগোপাল মিত্র

() নব্যবঙ্গ আন্দোলন

.. চার্লস উইলকিনস

() কোল বিদ্রোহ


উপবিভাগ ২.৪ প্রদত্ত ভারতবর্ষের রেখা মানচিত্রে নিম্নলিখিত স্থানগুলি চিহ্নিত ও নামাঙ্কিত করো : 
(২.৪.১) সাঁওতাল বিদ্রোহের এলাকা। 
(2.8.2) মহাবিদ্রোহের অন্যতম কেন্দ্র- কানপুর। 
(২.৪.৩) নীল বিদ্রোহের একটি কেন্দ্র।
(২.৪.৪) চুঁচুড়া-চার্লস উইলকিসের ছাপাখানার অবস্থান

উপৰিভাগ : ২.৫ নিম্নলিখিত বিবৃতিগুলির সঠিক ব্যাখ্যা নির্বাচন করো : 
(২.৫.১ ) বিবৃতি : উনিশ শতকে বাংলার নবজাগরণের ব্যাপ্তি ছিল খুবই সীমিত 
ব্যাখ্যা ১: কার শুধুমাত্র গ্রামবাংলায় নবজাগরণ হয়েছিল। 
ব্যাখ্যা ২ : কারণ এই নবজাগরণ সীমিত ছিল শুধুমাত্র সাহিত্যের ক্ষেত্রে। 
ব্যাখ্যা ৩: কারণ এই নবজাগরণ শুধুমাত্র পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত প্রগতিশীল সমাজের মধ্যে সীমিত ছিল। 
Read More : - Madhyamik 2025 Bengali Test Exam Question Paper। দশম শ্রেণির বাংলা তৃতীয় ইউনিট টেস্ট প্রশ্নপত্র
(২.৫.২) বিবৃতি : সরলাদেবী চৌধুরানী 'লক্ষ্মীর ভান্ডার' প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। 
ব্যাখ্যা ১: বিদেশী পণ্য বিক্রির জন্য। 
ব্যাখ্যা ২ : আন্দোলনকারী মহিলাদের সাহায্যের জন্য। 
ব্যাখ্যা ৩ : স্বদেশি জন্য বিক্রির জন্য। 
(২.৫.৩) বিবৃতি : ব্রিটিশ সরকার 'আনন্দমঠ' উপন্যাসটি নিষিদ্ধ করেন। 
ব্যাখ্যা ১: 'আনন্দমঠ' উপন্যাসে 'বন্দেমাতরম' সঙ্গীতটি আছে। 
ব্যাখ্যা ২: ‘আনন্দমঠ' উপন্যাসটি শিক্ষিতদের স্বদেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে। 
ব্যাখ্য ৩: ‘আনন্দমঠ' উপন্যাসটি সাম্প্রদায়িকতার প্রসার ঘটায়। 
(২.৫.৪) বিবৃতি : তিতুমিরের আন্দোলনকে কেউ কেউ ধর্মীয় আন্দোলন বলে মনে করেন। 
ব্যাখ্যা ১ : তিতুমির হিন্দুদের আন্দোলনে অংশ দিতে চাননি। 
ব্যাখ্যা ২: তিতুমির শুধু মুসলিমদের নিয়ে আন্দোলন চালান। 
ব্যাখ্যা ৩: তিতুমিরের আন্দোলনে ইসলামের নীতি-আদর্শের প্রাধান্য ছিল।



📚✨ Final Exam 2025 – Prepare Yourself!

ছাত্রছাত্রীরা! 😃 এখনই সংগ্রহ করে নাও আমাদের 4 Set প্রশ্নপত্র বা অধ্যায় ভিত্তিক সাজেশন 💥।

বিষয়সমূহ: বাংলা, ইংরেজি, ভূগোল, ইতিহাস, অঙ্ক, বিজ্ঞান 

সব প্রশ্নই নতুন সিলেবাস অনুযায়ী তৈরি, যা তোমার পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সাহায্য করবে📝।


📱 সংগ্রহ করতে হলে Click করো: Click Here



বিভাগ ‘গ’ ৩ : দুটি বা তিনটি বাক্যে উত্তর দাও। যে কোনো ১১ টি  (১১x২=২২)
৩.১ নিম্নবর্গের ইতিহাসচর্চা বলতে কী বোঝ?
৩.২ নারী ইতিহাস চর্চার গুরুত্ব কী?
৩.৩ ‘নীলদর্পণ’ নাটকে তৎকালীন বঙ্গ সমাজের কিরূপ চিত্র ফুটে উঠেছে ?
৩.৪ মধুসূদন গুপ্ত কে ছিলেন?
৩.৫ কলকাতা মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল?
৩.৬ মেকলে মিনিট কী?
৩.৭ দিকু কাদের বলা হয়?
৩.৮ চুয়াড় বিদ্রোহের গুরুত্ব কি ছিল ?
৩.৯ ১৮৫৭ সালে সিপাহি বিদ্রোহের প্রত্যক্ষ কারণ কী ছিল?
৩.১০ হিন্দুমেলার সীমাবদ্ধতাগুলি কী ছিল?
৩.১১ ‘ইলবার্ট বিল’ কী?
৩.১২ ‘সভাসমিতির যুগ' বলতে কী বোঝ? 
৩.১৩ চার্লস উইলকিন্‌স্-এর নির্মিত বাংলা টাইপ সম্পর্কে কী জান? 
৩.১৪ ছাপাখানার প্রতিষ্ঠা বাংলায় শিক্ষার প্রসারে কী ধরনের সুবিধা করে দেয়? 
৩.১৫ উপেন্দ্রকিশোরের ছাপাখানার বিশেষ কৃতিত্ব কী ছিল? 
৩.১৬ শ্রীরামপুর ছাপাখানা থেকে প্রকাশিত দুটি সংবাদপত্রের নাম লেখো।

বিভাগ-‘ঘ’ ৪। সাত বা আটটি বাক্যে যে কোনো ছটি প্রশ্নের উত্তর দাও (প্রতিটি উপবিভাগ থেকে অন্তত ১টি করে প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে) : ৬ X ৪ = ২৪  

উপবিভাগ : ‘ঘ’.১ 
৪.১ ব্রিটিশ শাসনকালে ভারতে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য শিক্ষা বিষয়ক দ্বন্দ্বের বিবরণ দাও। 
৪.২. কোল বিদ্রোহের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো। 
উপবিভাগ: ঘ.২ 
৪.৩ উনিশ শতকে বাংলায় সমাজ সংস্কারের ক্ষেত্রে ব্রাহ্মসমাজের উদ্যোগগুলি কী ছিল? 
৪.৪ ব্রিটিশ শাসনকালে ভারতে সংঘটিত বিভিন্ন কৃষক ও আদিবাসী বিদ্রোহের প্রধান কারণ কী ছিল? 
উপবিভাগ : ঘ. ৩ 
৪.৫ মহারানীর ঘোষণাপত্রে কী বলা হয়। 
৪.৬ বাংলার কারিগরি শিক্ষার বিকাশে 'বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট'-এর অবদান লেখো।
উপবিভাগ : ‘ঘ’.৪ 
৪.৭ সিপাহি বিদ্রোহকে ‘জাতীয় বিদ্রোহ' বলার কারণ কী? 
৪.৮ বাংলায় আধুনিক ছাপাখানার বা মুদ্রণ শিল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা করো।

বিভাগ-‘ঙ’৫। পনেরো বা ষোলোটি বাক্যে যে কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৮×১=৮ 

৫.১ শিক্ষা প্রসারে রামমোহন রায় ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান সংক্ষেপে আলোচনা করো। 
৫.২ সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ভারত সভার বিভিন্ন প্রতিবাদ আন্দোলন সম্পর্কে আলোচনা করো। 
৫.৩ বিজ্ঞান চর্চা ও বিজ্ঞান শিক্ষার বসু বিজ্ঞান মন্দিরের উৎকর্ষতা সম্পর্কে আলোচনা করো?

WBBSE Class 10 History Third Summative Question and Answer ।Madhyamik History Questions Answers । দশম শ্রেণীর তৃতীয় ইউনিট টেস্টের ইতিহাস প্রশ্নপত্রের সমাধান 

বিভাগ ‘ক’ : - 

১.১ (ক) ইংরেজরা
১.২ (ক) কৌশিক বন্দোপাধ্যায়
১.৩ (খ) রণজিৎ গুহ
১.৪ (ঘ) রাজা হরিশচন্দ্র
১.৫ (খ) রাজা রামমোহন রায়
১.৬) (ক) হেয়ার স্কুল
১.৭ (গ) ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে
১.৮ (ঘ) মধুসূদন গুপ্ত
১.৯ (ঘ) রামরতন মল্লিক।
১.১০ (ক) সৈয়দ আহমেদ
১.১১ (ক) রংপুর বিদ্রোহ
১.১২ (গ) আল্লাহ কর্তৃক নির্দেশিত বাধ্যতামূলক কাজ
১.১৩ (গ) কৃষ্ণমহোন বন্দোপাধ্যায়
১.১৪ (গ) ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে
১.১৫ (ঘ) মঙ্গল পান্ডে
১.১৬ (ক) ভারত সভা
১.১৭ (ক) জগদীশচন্দ্র বসু
১.১৮ (গ) সি.ভি. রমন
১.১৯) (ঘ) প্যারীমোহণ মুখোপাধ্যায়
১.২০ (গ) উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী

বিভাগ ‘খ’ : - 

২.১.১ সরকারি নথিপত্র সংরক্ষণ করা হয় জাতীয় আর্কাইভে।
২.১.২ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য ছিলেন জেমস উইলিয়াম কোলভ্রুক।
২.১.৩ ‘ধরতি আবা’ নামে পরিচিত ছিলেন বিরসা মুন্ডা।
২.১.৪ বাংলার প্রথম সংবাদপত্র হল ' বেঙ্গল গেজেট'।

২.২.১ ভুল
২.২.২ ঠিক
২.২.৩ ঠিক
২.২.৪ ভুল ( বিদ্যাসাগর)

‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মেলাও:
২.৩.১ (৩) নব্যবঙ্গ আন্দোলন
২.৩.২ (৪) কোল বিদ্রোহ
২.৩.৩ (১) হিন্দুমেলা
২.৩.৪ (২) প্রথম বাংলা অক্ষর টাইপ

২.৫.১ ব্যাখ্যা ৩: কারণ এই নবজাগরণ শুধুমাত্র পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত প্রগতিশীল সমাজের মধ্যে সীমিত ছিল।
২.৫.২ ব্যাখ্যা ৩: স্বদেশি জন্য বিক্রির জন্য।
২.৫.৩ ব্যাখ্যা ২: ‘আনন্দমঠ' উপন্যাসটি শিক্ষিতদের স্বদেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে।
২.৫.৪ ব্যাখ্যা ৩: তিতুমিরের আন্দোলনে ইসলামের নীতি-আদর্শের প্রাধান্য ছিল।

৩.১ নিম্নবর্গের ইতিহাসচর্চা বলতে কী বোঝ?
উত্তর : - নিম্নবর্গের ইতিহাসচর্চা বলতে সমাজের দরিদ্র, শ্রমজীবী এবং শোষিত শ্রেণির মানুষের ইতিহাস বোঝায়, যা সাধারণত ঐতিহ্যগত ইতিহাসে উপেক্ষিত ছিল। সাবলটার্ন স্টাডিজ নামে পরিচিত এই ধারা নিম্নবর্গের সংগ্রাম, অবদান এবং জীবনের বর্ণনা করে।

৩.২ নারী ইতিহাস চর্চার গুরুত্ব কী?
উত্তর : - নারী ইতিহাস চর্চা নারীদের অবদান, সংগ্রাম ও তাদের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ভূমিকা বিশ্লেষণ করে। এটি ঐতিহাসিকভাবে উপেক্ষিত নারীদের কণ্ঠকে স্বীকৃতি দেয় এবং সামগ্রিক সমাজ ও সংস্কৃতির বিকাশে তাদের অবদানকে তুলে ধরে।

৩.৩ ‘নীলদর্পণ’ নাটকে তৎকালীন বঙ্গ সমাজের কিরূপ চিত্র ফুটে উঠেছে?
উত্তর : - ‘নীলদর্পণ’ নাটকে তৎকালীন বঙ্গ সমাজে ইংরেজ নীলকরদের অত্যাচার ও শোষণের বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে। নাটকটি বাংলার কৃষকদের প্রতি নীলকরদের অত্যাচার এবং তাদের জীবনযাত্রার দুরবস্থার প্রামাণ্য দলিল হিসেবে কাজ করে।

৩.৪ মধুসূদন গুপ্ত কে ছিলেন?
উত্তর : - মধুসূদন গুপ্ত ছিলেন কলকাতা মেডিকেল কলেজের প্রথম বাঙালি ছাত্র, যিনি প্রথমবার ভারতে মৃতদেহ ব্যবচ্ছেদ করেছিলেন। তার এই উদ্যোগ চিকিৎসা শিক্ষায় একটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল।

৩.৫ কলকাতা মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল?
উত্তর : - কলকাতা মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান শিক্ষা প্রসার করা এবং শিক্ষিত বাঙালিদের মাধ্যমে দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়ন ঘটানো।

৩.৬ মেকলে মিনিট কী?
উত্তর : - মেকলে মিনিট ১৮৩৫ সালে থমাস ব্যাবিংটন মেকলে দ্বারা পেশকৃত একটি রিপোর্ট, যার মাধ্যমে ইংরেজি শিক্ষা এবং পাশ্চাত্য ভাবধারা ভারতের শিক্ষাব্যবস্থায় প্রবর্তিত হয়েছিল।

৩.৭ দিকু কাদের বলা হয়?
উত্তর : - দিকু বলতে সেই বহিরাগতদের বোঝায় যারা আদিবাসীদের জমি, সম্পত্তি ও স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে শোষণ করত। আদিবাসীরা দিকুদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল।

৩.৮ চুয়াড় বিদ্রোহের গুরুত্ব কি ছিল?
উত্তর : - চুয়াড় বিদ্রোহ বাংলার ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের প্রথম দিকের একটি গুরুত্বপূর্ণ কৃষক বিদ্রোহ। এটি ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আদিবাসী এবং নিম্নবর্গের মানুষের অসন্তোষের প্রতীক ছিল।

৩.৯ ১৮৫৭ সালে সিপাহি বিদ্রোহের প্রত্যক্ষ কারণ কী ছিল?
উত্তর : - ১৮৫৭ সালে সিপাহি বিদ্রোহের প্রত্যক্ষ কারণ ছিল এনফিল্ড রাইফেলের কার্তুজ, যা গরু এবং শূকরের চর্বিতে মাখানো ছিল, যা হিন্দু ও মুসলিম সৈনিকদের ধর্মীয় বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ছিল।

৩.১০ হিন্দুমেলার সীমাবদ্ধতাগুলি কী ছিল?
উত্তর : - হিন্দুমেলার সীমাবদ্ধতা ছিল এটি শুধুমাত্র উচ্চবর্ণের শিক্ষিত হিন্দুদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল এবং বৃহত্তর সমাজের অংশগ্রহণ কম ছিল। এটি সামগ্রিক জাতীয় আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেনি।

৩.১১ ‘ইলবার্ট বিল’ কী?
উত্তর : - ইলবার্ট বিল ১৮৮৩ সালে লর্ড রিপন দ্বারা প্রস্তাবিত একটি আইন, যা ভারতীয় বিচারকদের ক্ষমতা বাড়িয়ে ইংরেজদের বিচার করার অধিকার প্রদান করতে চেয়েছিল, কিন্তু এই বিলটি ইংরেজদের প্রতিবাদের মুখে বাতিল হয়।

৩.১২ ‘সভাসমিতির যুগ' বলতে কী বোঝ?
উত্তর : - ‘সভাসমিতির যুগ’ বলতে ১৮০০ সালের দিকে বাংলায় বিভিন্ন সমাজ সংস্কারমূলক এবং রাজনৈতিক সংগঠনের উত্থান বোঝানো হয়, যেগুলি সমাজে পরিবর্তন আনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।

৩.১৩ চার্লস উইলকিন্‌স্-এর নির্মিত বাংলা টাইপ সম্পর্কে কী জান?
উত্তর : - চার্লস উইলকিন্‌স্ প্রথম বাংলা মুদ্রণ টাইপ তৈরি করেন, যা বাংলা ভাষার বই এবং সংবাদপত্র মুদ্রণের ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটায়। এটি বাংলা ভাষায় মুদ্রণ শিল্পের বিকাশে বড় ভূমিকা পালন করেছিল।

৩.১৪ ছাপাখানার প্রতিষ্ঠা বাংলায় শিক্ষার প্রসারে কী ধরনের সুবিধা করে দেয়?
উত্তর : - ছাপাখানার প্রতিষ্ঠা বাংলায় শিক্ষার প্রসারে বিশেষ সুবিধা দিয়েছিল। এর মাধ্যমে বই ও পত্রিকার সহজলভ্যতা বেড়ে যায়, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে শিক্ষা বিস্তারে সহায়ক হয়েছিল।

৩.১৫ উপেন্দ্রকিশোরের ছাপাখানার বিশেষ কৃতিত্ব কী ছিল?
উত্তর : - উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী তার ছাপাখানায় লাইনো টাইপ মেশিন প্রবর্তন করেন, যা মুদ্রণ প্রযুক্তিতে এক নতুন অধ্যায় সূচনা করে এবং বাংলা বই ও পত্রিকার প্রকাশনায় বিপ্লব আনে।

৩.১৬ শ্রীরামপুর ছাপাখানা থেকে প্রকাশিত দুটি সংবাদপত্রের নাম লেখো।
উত্তর : - শ্রীরামপুর ছাপাখানা থেকে প্রকাশিত দুটি সংবাদপত্র হলো 'সমাচার দর্পণ' এবং 'দিগ্দর্শন'।

৪.১ ব্রিটিশ শাসনকালে ভারতে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য শিক্ষা বিষয়ক দ্বন্দ্বের বিবরণ : - 

শিক্ষার দ্বন্দ্ব: ব্রিটিশ শাসনকালে প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্য শিক্ষার মধ্যে একটি মৌলিক দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। প্রাচ্য শিক্ষা ছিল ধর্মীয় এবং ঐতিহ্যগত, যেখানে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিজ্ঞান এবং যুক্তিবাদী চিন্তার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল।
শিক্ষা সংস্কার: ব্রিটিশ সরকারের প্রচেষ্টায় পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রবর্তন ঘটলেও প্রাচ্য শিক্ষাকে অবমূল্যায়ন করা হয়েছিল। ফলে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষার প্রতি মানুষের আগ্রহ কমে যায়।
ভাষার সংকট: পাশ্চাত্য শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে ইংরেজি ভাষার ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়, যা স্থানীয় ভাষা এবং সংস্কৃতির প্রতি অঙ্গীকারকে দুর্বল করে দেয়।
সামাজিক প্রভাব: পাশ্চাত্য শিক্ষার ফলে সমাজে বৈজ্ঞানিক মনোভাব ও আধুনিক চিন্তার সূচনা ঘটে। এতে সমাজে প্রচলিত মূল্যবোধের পরিবর্তন ঘটে, যা প্রাচ্য শিক্ষার উপর এক ধরনের চাপ সৃষ্টি করে।
প্রগতিশীল সমাজের সৃষ্টি: পাশ্চাত্য শিক্ষার মাধ্যমে একটি শিক্ষিত এবং প্রগতিশীল সমাজ তৈরি হয়, যারা সমাজ সংস্কারের জন্য একত্রিত হয় এবং ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করে।
সংস্কৃতি ও পরিচয়ের প্রশ্ন: প্রাচ্য শিক্ষার মাধ্যমে সংস্কৃতি এবং পরিচয় রক্ষার প্রচেষ্টা চলছিল। পাশ্চাত্য শিক্ষার উদার দৃষ্টিভঙ্গির কারণে এ সংক্রান্ত বিতর্ক আরও গভীর হয়।

৪.২ কোল বিদ্রোহের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি : - 

প্রাকৃতিক সম্পদ ও ভূমির অধিকার: কোল বিদ্রোহের মূল কারণ ছিল কোল জনগণের ভূমি ও প্রাকৃতিক সম্পদের অধিকার হরণ। ব্রিটিশ এবং স্থানীয় জমিদারদের দ্বারা তাদের ভূমি হারানোর ফলে কৃষকদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়তে থাকে।
সংগঠিত আন্দোলন: এই বিদ্রোহটি একটি সংগঠিত আন্দোলন ছিল, যেখানে কোলরা নিজেদের অধিকার রক্ষার জন্য একত্রিত হয়ে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করে। তারা পরিকল্পনা অনুযায়ী অভিযান পরিচালনা করে।
নেতৃত্ব: বিহারী সিংসহ অন্যান্য নেতারা কৃষকদের মধ্যে নেতৃত্ব দান করেন। তাদের নেতৃত্বে কোলরা সংগঠিত হয়ে সমন্বিত প্রচেষ্টা চালায়, যা বিদ্রোহকে শক্তিশালী করে।
বৈশ্বিক পরিস্থিতি: কোল বিদ্রোহ ছিল ভারতজুড়ে কৃষক বিদ্রোহের অংশ। এটি সমগ্র জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিবেচিত হয় এবং স্থানীয় পর্যায়ে কোলদের অধিকারের জন্য একটি বৃহত্তর চেতনা গড়ে তোলে।
জাতিগত পরিচয়: কোল বিদ্রোহের ফলে কোল জনগণের জাতিগত পরিচয় প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি তাদের জন্য একত্রিত হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
ধর্মীয় উপাদান: বিদ্রোহের মধ্যে ধর্মীয় উপাদানও ছিল, যেখানে ধর্মীয় বিশ্বাস ও ঐতিহ্যের প্রতিফলন ঘটে। এটি বিদ্রোহের চেতনা শক্তিশালী করে এবং জনগণের মধ্যে একতা গড়ে তোলে।

৪.৩ উনিশ শতকে বাংলায় সমাজ সংস্কারের ক্ষেত্রে ব্রাহ্মসমাজের উদ্যোগগুলি  : - 

বিধবা পুনর্বিবাহ: ব্রাহ্মসমাজ বিধবা পুনর্বিবাহের পক্ষে সোচ্চার হয়ে সমাজে একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের আহ্বান জানায়। তারা সমাজে এই প্রথার বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়ে বিধবাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে।
শিক্ষার প্রসার: ব্রাহ্মসমাজ শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি বিপ্লব ঘটায়। তারা মেয়েদের শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে এবং স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শিক্ষার সুযোগ বাড়ায়।
সামাজিক বৈষম্য: ব্রাহ্মসমাজ সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে সমাজের সব শ্রেণীর মানুষের মধ্যে সমতা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে। তারা জাতি ও ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
আধ্যাত্মিকতা ও ধর্মীয় সংস্কার: ব্রাহ্মসমাজ আধ্যাত্মিকতার প্রতি গুরুত্বারোপ করে। তারা পুরাতন ধর্মীয় বিশ্বাসগুলোর পুনর্বিবেচনা করে এবং ধর্মকে আধুনিক সমাজের সাথে মিলিয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করে।
সামাজিক আন্দোলন: ব্রাহ্মসমাজ বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে, যা সমাজের উপর একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করে।
বিশ্বাসের মুক্তি: ব্রাহ্মসমাজ ধর্মের অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। তারা মানুষের চিন্তার মুক্তির ওপর জোর দেয় এবং স্বাতন্ত্র্যের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে।

৪.৪ ব্রিটিশ শাসনকালে ভারতে সংঘটিত বিভিন্ন কৃষক ও আদিবাসী বিদ্রোহের প্রধান কারণ : 

ভূমি অধিকার হরণ: ব্রিটিশ শাসনামলে কৃষকদের ভূমি অধিকার প্রায়শই হরণ করা হতো। জমিদারদের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার কৃষকদের ভূমি কেড়ে নিয়ে তাদের অধিকার ক্ষুণ্ণ করে।
বৈষম্য ও নিপীড়ন: ব্রিটিশ সরকার কৃষকদের উপর বৈষম্য ও নিপীড়ন চালিয়ে গেছে। কৃষকরা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের সম্মুখীন হয় এবং তাদের জীবনের মান কমে যায়।
কর আদায়ের উচ্চ হার: কৃষকদের জন্য করের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা অতিরিক্ত চাপ অনুভব করতে থাকে। এই পরিস্থিতি বিদ্রোহের প্ররোচনা দেয়।
সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রার হুমকি: ব্রিটিশ শাসনের ফলে আদিবাসী জনগণের জীবনযাত্রার উপর হুমকি সৃষ্টি হয়। তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ধ্বংস হতে শুরু করে, যা বিদ্রোহের উৎস হয়।
নেতৃত্বের অভাব: বিদ্রোহ সংগঠনের ক্ষেত্রে নেতৃত্বের অভাব একটি প্রধান সমস্যা। স্থানীয় নেতারা সঠিকভাবে সংগঠিত হতে পারেনি, যা বিদ্রোহের কার্যকারিতা হ্রাস করে।
জাতীয় চেতনার উদয়: কৃষক ও আদিবাসী বিদ্রোহগুলো সমগ্র জাতীয় চেতনার বৃদ্ধিতে ভূমিকা পালন করে। এটি পরবর্তীতে স্বাধীনতা আন্দোলনের ভিত্তি স্থাপন করে।

৪.৫ মহারানীর ঘোষণাপত্রে বলা হয় : - 

রাজনৈতিক অবস্থা: মহারানীর ঘোষণাপত্রে রাজ্যের রাজনৈতিক অবস্থার বিশ্লেষণ করা হয়েছে। সেখানে প্রশাসনিক সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা এবং সমাজের জন্য সঠিক দিশা প্রয়োজনের কথা বলা হয়েছে।
আর্থিক সমস্যা: ঘোষণাপত্রে আর্থিক সমস্যা উল্লেখ করা হয়েছে। বাজেটের অভাব ও কৃষকদের করের সমস্যার কারণে তাদের জীবনে যে সংকট সৃষ্টি হচ্ছে তা বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
সামাজিক নীতির সমালোচনা: মহারানী সামাজিক নীতির সমালোচনা করেছেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সমাজে বিদ্যমান বৈষম্য ও অস্থিরতা প্রতিরোধের জন্য নতুন নীতির প্রয়োজন।
সংস্কারের আহ্বান: সংস্কারের গুরুত্বের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। মহারানী চান যে সমাজের সব স্তরের মানুষের স্বার্থ রক্ষা করা উচিত।
নারীদের অধিকার: মহারানীর ঘোষণাপত্রে নারীদের অধিকার রক্ষার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। এটি সমাজে নারীদের মর্যাদা ও গুরুত্ব তুলে ধরে।
শিক্ষার প্রসার: মহারানী শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বারোপ করেছেন। শিক্ষা সমাজের অগ্রগতির জন্য অপরিহার্য এবং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের সূচনা করতে পারে।

৪.৬ বাংলার কারিগরি শিক্ষার বিকাশে 'বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট'-এর অবদান : - 

প্রতিষ্ঠানটির সৃষ্টি: বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট ১৯০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি কারিগরি শিক্ষা প্রসারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে, যা বাংলার যুবকদের জন্য নতুন সম্ভাবনা উন্মোচন করে।
প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা: প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন কারিগরি ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ প্রদান করে। এটি শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে শিক্ষা দেওয়ার সুযোগ তৈরি করে, যা তাদের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
সংশ্লিষ্ট পাঠ্যক্রম: বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউটে ইঞ্জিনিয়ারিং, স্থাপত্য ও অন্যান্য কারিগরি বিষয় নিয়ে পাঠ্যক্রম তৈরি করা হয়েছে। এই পাঠ্যক্রমগুলো শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
শিক্ষার্থীদের চাকরির সুযোগ: প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শিল্পে চাকরির সুযোগ পায়। এটি তাদের ভবিষ্যতের কর্মজীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সমাজে সৃষ্ট পরিবর্তন: বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট বাংলার কারিগরি শিক্ষার মান উন্নয়ন করেছে। এর ফলে প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধি পায়, যা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে।
আন্তর্জাতিক মান: প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক মানের কারিগরি শিক্ষা প্রদান করে, যা বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষার জন্য একটি মডেল হিসেবে কাজ করে। এটি শিক্ষার্থীদের বৈশ্বিক মঞ্চে প্রতিযোগিতা করার সক্ষমতা বাড়ায়।

৪.৭ সিপাহি বিদ্রোহকে ‘জাতীয় বিদ্রোহ' বলার কারণ : - 

সমষ্টিগত আন্দোলন: সিপাহি বিদ্রোহ ছিল এক সমষ্টিগত আন্দোলন, যেখানে ভারতীয় সেনা, কৃষক, এবং স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ ছিল। তারা একটি সাধারণ শত্রুর বিরুদ্ধে একত্রিত হয়েছিল।
জাতীয়তাবাদী চেতনা: বিদ্রোহটি ভারতীয় জাতীয়তাবাদী চেতনার প্রথম প্রকাশ হিসেবে দেখা হয়। এটি একটি নতুন রাজনৈতিক চেতনার সূচনা করে, যা পরবর্তী সময়ে স্বাধীনতা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারণে: সিপাহি বিদ্রোহের প্রধান কারণ ছিল সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা। ব্রিটিশ সরকারের নীতি ও জমিদারি ব্যবস্থার কারণে কৃষক ও সৈন্যদের মধ্যে অসন্তোষ বেড়ে ওঠে।
বিভিন্ন সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ: বিদ্রোহে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ ছিল, যা ভারতীয় জাতীয়তাবাদের এক অবিস্মরণীয় দৃষ্টান্ত। এতে হিন্দু, মুসলিম, এবং অন্যান্য ধর্মের লোকেরা একত্রিত হয়েছিল।
ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে ঐক্য: বিদ্রোহটি ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ ছিল। এটি জাতীয় আন্দোলনের একটি মূল ভিত্তি স্থাপন করে এবং পরবর্তীতে স্বাধীনতার লক্ষ্যে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করে।
ঐতিহাসিক গুরুত্ব: সিপাহি বিদ্রোহের ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। এটি জাতীয় আন্দোলনের প্রথম স্ফূরণ এবং ভারতীয় ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়।

৪.৮ বাংলায় আধুনিক ছাপাখানার বা মুদ্রণ শিল্পের অগ্রগতি : - 

ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা: বাংলায় আধুনিক ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮১৬ সালে, যা বাংলা ভাষায় মুদ্রণ শিল্পের ক্ষেত্রে একটি নতুন যুগের সূচনা করে।
মুদ্রণ প্রযুক্তির উন্নয়ন: আধুনিক ছাপাখানায় উন্নত প্রযুক্তির প্রবর্তন ঘটে, যা বই, পত্রিকা এবং বিভিন্ন সাময়িকী মুদ্রণের ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন: ছাপাখানা বাংলার সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের প্রসারে সাহায্য করে। এটি বিভিন্ন সাহিত্যিক কাজের প্রকাশনা নিশ্চিত করে।
সংবাদপত্রের উন্মোচন: বাংলায় প্রথম সংবাদপত্র ১৮৩০ সালে প্রকাশিত হয়, যা জনগণের মধ্যে রাজনৈতিক ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করে। এটি সমাজের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে।
শিক্ষার প্রসার: মুদ্রণ শিল্প শিক্ষার প্রসারে সহায়তা করে। বইয়ের সহজলভ্যতা শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি নতুন দিগন্ত খুলে দেয়।
মৌলিক সংস্কৃতি ও সামাজিক পরিবর্তন: আধুনিক ছাপাখানা বাংলার মৌলিক সংস্কৃতি ও সামাজিক পরিবর্তনের একটি মূল উপাদান হিসেবে কাজ করে। এটি নতুন চিন্তাভাবনা ও সংস্কারের উন্মেষ ঘটায়।

৫.১ শিক্ষা প্রসারে রামমোহন রায় ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান : - 
উত্তর : - 
রামমোহন রায়ের অবদান:
আধুনিক শিক্ষা: রামমোহন রায় আধুনিক শিক্ষার প্রচারক ছিলেন। তিনি ইংরেজি শিক্ষার গুরুত্ব বুঝতে পেরে প্রথম বাংলা ভাষায় বিদ্যালয় স্থাপন করেন।
বিপ্লবী চিন্তা: তিনি শিক্ষা ও সমাজ সংস্কারের জন্য একটি বিপ্লবী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এসেছিলেন, যা সমাজের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
নারী শিক্ষা: রামমোহন নারীদের শিক্ষার অধিকারের পক্ষে ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে, শিক্ষিত নারী সমাজের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে।
সামাজিক সংস্কার: তিনি জ্ঞান ও সত্যের ভিত্তিতে সমাজে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন এবং সামাজিক কুসংস্কার দূর করার লক্ষ্যে কাজ করেন।
ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠা: ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রামমোহন রায় সামাজিক ও ধর্মীয় সংস্কারের একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেন, যা শিক্ষার প্রসারে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান:

শিক্ষা প্রসার: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর আধুনিক শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বারোপ করেন। তিনি ১৮৫১ সালে “বঙ্গীয় শিক্ষা সঙ্ঘ” প্রতিষ্ঠা করেন, যা শিক্ষার মান উন্নয়নে সহায়ক হয়।
নারী শিক্ষার প্রচার: তিনি নারী শিক্ষার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেন এবং প্রথম নারী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এটি সমাজে নারীদের শিক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করে।
বিধবাদের পুনর্বিবাহ: ঈশ্বরচন্দ্র বিধবাদের পুনর্বিবাহের প্রচলনের জন্য আইন প্রণয়নে ভূমিকা পালন করেন। এটি সামাজিক উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
বাংলা ভাষার উন্নয়ন: তিনি বাংলা ভাষায় শিক্ষার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাঁর রচিত গ্রন্থ ও পাঠ্যপুস্তক বাংলা ভাষার বিকাশে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে।
সমাজ সংস্কার: ঈশ্বরচন্দ্র সমাজে শিক্ষার মাধ্যমে সংস্কারের জন্য নিরন্তর কাজ করেন। তিনি কুসংস্কার ও অজ্ঞতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে সমাজের বিভিন্ন স্তরে শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে চেষ্টা করেন।

সারসংক্ষেপ: রামমোহন রায় ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর উভয়েই শিক্ষা প্রসারে এবং সমাজ সংস্কারে অবিস্মরণীয় ভূমিকা পালন করেছেন। রামমোহন আধুনিক শিক্ষার ভিত্তি রচনা করেছেন, যেখানে ঈশ্বরচন্দ্র নারীদের শিক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সমাজের নানাবিধ সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তাঁদের অবদান বাংলার সামাজিক ও শিক্ষাগত পর landscape-এ একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে, যা আজকের সমাজের উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

৫.২ সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ভারত সভার বিভিন্ন প্রতিবাদ আন্দোলন সম্পর্কে আলোচনা করো। 

উত্তর : -  সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ভারত সভার নেতৃত্বে যে প্রতিবাদ আন্দোলনগুলো সংগঠিত করেছিলেন, তা ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ভারত সভা ১৯০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এর লক্ষ্য ছিল ভারতীয়দের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে সংগঠিত প্রতিবাদ করা।
বিভিন্ন প্রতিবাদ আন্দোলন:
বিভাগীয় আন্দোলন: সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ভারত সভা বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করে। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর, ভারত সভা বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং সামাজিক কর্মসূচির মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়।
স্বদেশি আন্দোলন: সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় স্বদেশি আন্দোলনের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেন। তিনি ভারতীয় পণ্য ব্যবহার এবং বিদেশী পণ্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলেন, যা বাণিজ্যিকভাবে ভারতীয় সমাজকে উজ্জীবিত করে।
সাংবাদিকতা ও জনমত গঠন: তিনি বিভিন্ন পত্রিকা ও সাময়িকী প্রকাশের মাধ্যমে জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এই পত্রিকাগুলো মানুষের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি করে এবং আন্দোলনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেয়।
বিক্ষোভ ও গণজাগরণ: সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ভারত সভা বিভিন্ন স্থানীয় আন্দোলন ও বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করে। বিশেষত, আন্দোলনের সময় তিনি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের উপর জোর দেন, যা জনগণের মধ্যে একাত্মতা সৃষ্টি করে।
নাগরিক অধিকার: তিনি ব্রিটিশ শাসনের অধীনে ভারতীয় নাগরিকদের অধিকার এবং মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেন। তার নেতৃত্বে ভারত সভা বিভিন্ন দাবির মাধ্যমে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চালায়।

সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ভারত সভার প্রতিবাদ আন্দোলন শুধুমাত্র রাজনৈতিক সংগ্রামের জন্য নয়, বরং সামাজিক পরিবর্তনের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই আন্দোলনগুলি ভারতীয় জাতীয়তাবাদের বিকাশে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।

৫.৩ বিজ্ঞান চর্চা ও বিজ্ঞান শিক্ষার বসু বিজ্ঞান মন্দিরের উৎকর্ষতা সম্পর্কে আলোচনা করো?  

উত্তর : -  বসু বিজ্ঞান মন্দির, যা কলকাতার বিখ্যাত 'বসু বিজ্ঞান মন্দির' হিসেবে পরিচিত, ভারতের বিজ্ঞান চর্চা ও শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক। এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯১৭ সালে, এবং এটি প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ও উদ্যোক্তা জগদীশ চন্দ্র বসুর নামানুসারে নামকরণ করা হয়। বসু বিজ্ঞান মন্দিরের উদ্দেশ্য ছিল বিজ্ঞান শিক্ষাকে প্রসারিত করা এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করা।
উৎকর্ষতার কিছু মূল দিক:

বিজ্ঞান চর্চার কেন্দ্র: বসু বিজ্ঞান মন্দির একটি গবেষণা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠে, যেখানে বিভিন্ন বিজ্ঞানী ও গবেষকরা একত্রিত হয়ে নতুন নতুন গবেষণা ও উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করেন। এটি গবেষণার ক্ষেত্রে একটি উৎকৃষ্ট প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে।
বিজ্ঞান শিক্ষার প্রচার: এই মন্দিরটি বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এখানে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞান প্রদর্শনী, কর্মশালা ও সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়, যা ছাত্রদের জন্য বিজ্ঞান বিষয়ক ধারণা লাভের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস।
নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন: বসু বিজ্ঞান মন্দিরের বিজ্ঞানীরা নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন এবং গবেষণায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তারা আধুনিক প্রযুক্তির সাথে সাথে প্রাচীন বৈজ্ঞানিক ধারণাগুলোকেও সম্মান করেন এবং তা নিয়ে গবেষণা করেন।
গণসচেতনতা: এখানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নিয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি ও সভার আয়োজন করা হয়। সাধারণ মানুষের মধ্যে বিজ্ঞানের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার জন্য মন্দিরের উদ্যোগ প্রশংসনীয়।
শিক্ষার আন্তর্জাতিক মান: বসু বিজ্ঞান মন্দির আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রদান করে। এটি বিভিন্ন দেশে বিজ্ঞান শিক্ষা নিয়ে সহযোগিতামূলক প্রকল্প এবং সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে, যা ভারতীয় বিজ্ঞানীদের জন্য একটি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে।
সামাজিক দায়বদ্ধতা: বসু বিজ্ঞান মন্দিরের লক্ষ্য শুধু বিজ্ঞান শিক্ষা নয়, বরং সমাজের সামগ্রিক উন্নয়নে অবদান রাখা। এটি বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পে যুক্ত হয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিজ্ঞানের প্রয়োগ নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করে।

উপসংহার : বসু বিজ্ঞান মন্দির বিজ্ঞান চর্চা ও শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি উদাহরণস্বরূপ প্রতিষ্ঠান। এর কার্যক্রম এবং উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা ভারতীয় বিজ্ঞানকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। এটি ছাত্র, গবেষক ও সাধারণ জনগণের মধ্যে বিজ্ঞান সম্পর্কে গভীর ধারণা ও আগ্রহ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে, যা ভবিষ্যতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ভারতকে আরও শক্তিশালী করবে।

আশা করি তোমাদের প্রশ্নপত্র এবং উত্তরগুলি ভালো লেগেছে। তোমরা তোমাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করো এই প্রশ্নপত্রগুলিকে এবং নিচে কমেন্ট করে জানিয়ো আর কোন বিষয়ে তোমরা প্রশ্নপত্র চাও। 

Frequently Asked Questions

Q) ভারতের সংবিধান কবে কার্যকর হয়?

Ans: - ২৬ জানুয়ারি, ১৯٥০।

Q) ভারতের সংবিধানের জনক কে?

Ans: - ড. বি. আর. আম্বেদকর।

Q) সরলা দেবী চৌধুরানী স্বদেশি আন্দোলন উপলক্ষ্যে কোন্ দুটি উৎসব প্রচলন করেন?

Ans: - ‘প্রতাপাদিত্য উৎসব’ ও ‘বীরাষ্টমী ব্রত’

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

Enter Your Comment

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)