নবম শ্রেণীর তৃতীয় ইউনিট টেস্টের বাংলা প্রশ্নপত্র ও উত্তর
নবম শ্রেণীর তৃতীয় ইউনিট টেস্টের বাংলা প্রশ্নপত্র খুঁজছেন? এখানে পাবেন class 9 bangla 3rd unit test suggestion সহ ক্লাস 9 বাংলা 3য় ইউনিট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র 2025 এবং Class 9 bengali 3rd unit test question paper with answer। তৃতীয় ইউনিট টেস্ট বাংলা প্রশ্ন নবম শ্রেণী এখন সহজেই পাওয়া যাবে Class 9 bengali 3rd unit test question paper pdf download আকারে। এছাড়াও Class 9 bengali 3rd unit test question paper english অনুবাদও রয়েছে। নবম শ্রেণীর তৃতীয় ইউনিট টেস্টের সমস্ত বিষয়ের প্রশ্নপত্র প্রশ্ন ও উত্তর সংগ্রহ করে প্রস্তুতি নিলে পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়া যাবে।
Class 9 Bengali 3rd Unit Test Question Paper 2025 with Answers
Class 9 bengali 3rd unit test question paper এখন শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ক্লাস 9 বাংলা প্রশ্ন উত্তর 2025 সহ class 9 bengali 3rd unit test suggestion এখানে দেওয়া হয়েছে যাতে পরীক্ষার আগে ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়া যায়। class ix বাংলা প্রশ্নপত্র অনুসারে নবম শ্রেণীর বাংলা বিষয় তৃতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন হবে নির্ধারিত সিলেবাস থেকে। তাই যারা class 9 bengali 3rd unit test question paper 2025 খুঁজছেন, তাদের জন্য এখানে Class 9 bengali 3rd unit test question paper 2025 এবং নবম শ্রেণির তৃতীয় ইউনিট টেস্ট বাংলা সাজেশন প্রকাশ করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত প্রস্তুতির জন্য Class 9 Bengali Question answer অনুশীলন করলে পরীক্ষায় সহজে ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব হবে।
WBBSE নবম শ্রেণির বাংলা তৃতীয় ইউনিট টেস্ট 2025 সাজেশন
১. ঠিক উত্তরটি নির্বাচন কর : (১ × ১৮ = ১৮)
১.১. “গর্ত ছাড়ি ভুজঙ্গ ভাসিয়া বুলে জলে।” — এখানে 'বুলে' শব্দের অর্থ—
ক) আসে, খ) চলে যায়, গ) ডোবে, ঘ) ঘুরে বেড়ায়
উত্তর : - ঘ) ঘুরে বেড়ায়
১.২. ‘ধীবর-বৃত্তান্ত’ নামক নাট্যাংশটি নেওয়া হয়েছে মহাকবি কালিদাসের যে রচনা থেকে—
ক) রঘুবংশম, খ) কুমারসম্ভব, গ) অভিজ্ঞান শকুন্তলম, ঘ) মেঘদূতম
উত্তর : - গ) অভিজ্ঞান শকুন্তলম
১.৩. ইলিয়াসের বড়ো ছেলে মারা গিয়েছিল –
ক) দুর্ভিক্ষে, খ) মড়কে, গ) জ্বরে, ঘ) মারামারিতে
উত্তর : - ঘ) মারামারিতে
১.৪. “গাধা পিটিয়ে ঘোড়া করতে গেলে গাধাটাই পঞ্চত্ব পায়।” — এখানে 'পঞ্চত্ব' শব্দের অর্থ—
ক) ক্ষতি, খ) হানি, গ) মৃত্যু, ঘ) সমস্যা
উত্তর : - গ) মৃত্যু
১.৫. প্রাচীন যুগের ভাষা নয়—
ক) হিব্রু, খ) গ্রিক, গ) আবেস্তা, ঘ) এসপারেত্তো
উত্তর : - ঘ) এসপারেত্তো। কারণ হিব্রু, গ্রিক এবং আবেস্তা প্রাচীন যুগের ভাষা, কিন্তু এসপারেত্তো একটি কৃত্রিম বা পরিকল্পিত ভাষা যা ১৯শ শতাব্দীর শেষের দিকে তৈরি করা হয়েছিল।
১.৬. “এ তটের কাছে যা বাঁধা পড়ে আছে”—
ক) মুহূর্তগুলি, খ) বাণিজ্যতরী, গ) সপ্তগুলি, ঘ) ঢেউগুলি
উত্তর : - খ) বাণিজ্যতরী
১.৭. “কত ফুটে আর টুটে” – কিসের কথা বলা হয়েছে?
ক) সোনার মুদ্রা, খ) সোনার পদক, গ) সোনার মুকুট, ঘ) সোনার কলম
উত্তর : - গ) সোনার মুকুট
১.৮. যে গাছের 'লাল ফলে'র কথা কবি বলেছেন –
ক) হিজল, খ) তমাল, গ) অশ্বত্থ, ঘ) বট
উত্তর : - ক) হিজল
১.৯. “কে এইখানে এসেছিল…..—বছর আগে।”
ক) কয়েক, খ) দু-এক, গ) শতেক, ঘ) অনেক
উত্তর : - ঘ) অনেক
১.১০. “বাজা তোর প্রলয়-বিষাণ” – কে বাজাবে—
ক) তরুণ ঈশানী, খ) পাগলা ভোলা, গ) তরুণ ঈশান, ঘ) ভগবান
উত্তর : - গ) তরুণ ঈশান
১.১১. “স্টার্ডির একখানি চিঠি কাল পেয়েছি।” — মি. স্টার্ডি ভারতে থাকাকালীন তপস্যা করেন—
ক) বেলুড়ে, খ) দক্ষিণেশ্বরে, গ) অলমোড়ায়, ঘ) লখনউতে
উত্তর : - গ) অলমোড়ায়
১.১২. “গঙ্গা যেথায় মুক্তি বিতরে রঙ্গে”—এই গঙ্গা হল—
ক) যুক্তবেণীর, খ) মুক্তবেণীর, গ) ত্রিবেদীর, ঘ) পঞ্চবেশীর
উত্তর : - খ) মুক্তবেণীর
১.১৩. আমাদের যে ছেলে লঙ্কা জয় করেছিলেন—
ক) অজয় সিংহ, খ) বিজয় সিংহ, গ) সুজয় সিংহ, ঘ) জয়সিংহ
উত্তর : - খ) বিজয় সিংহ
১.১৪. “এমন বিনি পয়সার হোটেলখানা পাবে কোথায়?” — এখানে 'বিনি পয়সার হোটেল' হল—
ক) ধর্মশালা, খ) লঙ্গরখানা, গ) নিজের বাড়ি, ঘ) অতি সস্তার হোটেল
উত্তর : - গ) নিজের বাড়ি
১.১৫. স্বর্ণপর্ণী গাছড়ার সন্ধান দিয়েছিলেন—
ক) বিরিঞ্চিবাবা, খ) টিকুড়ীবাবা, গ) ভক্তবাবা, ঘ) সনাতন বাবা
উত্তর : - খ) টিকুড়ীবাবা
১.১৬. নাতিনি > নানি — কোন ধরনের পরিবর্তন?
ক) ধ্বন্যাগম, খ) স্বরভক্তি, গ) ধ্বনিলোপ, ঘ) ব্যঞ্জনসংগতি
উত্তর : -গ) ধ্বনিলোপ নাতিনি > নানি শব্দে "তি" ধ্বনিটি লুপ্ত হয়েছে, যা ধ্বনিলোপ-এর উদাহরণ. ধ্বনিলোপ বা ধ্বনিবিলোপ হলো কোনো শব্দ থেকে একটি ধ্বনি বাদ পড়া বা হারিয়ে যাওয়া।
১.১৭. ‘ভবিতব্য’ শব্দের ব্যুৎপত্তি হল—
ক) ভব + তব্য, খ) ভবি + তব্য, গ) ভর্ + তব্য, ঘ) ভূ + তব্য
উত্তর : - ঘ) ভূ + তব্য
১.১৮. সমষ্টিবাচক বিশেষ্য পদ কোনটি?
ক) শিক্ষক, খ) দয়া, গ) রাগ, ঘ) জুতো
উত্তর : - "ক) শিক্ষক" একটি সমষ্টিবাচক বিশেষ্য পদ, কারণ 'শিক্ষক' শব্দটি দ্বারা একাধিক শিক্ষক বা একটি শিক্ষকের সমষ্টিকে বোঝানো যেতে পারে, যেমন একটি 'শিক্ষক' বা 'শিক্ষকমণ্ডলী'। অন্যান্য বিকল্পগুলো হলো 'খ) দয়া' (ভাববাচক বিশেষ্য), 'গ) রাগ' (ভাববাচক বিশেষ্য), এবং 'ঘ) জুতো' (বস্তুবাচক বিশেষ্য)।
২. কমবেশি ১৫টি শব্দে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও : (১ × ১৮ = ১৮)
২.১. ‘উলটিয়া পড়ে শস্যা’ — শস্য কেন ‘উলটিয়া পড়ে’?
উত্তর : - 'কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি' কবিতায় দেবী চণ্ডীর ছলনার কারণে প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে জমির শস্য উলটে পড়ে, কারণ শক্তিশালী ঝড়বৃষ্টির প্রভাবে মাটির উপর থেকে শস্য উপড়ে যায়।
২.২. ধীবর কোথা থেকে শকুন্তলার আংটি পেয়েছিল?
উত্তর : - ধীবর একটি রুই মাছ ধরে এবং মাছটি কাটার সময় শকুন্তলার সেই আংটিটি খুঁজে পায়, যা শকুন্তলার হাত থেকে নদীতে পড়ে গিয়েছিল।
২.৩. “অতিথিরা বিস্মিত।” — বিস্ময়ের কারণ কী?
উত্তর : - লিও তলস্তয় রচিত 'ইলিয়াস' গল্পে অতীতজীবনের সুখ এবং বর্তমানজীবনের দুঃখের দিক থেকে জীবন সম্পর্কে ইলিয়াস দম্পতির উপলব্ধিরকথা জানতে চেয়েছিলেন মহম্মদ শার বাড়িতে আগত একজন অতিথি। এর উত্তরে ইলিয়াসের স্ত্রী শাম-শেমাগি তাঁদের জানায় যে পঞ্চাশ বছরের দাম্পত্যজীবনে প্রচুর ধনসম্পদের অধিকারী হয়েও তারা সুখ খুঁজে পায়নি। কিন্তু সর্বহারা হয়ে ভাড়াটে মজুরের জীবন কাটানোয় তারা প্রকৃত সুখের সন্ধান পেয়েছে। এই কথা শুনে অতিথিরা বিস্মিত হন।
২.৪. “তা উনি পারতেন।” — ‘উনি’ কী পারতেন?
উত্তর : - অংকের মাস্টারমশাই অঙ্ক না-পারা ছাত্রদের কাঁদতে দেখলে পা ধরে স্কুলের পুকুরে ছুঁড়ে ফেলে দিতে পারতেন।
২.৫. “নূতন আমদানিও বন্ধ করা যাবে না।” — কী আমদানি বন্ধ করা যাবে না?
উত্তর : - বিদেশি দ্রব্যের ব্যবহারের মতাে বিদেশি ভাষাও মাতৃভাষায় থাকবে এবং তাদের মিশ্রণ বন্ধ করা যাবে না—এই প্রসঙ্গে এ কথা বলেছেন লেখক।
২.৬. ‘বাণিজ্য তরী’ কোথায় বাঁধা পড়ে আছে?
উত্তর : - কবির "বাণিজ্য তরী" নোঙরের কাছে, অর্থাৎ বাস্তবের তটে বাঁধা পড়ে আছে, কারণ সংসারের দায়-দায়িত্ব ও মায়া জাল ছিঁড়ে কবি তার স্বপ্নের সাগরে নৌকা ভাসাতে পারেন না।
২.৭. কবি কাকে শান্ত অনুগত বলেছেন?
উত্তর : - 'আকাশে সাতটি তারা' কবিতায় কবি বাংলার সন্ধ্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে কবি বাংলার সন্ধ্যাকে শান্ত, অনুগত ও নীল বলে অভিহিত করেছেন।
২.৮. ‘আবহমান’ শব্দটির অর্থ কী?
উত্তর : - আবহমান কথাটার আক্ষরিক অর্থ হল যা অনন্ত কাল ধরে বহমান।
২.৯. “যত সব বন্দি শালায়”—এখানে কোন্ বন্দিশালার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : - বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘ভাঙার গান’ কবিতায় উল্লিখিত ‘বন্দিশালা’ বলতে ইংরেজদের ভয়ংকর কারাগারকে বুঝিয়েছেন, যেখানে অসংখ্য ভারতীয় বিপ্লবী বন্দি।
২.১০. “তুমি ঠিক সেইরূপ নারী, যাকে আজ প্রয়োজন।” — কাকে উদ্দেশ্য করে স্বামী বিবেকানন্দ একথা বলেছেন?
উত্তর : - মিস নোবেলকে উদ্দেশ্য করে মিস মুলার সম্পর্কে স্বামী বিবেকানন্দ এরূপ মন্তব্য করেছেন ।
২.১১. “কিরণে ভূবন আলো”— কথাটির অর্থ কী?
উত্তর : - “কিরণে ভূবন আলো”— কথাটির অর্থ হলো সূর্যের আলোকরশ্মি পৃথিবীকে আলোকিত করেছে। কবি এখানে বোঝাতে চেয়েছেন যে আলোর স্পর্শে সমগ্র পৃথিবী প্রাণবন্ত, উজ্জ্বল ও সজীব হয়ে ওঠে।
২.১২. “সন্ধ্যাবেলা অফিস থেকে ফিরে এসে দেখেন অবস্থা গুরুতর।"-এই গুরুতর অবস্থাটি কী ছিল?
উত্তর : - ছেলের নিরুদ্দেশের কারণে মা শয্যা ছাড়বেন না পণ করেছিলেন। ছেলে ফেরেনি তাই অবস্থা গুরুতর হয়ে উঠেছিল।
২.১৩. “সে নাই— চলিয়া গিয়াছে।” — কে চলে গেছে?
উত্তর : - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের "রাধারানী" গল্পে আলো জ্বেলে রাধারাণী বাইরে এসে দেখেছিল, মেলার সেই অপরিচিত ভদ্রলোক যিনি বনফুলের মালার দাম বাবদ পয়সার বদলে টাকা দিয়েছেন, তিনি চলে গেছেন।
২.১৪. “আজ থেকে তোমার সঙ্গে আমার আর কোন সংস্রব রইল না।” — কে একথা বলেছিলেন?
উত্তর : - তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় -এর লেখা চন্দ্রনাথ গল্পে এই কথা নিশানাথ বাবু বলেছিলেন।
২.১৫. “এ ঋণ আমরা কোনদিন শোধ করতে পারব না।” — কোন ঋণের কথা বক্তা উল্লেখ করেছেন?
উত্তর : -
২.১৬. স্বরভক্তির অপর নাম কী?
উত্তর : - স্বরভক্তির অপর নাম হলো বিপ্রকর্ষ। একে মধ্য স্বরাগম ও বলা হয়, যার অর্থ হল শব্দের মধ্যে যুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির সুবিধা বা উচ্চারণের সুবিধার জন্য স্বরধ্বনির আগম বা সংযোগ।
২.১৭. 'সু' উপসর্গটি দ্বারা নতুন শব্দ তৈরি কর।
উত্তর : - সু' উপসর্গটি ব্যবহার করে বিভিন্ন নতুন শব্দ তৈরি করা যায়, যেমন: সুপ্রভাত (ভালো সকাল), সুস্থ (ভালো স্বাস্থ্যযুক্ত), সুকাজ (ভালো কাজ), সুখবর (ভালো খবর) এবং সুন্দর (ভালো রূপযুক্ত)।
২.১৮. 'ভারতবর্ষ' এটি কোন ধরনের বিশেষ্য?
উত্তর : - 'ভারতবর্ষ' একটি সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য। এটি একটি নির্দিষ্ট দেশ বা স্থানের নাম বোঝায়, তাই এটি সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্যের অন্তর্ভুক্ত।
৩. কমবেশি ৬০ শব্দে নীচের যে কোন একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : (১ × ৩ = ৩)
৩.১. “এইটুকুই আমার নগদ লাভ”—বক্তা কে? এই উক্তিতে ‘নগদ লাভ’ কথাটির তাৎপর্য কী?
৩.২. “এ অশান্তির চেয়ে বনবাস ভালো”— কে কখন এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে?
৪. কমবেশি ৬০ শব্দে নীচের যে কোন একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : (১ × ৩ = ৩)
৪.১. “আছক শস্যের কার্য হেজ্যা গেল ঘর।” — প্রসঙ্গ উল্লেখ করে উদ্ধৃতিটি ব্যাখ্যা করো।
৪.২. “পৃথিবীতে কত দ্বন্দ্ব, কত সর্বনাশ।” — একথা বলে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?
৫. কমবেশি ৬০ শব্দে নীচের যে কোন একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : (১ × ৩ = ৩)
৫.১. “নোঙরের কাছি বাঁধা তবু এ নৌকা চিরকাল।” — নৌকা কেন চিরকাল নোঙরের কাছিতে বাঁধা?
৫.২. “পৃথিবীর কোন পথ এ কন্যারে দেখে নি কো”— কবির বক্তব্য বিশ্লেষণ করো।
📚 নবম শ্রেণী – 3rd Unit Test
✨ সব বিষয়ের 4 টি করে সেট প্রশ্নপত্র + উত্তরপত্র
⬇️ এখনই সংগ্রহ করুন : - Get Now
৬. কমবেশি ৬০ শব্দে নীচের যে কোন একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : (১ × ৩ = ৩)
৬.১. “শকুন্তলা অপমানিতা হলেন রাজসভায়।” — শকুন্তলা কে? শকুন্তলার অপমানের কারণ কী ছিল?
৬.২. “ইলিয়াসের বাড়ি থেকে তাদের তাড়িয়ে দেওয়া হলো।” — কাদের, কী কারণে তাড়িয়ে দেওয়া হল?
৭. কমবেশি ৬০ শব্দে নীচের যে কোন একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : (১ × ৩ = ৩)
৭.১. “সংস্কৃত ভাষা আত্মনির্ভরশীল।” — কেন সংস্কৃত ভাষা সম্পর্কে একথা বলা হয়েছে?
৭.২. “…তাঁর সঙ্গে বনিয়ে চলা অসম্ভব।” — কার সঙ্গে কেন বনিয়ে চলা অসম্ভব?
৮. কমবেশি ১৫০ শব্দে নীচের যে কোন একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫ x ১ = ৫
৮.১. ‘চন্দ্রনাথ’ গল্প অবলম্বনে চন্দ্রনাথ চরিত্রের দৃঢ়তা কীভাবে প্রকাশিত হয়েছে তা বর্ণনা কর।
৮.২. “অগত্যা রাধারানী কাঁদিতে কাঁদিতে ফিরিল।” — রাধারানী কে? সে কোথায় কী উদ্দেশে গিয়েছিল? সে কাঁদতে কাঁদতে ফিরল কেন? ১+২+২
৯. কমবেশি ১৫০ শব্দে নীচের যে কোন একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫ x ১ = ৫
৯.১. “নেভে না তার যন্ত্রণা যে। দুঃখ হয় না বাসি / হারায় না তার বাগান থেকে কুন্দফুলের হাসি।” — প্রসঙ্গ সহ দুখ্হ বাসি হয় না কেন লেখো। কুন্দফুলের হাসি কেন হারায় না ?
৯.২. “আমরা বাঙালি বাস করি সেই বাঞ্ছিত ভূমি বঙ্গে।” — কোন প্রসঙ্গে উক্তিটি করা হয়েছে? ‘বাঞ্ছিত ভূমি’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? কবি কেন বঙ্গদেশকে বাঞ্ছিত ভূমি বলেছেন?
১০. কমবেশি ১৫০ শব্দে নীচের যে কোন একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫ x ১ = ৫
১০.১. “এই খেয়া চিরদিন চলে নদীস্রোতে।” — ‘এই খেয়া’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? উদ্ধৃতাংশটির তাৎপর্য আলোচনা করো।
১০.২. “ওরে ও পাগলা ভোলা”— কাদের কবি ‘পাগলা ভোলা’ বলেছেন? তাদের উদ্দেশে কবির বার্তা কী?
১১. কমবেশি ১৫০ শব্দে নীচের যে কোন একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫ x ১ = ৫
১১.১. “যারা দরিদ্র, যারা নিরক্ষর। যারা মাথা উঁচু করে চলতে পারে না। তাদের কথা ভুলিস না।” — উদ্ধৃতাংশটির বক্তা কে? ‘স্বর্ণপর্ণী’ গল্পটি পড়ে এই কথাগুলি যাঁর উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে তিনি কি মনে রেখেছিলেন বলে মনে কর?
১১.২. ‘স্বর্ণপর্ণী’ আবিষ্কারের যে কাহিনী গল্পে রয়েছে, তা সংক্ষেপে নিজের ভাষায় লেখ।
১২. নীচের যে কোন একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৪ x ১ = ৪
১২.১. সন্ধি কাকে বলে? বাংলা সন্ধি কয় প্রকার ও কী কী? প্রতিটির একটি উদাহরণ দাও।
১২.২. প্রত্যয় কয় প্রকার ও কী কী? প্রতিটির একটি করে উদাহরণ দাও।
১৩. নীচের যে কোন প্রশ্নের উত্তর দাও :
১৩.১ ভাবসম্প্রসারণ করো :
“ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়,
পূর্ণিমা চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি। ”
উত্তর : - মানুষের মৌল মানবিক চাহিদার প্রধান উপকরণ খাদ্য। জীবন বাঁচাতে তাই খাদ্য গ্রহণ অপরিহার্য। এই বেঁচে থাকা এবং টিকে থাকার জন্য প্রথমেই দরকার হয় ক্ষুধায় অন্ন। তবে একথাও ঠিক যে, মানুষের বেঁচে থাকা কেবল ক্ষুধা-নিবৃত্তির জন্য নয়। তার মানবিক বৃত্তি আরও নানাভাবে প্রকাশিত হয়। যেমন মানুষ কবিতা পছন্দ করে এবং সংগীতের প্রতি তার অনুরাগ জন্মগত। সে ফুল ভালোবাসে, ভালোবাসে প্রকৃতিকে। ভালোবাসে জ্যোত্মারাত্রি এবং আকাশের চাঁদকে। আকাশের চাঁদ তার কাছে সুখ-স্বপ্নের প্রতীক। ভালোবাসার সঙ্গে এই সৌন্দর্যবোধের সম্পর্ক নিবিড়।
কিন্তু মানুষের এই বোধ ও বৃত্তি সবই অপ্রয়োজনীয় হয়ে যায়, যখন তার ক্ষুধার অন্ন জোটে না। তাছাড়া ক্ষুধার্তের কাছে পৃথিবীর চেহারা একেবারেই আলাদা। তার কাছে পৃথিবী কাব্যময় নয়, একেবারে গদ্যময়। বাস্তবের রুটিই তার কাছে চাঁদের থেকে অধিকতর সুন্দর। একটুকরা ঝলসানো রুটি পেলেই কৃতার্থবোধ করে। কবিতার বিলাসিতা এবং পূর্ণিমা চাঁদের শোভা সে বুঝতে চায় না, পারেও না। কবির দেখা পূর্ণিমার চাঁদ তাই তার কাছে ঝলসানো একখণ্ড রুটির প্রতীক। ক্ষুধিত মানুষের ক্ষুধার আবেদন চিরন্তন।
১৩.২ সারাংশ লেখো :
তখনকার কথা যতই ভাবি আমার একটি কথা কেবলই মনে হয়, তখনকার দিনে মজলিস বলিয়া একটি পদার্থ ছিল, এখন সেটা নাই। পূর্বেকার দিনে যে একটা নিবিড় সামাজিকতা ছিল আমরা যেন বাল্যকালে তাহারই শেষ অস্তচ্ছটা দেখিয়াছি। পরস্পরের মেলামেশাটা তখন খুব ঘনিষ্ঠ ছিল। সুতরাং মজলিশ তখনকার কালের একটা অত্যাবশ্যক সামগ্রী। যাঁহারা মজলিশ মানুষ ছিলেন তখন তাঁহাদের বিশেষ আদর ছিল। এখন লোকেরা কাজের জন্য আসে, দেখাসাক্ষাৎ করিতে আসে, কিন্তু মজলিশ করিতে আসে না। লোকেদের সময় নাই এবং সে ঘনিষ্ঠতা নাই। তখন বাড়িতে কত লোকের আনাগোনা দেখিতাম, হাসি এবং গল্পে বারান্দা ও বৈঠকখানা মুখরিত হইয়া থাকিত। চারিদিকে সেই নানা লোককে জমাইয়া তোলা, হাসি গল্প জমাইয়া তোলা, এ একটা শক্তি। সেই শক্তিটাই কোথায় অন্তর্ধান করিয়াছে।
উত্তর : - লেখক অতীতের কথা স্মরণ করে বলেছেন যে, তখনকার দিনে “মজলিস” বা মিলনসভার প্রচলন ছিল, যা সামাজিক জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল। মানুষের মধ্যে নিবিড় ঘনিষ্ঠতা ছিল এবং বাড়ি সব সময় আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের আনাগোনায় মুখরিত থাকত। হাসি-আড্ডা-গল্প জমিয়ে তোলার যে শক্তি ছিল, আজকের দিনে তা হারিয়ে গেছে। এখন মানুষ শুধু কাজের জন্য আসে, কিন্তু আন্তরিক মেলামেশার সেই আনন্দ আর নেই।
১৩.৩ ভাবার্থ লেখো :
তোমার কাছে আরাম চেয়ে পেলেম শুধু লজ্জা,
এবার সকল অঙ্গ ছেয়ে পরাও রণসজ্জা।
ব্যাঘাত আসুক নব নব— আঘাত খেয়ে অচল রব,
বক্ষে আমার দুঃখে তব বাজবে জয়ডঙ্ক,
দেব সকল শক্তি, লব ভয় তব শঙ্খ।
১৩.৪ প্রদত্ত সূত্র অনুসারে গল্প লেখো : -
রাজা সভাকবি নির্বাচন করবেন – কবিদের বন্দি করলেন মুক্তির শর্ত একটাই -- কবিতা লেখা ছাড়তে হবে তাঁদের মধ্যে তিনজন লুকিয়ে কবিতা লিখলেন –এই তিনজনকে রাজা তাঁদের বিপুল অর্থ দিয়ে পুরস্কৃত করলেন – রাজার আদেশ অমান্য করে একজন প্রকাশ্যে কবিতা লিখলেন – বিদ্রোহী কবি গ্রেপ্তার হলেন – রাজা তাঁকেই সভাকবি নিযুক্ত করলেন।
উত্তর : - সভাকবি নির্বাচন
অনেক দিন আগের কথা। এক রাজ্যে এক রাজা বাস করতেন। তাঁর সভায় একসময় অনেক বিখ্যাত কবি ছিলেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা সবাই একে একে পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন। এরপর আর কোনো ভালো কবি রাজা খুঁজে পেলেন না। তাই তিনি স্থির করলেন, আবার নতুন করে সভাকবি নির্বাচন করবেন।
রাজা ঘোষণা করলেন যে তাঁর রাজ্যের সমস্ত কবিকে বন্দি করা হবে। আদেশ মতো সব কবিকে ধরে আনা হল। তারপর রাজা জানালেন, “যে কবি কবিতা লেখা ছেড়ে দেবে, তাকেই মুক্তি দেওয়া হবে এবং প্রচুর অর্থ পুরস্কার দেওয়া হবে।”
অর্থের লোভে এবং মুক্তির আশায় অনেক কবি কবিতা লেখা ছেড়ে দিলেন। তাঁদের মধ্যে আবার তিনজন কবি লুকিয়ে কবিতা লিখতে থাকলেন। খবর পেয়ে রাজা খুবই আনন্দিত হলেন। তিনি বুঝলেন, এঁরা সত্যিই কবিতার প্রতি নিবেদিতপ্রাণ। তাই রাজা সেই তিনজন কবিকে প্রচুর অর্থ দিয়ে পুরস্কৃত করলেন।
এমন সময় এক বিদ্রোহী কবি প্রকাশ্যে কবিতা লিখতে শুরু করলেন। তিনি রাজার আদেশ অমান্য করলেন বলে ধরা পড়লেন। তাঁকে সামনে এনে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বিনয়ের সঙ্গে বললেন— “মহারাজ, আমি অর্থ চাই না। কিন্তু কবিতা না লিখে আমি এক মুহূর্তও বাঁচতে পারব না। কবিতা আমার প্রাণ।”
রাজা তাঁর কথা শুনে অত্যন্ত খুশি হলেন। তিনি বুঝলেন, কবিতার জন্য এত বড় ত্যাগ কেবল সত্যিকারের কবিই করতে পারে। তাই রাজা সেই বিদ্রোহী কবিকেই তাঁর সভাকবি হিসেবে নিয়োগ করলেন।
১৪. নীচের যে কোন একটি বিষয়ে প্রবন্ধ রচনা করো : (৮)
১৪.১. বাংলার উৎসব ।
১৪.২. বিজ্ঞান ও কুসংস্কার ।
১৪.৩. পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার ।
১৪.৪ ইন্টারনেট ও আধুনিক জীবন ।
Enter Your Comment