দশম শ্রেণির বাংলা টেস্ট পরীক্ষার নমুনা প্রশ্নপত্র ও উত্তর
ক্লাস 10 বাংলা প্রশ্ন উত্তর 2025 ও মাধ্যমিক পরীক্ষার সাজেশন
যেসব শিক্ষার্থী ক্লাস 10 বাংলা প্রশ্ন উত্তর 2025 খুঁজছেন, তাদের জন্য এই আর্টিকেল বিশেষভাবে সহায়ক। এখানে দেওয়া হয়েছে Class 10 Bangla Madhyamik Test Exam Question Paper 2025 এবং মাধ্যমিক বাংলা 2025 পরীক্ষার সম্ভাব্য প্রশ্ন উত্তর। পরীক্ষার্থীরা সহজে পড়াশোনা করার জন্য পাবে Class 10 3rd Unit Test Question Paper 2025 ও দশম শ্রেণির বাংলা প্রশ্নের উত্তর। এছাড়াও থাকছে গুরুত্বপূর্ণ Class 10 3rd Summative Bengali Suggestion 2025, যা মূল পরীক্ষার জন্য অনুশীলন করতে সাহায্য করবে। যারা মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্ন 2025 বা Class 10 Bengali Third Unit Test Question Paper 2025 MCQ খুঁজছেন, তারাও এখানে নির্ভরযোগ্য সাজেশন ও সমাধান পাবেন।
WBBSE Class 10 Bengali 3rd Unit Test and Final Suggestions Question Paper
১. সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো : ১ × ১৭ = ১৭
১.১ "তা জানে না তপন।" — তপন যা জানে না তা হল—
ক) তার মেসোমশাই একজন লেখক।
খ) লেখকেরা তার বাবা, ছোটোমামা ও মেজকাকুর মতোই সাধারণ মানুষ।
গ) গল্প সহজে মানুষই লিখতে পারে।
ঘ) কেন আজ তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন
উত্তর : - ঘ) কেন আজ তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন
১.২ ".........বলিতে বলিতে গিরীশ মহাপাত্র সম্মুখের দিকে অগ্রসর হইয়া গেল।" -
ক) হরি হরি
খ) রাম রাম
গ) হরে কৃষ্ণ
ঘ) নমস্কার।
উত্তর : - খ) রাম রাম
১.৩ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম প্রকাশিত উপন্যাসটি হল—
ক) পুতুল নাচের ইতিকথা
খ) পদ্মানদীর মাঝি
গ) দিবারাত্রির কাব্য
ঘ) জননী
উত্তর : - ঘ) জননী
১.৪ "অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান" কবিতার শেষ পদটি হল—
ক) অস্ত্র ফেলো পায়ে
খ) অস্ত্র রাখো পায়ে
গ) অস্ত্র রাখো গানের পায়ে
ঘ) অস্ত্র রাখো গানের দু’টি পায়ে।
উত্তর : - ঘ) অস্ত্র রাখো গানের দু’টি পায়ে।
১.৫ "আমাদের ঘর গেছে" —
ক) ভেঙে
খ) উড়ে
গ) পুড়ে
ঘ) সবগুলি ঠিক।
উত্তর : - খ) উড়ে
১.৬ "কহিলা রাক্ষসপতি" — রাক্ষসপতি কী বলেছিল?
ক) রাক্ষস-কুল শেখর তুমি, বৎস।
খ) এ কাল সমরে, নাহি চাহে প্রাণ মম পাঠাইতে তোমা বারংবার।
গ) কে কবে শুনেছে, লোক মরি পুনঃ বাঁচে?
ঘ) কুম্ভকর্ণ, বলী ভাই মম।
উত্তর : - ঘ) কুম্ভকর্ণ, বলী ভাই মম।
১.৭ "তুমি সবল, আমি দুর্বল। তুমি সাহসী, আমি ভীরু। তবু যদি আমাকে হত্যা করতে চাও, আচ্ছা, তবে তা-ই হোক।" — উক্তিটি করেছেন—
ক) মপাসাঁ
খ) গোটে
গ) আর্থার রিমবন্ড
ঘ) হেমিংওয়ে
উত্তর : - গ) আর্থার রিমবন্ড
১.৮ শিক্ষিত ঘরে কিংবা অফিসে আদালতে টেবিল থেকে উধাও —
ক) পালকের কলম
খ) খাগের কলম
গ) ফাউন্টেন পেন
ঘ) দোয়াত কলম
উত্তর : - ঘ) দোয়াত কলম
১.৯ "Connotation" শব্দটির বাংলা প্রতিশব্দ হল—
ক) অর্থপ্রসার
খ) অর্থব্যাপ্তি
গ) অর্থ সংক্রামক
ঘ) অর্থ প্রসারক
উত্তর : - খ) অর্থব্যাপ্তি
১.১০ অনুসর্গ কয় প্রকার?
ক) দুই প্রকার
খ) তিন প্রকার
গ) চার প্রকার
ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তর : - ক) দুই প্রকার
১.১১ ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে সমাস —
ক) দুই প্রকার
খ) তিন প্রকার
গ) চার প্রকার
ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তর : - খ) তিন প্রকার
১.১২ ‘পাড়া-পড়শি মায়ের দল পাঠানের গল্প শোনার জন্য ঘিরে দাঁড়াল।’ — বাক্যটিতে মূল উদ্দেশ্য হল—
ক) মায়ের দল
খ) পাড়া-পড়শি
গ) দল
ঘ) মায়ের
উত্তর : - গ) দল
১.১৩ কর্তৃবাচ্যের ক্রিয়াপদটি সকর্মক হলে মুখ্যকর্মের বিভক্তি হয়—
ক) কে
খ) শূন্য
গ) র
ঘ) এ
উত্তর : - খ) শূন্য
১.১৪ যে বাচ্যে কর্ম কর্তার ন্যায় আচরণ করে তাকে বলে—
ক) কর্তৃবাচ্য
খ) কর্মবাচ্য
গ) ভাববাচ্য
ঘ) কর্মকতৃবাচ্য
উত্তর : - ঘ) কর্মকতৃবাচ্য
১.১৫ "মানুষকে সাহায্য করো, এটাই জীবনের ধর্ম।" — 'মানুষকে সাহায্য করো' অংশটি হল—
ক) বাক্যাংশ কর্তা
খ) বাক্যাংশ কর্ম
গ) উপবাক্যীয় কর্তা
ঘ) উপবাক্যীয় কর্ম
উত্তর : -গ) উপবাক্যীয় কর্তা
১.১৬ "নদীর জল মচকা ফুলের পাপড়ির মতো লাল" — 'নদীর জল' অংশটি হল—
ক) উপমেয়
খ) উপমান
গ) উপপদ
ঘ) ক ও গ ঠিক।
উত্তর : - ক) উপমেয়
১.১৭ বাক্যের ভাব অনুসারে অনুজ্ঞাবাচক বাক্যের কয়টি রূপ?
ক) কোনো রূপ নেই
খ) দুইটি রূপ
গ) তিনটি রূপ
ঘ) চারটি রূপ
উত্তর : - খ) দুইটি রূপ
২. কম-বেশি ২০টি শব্দের মধ্যে উত্তর দাও : ১ x ১৯ = ১৯
২.১ (যে কোনো ৪টি প্রশ্নের উত্তর দাও)
২.১.১ "নতুন মেসোকে দেখে জানল সেটা।" — তপন নতুন মেসোকে দেখে কী জানতে পেরেছিল?
উত্তর : - আশাপূর্ণা দেবীর লেখা 'জ্ঞানচক্ষু' গল্পে তপন ছোটো থেকেই বহু গল্প শুনেছে ও পড়েছে । কিন্তু সে জানত না যে , সাধারণ মানুষ সহজেই তা লিখতে পারে । নতুন মেসোকে দেখে সেটাই জানল ।
২.১.২ "এটা একটা বহুরূপী নাকি?" — কোন প্রসঙ্গে উক্তিটি করা হয়েছে?
উত্তর : - সুবোধ ঘোষের লেখা 'বহুরূপী' গল্পে হরিদা যখন বাইজির বেশে দোকানদারদের থেকে টাকা রোজগার করছিলেন, সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই উক্তিটি করা হয়েছে।
২.১.৩ "তা স্বীকার করতে হবে।" — কী স্বীকার করতে হবে?
উত্তর : - বাবুটির স্বাস্থ্য গেছে , কিন্তু শখ ষোলোআনাই বজায় আছে এটাই স্বীকার করার কথা বলা হয়েছে।
২.১.৪ "ইসাবের মনে পড়ল" — ইসাবের কী মনে পড়েছিল?
উত্তর : - পান্নালাল প্যাটেলের লেখা 'অদল বদল' গল্পে ইসাবের মনে পড়ল যে , সে দেখেছে অমৃতের বাবা অমৃতকে মারতে গেলেই তার মা তাকে আড়াল করেন ।
২.১.৫ ‘নদেরচাঁদ স্তম্ভিত হইয়া গেল।’ – স্তম্ভিত হল কেন?
উত্তর : - নদেরচাঁদের স্তম্ভিত হওয়ার কারণ হল – পাঁচদিন আগে যে নদী ঘোলা জলে চঞ্চল ছিল, আজ সেই নদী যেন পাগল হয়ে উঠেছে। তার চারিদিক গাঢ়তর ঘোলা জল এবং ফেনায় পরিপূর্ণ হয়ে আছে।
২.২ (যে কোনো ৪টি প্রশ্নের উত্তর দাও)
২.২.১ "বছরগুলো নেমে এল তার মাথার ওপর।" — কীভাবে নেমে এসেছিল?
উত্তর : - কবি পাবলো নেরুদা রচিত ‘অসুখী একজন’কবিতায় কথকের জন্য অপেক্ষারতা নারীর ‘মাথার ওপর’ বছরগুলো পাথরের মতো নেমে এসেছিল।
২.২.২ ‘আমাদের পথ নেই কোনো’ — এই কথাটি কেন বলা হয়েছে?
উত্তর : - এই কথাটি বলা হয়েছে কারণ কবি শঙ্খ ঘোষ এখানে সমাজের প্রতিকূল ও অস্থির পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন যেখানে মানুষের সামনে কোনো সুস্পষ্ট পথ বা দিশা নেই। যুদ্ধ, দাঙ্গা, রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা মানুষের জীবনকে বিপন্ন করে তুলেছে। তাই মানুষের সামনে বেঁচে থাকার কোনো সহজ বা পরিষ্কার পথ নেই।
২.২.৩ "দ্বাদশ রবির বহ্নিজ্বালা" — দ্বাদশ রবির নাম লেখো।
উত্তর : - কবি বলেছেন – “দ্বাদশ রবির বহ্নিজ্বালা ভয়াল তাহার নয়নকটায়”। এই ‘দ্বাদশ রবি’ হল পুরাণের বারোটি সুর্য, যাদের তেজ মিশে আছে সেই ভয়ংকরের চোখে। যাদের নাম হলো: অর্যমা, পূষা, ত্বষ্টা, সবিত্র, ভগ, ধাত্রী, দক্ষ, বিষ্ণু, বরুণ, মিত্র, অংশ, ও বিবস্বান বা সূর্য।
২.২.৪'এ কলঙ্ক, পিতঃ, ঘুষিবে জগতে।’ – কোন্ কলঙ্কের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : - এ কলঙ্ক বলতে মেঘনাদের কাছে বোঝানো হয়েছে যে, তার পিতা রাবণ বর্তমানে যুদ্ধ করতে গেছেন। মেঘনাদের মতে, একজন সক্ষম পুত্রের অবস্থায় পিতাকে যুদ্ধক্ষেত্রে যেতে হবে, এটা তার জন্য কলঙ্কের মতো। অর্থাৎ, পুত্রের অনুপস্থিতিতে পিতার যুদ্ধ যাত্রা মেঘনাদের কাছে লজ্জাজনক ও কলঙ্কজনক মনে হয়।
২.২.৫ আফ্রিকা নিভৃত অবকাশে কী করেছিল?
উত্তর : - সমুদ্র যখন পূর্বাঞ্চলীয় ভূখণ্ড থেকে আফ্রিকাকে বিচ্ছিন্ন করেছিল তখন অরণ্যের অন্ধকারে আফ্রিকা দুর্গমের রহস্য সংগ্রহে ব্যস্ত ছিল ।
২.৩ (যে কোনো ৩টি প্রশ্নের উত্তর দাও)
২.৩.১ ‘এই ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয়।’ – কোন ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয় বলেছেন লেখক?
উত্তর : - অনেকের মতে, বিজ্ঞান আলোচনায় পারিভাষিক শব্দ বাদ দিয়ে সাধারণ শব্দ ব্যবহার করলে রচনা সহজ হয়। কিন্তু এই ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয়।
২.৩.২ "The atomic engine has not even reached the blue print stage," — বাক্যটির যথার্থ বাংলা অনুবাদ কী হওয়া উচিত ।
উত্তর : - উপরোক্ত ইংরেজি বাক্যটির যথার্থ বাংলা অনুবাদ হওয়া উচিত — ‘ পরমাণু ইঞ্জিনের নকশা পর্যন্ত এখনও প্রস্তুত হয়নি ।
২.৩.৩ সুভো ঠাকুরের পুরো নাম কী?
উত্তর : - সুভো ঠাকুর , পুরো নাম সুভগেন্দ্রনাথ ঠাকুর ( বাংলা : সুভো ঠাকুর) (জানুয়ারি 3, 1912 - 17 জুলাই, 1985), ছিলেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রপৌত্র।
২.৩.৪ ‘ বাংলায় একটা কথা চালু ছিল— কথাটি কী ?
উত্তর : -পাঠ্য রচনা অনুসারে চালু কথাটি হল , ‘ কালি নেই , কলম নেই , বলে আমি মুনশি ।
২.৪ (যে কোনো ৮টি প্রশ্নের উত্তর দাও)
২.৪.১ "নির্দেশক" শব্দটির ব্যুৎপত্তি কী?
উত্তর : - "নির্দেশক" শব্দটির ব্যুৎপত্তি হলো —
নি + নির্দেশ + ক
এখানে "নি" উপসর্গ, "দিশ্/দিশা" ধাতু (অর্থাৎ দিক দেখানো), এবং "ক" প্রত্যয় যোগে গঠিত।
নির্দেশক শব্দের অর্থ হলো যিনি দিক নির্দেশ করেন বা নির্দেশ দেন, অর্থাৎ পথপ্রদর্শক, উপদেশদাতা বা নির্দেশ প্রদানকারী ব্যক্তি/বস্তু।
২.৪.২ কর্মবাচ্যের দু’টি বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর : - ১) কর্মবাচ্যে কর্তৃবাচ্যের কর্মপদটি কর্তার মর্যাদা পায়। তখন সমাপিকা ক্রিয়াটি তার অনুগত হয়।
যেমন : পিতা পুত্রকে একটি পুস্তক দিলেন (কর্তৃবাচ্য) > পিতা কর্তৃক পুত্রকে একটি পুস্তক দেওয়া হল (কর্মবাচ্য, মুখ্য কর্ম কর্তা হয়েছে) বা পিতা কর্তৃক পুত্র একটি পুস্তক প্রাপ্ত হল (কর্মবাচ্য গৌণ কর্ম কর্তা হয়েছে)।
২) কর্ম যখন কর্তা হয়, তখন বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শূন্য-বিভক্তি হয়, অন্য কোনো বিভক্তি থাকলে, তা লোপ পায়।
যেমন : আমি চিঠি পেয়েছি > আমার চিঠি পাওয়া হয়েছে।
২.৪.৩ সমাস ও সন্ধির মধ্যে একটি সাদৃশ্য লেখো।
উত্তর : - সমাস ও সন্ধি উভয়ের একটি প্রধান সাদৃশ্য হলো, এরা উভয়ই শব্দ বা পদের মধ্যে মিলন ঘটিয়ে শব্দকে সংক্ষিপ্ত ও শ্রুতিমধুর করে তোলে, যা ভাষার সৌন্দর্য ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। যেমন সমাস পদের মিলন ঘটায় এবং সন্ধি ধ্বনির মিলন ঘটায়, কিন্তু দুটো প্রক্রিয়াই একটি নতুন, সংক্ষিপ্ত ও সুন্দর শব্দ তৈরি করে।
২.৪.৪ কালবাচক অপাদান ও কালাত্মক করণের মধ্যে পার্থক্য উদাহরণসহ বোঝাও।
উত্তর : - কালবাচক অপাদান কারক এবং কালবাচক অধিকরণ কারকের মধ্যে মূল পার্থক্য হলো অপাদান কারকে ক্রিয়া সম্পাদনের সময় থেকে বা সময় থেকে বের হয়ে যাওয়া বোঝায়, আর অধিকরণ কারকে ক্রিয়া সম্পাদনের সময় পর্যন্ত বা সময়কালে ক্রিয়াটি ঘটে থাকে। অপাদান কারকে 'থেকে', 'হতে' বিভক্তি যুক্ত থাকে এবং কোনো কিছু হতে বিরত থাকা, উৎপন্ন হওয়া বা বিচ্যুত হওয়া বোঝায়, অন্যদিকে অধিকরণ কারকে 'এ', 'য়', 'তে' বিভক্তি যুক্ত হয়ে ক্রিয়া সম্পাদনের স্থান বা কাল নির্দেশ করে।
২.৪.৫ আসত্তির অপর নাম কী?
উত্তর : - 'আসত্তি'-এর অপর নাম 'নৈকট্য' বা 'সন্নিধি'।
২.৪.৬ "মহাশয় কোথায় থাকেন?" — ভাববাচ্যে পরিবর্তন করো।
উত্তর : - মহাশয়ের কোথায় থাকা হয়
২.৪.৭ "নীললােহিত" শব্দটির ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় করো।
উত্তর : - নীললােহিত = যাহা নীল তাহাই লােহিত—কর্মধারয় সমাস ।
২.৪.৮ "দার্শনিক তাঁকেই বলি - যিনি কানে কলম গুঁজে দুনিয়া খোঁজেন।" — যৌগিক বাক্যে রূপান্তর করো।
উত্তর : - কানে কলম গুঁজেন এবং দুনিয়া খোঁজেন তাঁকেই দার্শনিক বলা হয়।
২.৪.৯ "ব্যবহারে মানুষ চেনা যায়।" — 'ব্যবহারে' পদটির কারক ও বিভক্তি নির্ণয় করো।
উত্তর : - বাক্যটিতে 'ব্যবহারে' পদটির অধিকরণ কারক এবং এ বিভক্তি। কারণ 'কীভাবে' বা 'কিসের দ্বারা' মানুষ চেনা যায়, এই প্রশ্ন করলে 'ব্যবহারে' উত্তর পাওয়া যায়, যা অধিকরণ কারকের বৈশিষ্ট্য।
২.৪.১০ বাক্য ও বাচ্যের মধ্যে মূল পার্থক্য কী?
উত্তর : - বাক্য ও বাচ্য-র মূল পার্থক্য হলো যে, বাক্য হলো একটি সম্পূর্ণ ও অর্থপূর্ণ পদের সমষ্টি, যেখানে একটি সম্পূর্ণ অর্থ প্রকাশ পায়, অন্যদিকে বাচ্য হলো একটি বাক্যের বা ক্রিয়াপদের প্রকাশভঙ্গি বা রূপান্তর, যেখানে কর্তা ও কর্মের ওপর জোর দেওয়া হয়, অর্থাৎ কোনো কর্তা দ্বারা ক্রিয়াটি সম্পন্ন হচ্ছে, নাকি কর্মের দ্বারা ক্রিয়াটি সম্পন্ন হচ্ছে, তা বোঝানো হয়।
৩. প্রসঙ্গ নির্দেশসহ (কম-বেশি ৬০টি শব্দে উত্তর দাও)
৩.১ যে কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৩ x ১ = ৩
৩.১.১ "তাহার পরিচ্ছদের প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া মুখ ফিরাইয়া হাসি গোপন করিল।" — কে হাসি গোপন করল? তার হাসি গোপন করার কারণ কি ছিল ?
৩.১.২ "বোধহয়, এই প্রশ্নের জবাব দিবার জন্যই।" — প্রশ্নটি কী? বক্তা কার কাছ থেকে কীভাবে জবাব পেলেন?
৩.২ যে কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৩ x ১ = ৩
৩.২.১ "সব চূর্ণ হয়ে গেল, জ্বলে গেল আগুনে।" — কী কী চূর্ণ হয়েছিল? এই পরিণতির কারণ কী ছিল ?
৩.২.২ "আসছে নবীন—জীবনহারা অ-সুন্দরে করতে ছেদন।" — উক্তিটির তাৎপর্য লেখো।
৪. কম-বেশি ১৫০ শব্দে যেকোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫ x ১ = ৫
৪.১ 'ও আমাকে শিখিয়েছে, খাঁটি জিনিস কারে বলে।-'খাঁটি জিনিস' বলতে কী বোঝানো হয়েছে?তা কে, কাকে,কীভাবে শিখিয়েছে?
৪.২ ‘আমার বুকের ভিতরেই যে সব তীর্থ’ – কে, কাকে এই কথা বলেছেন? গল্পের আলোকে কথাটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
৫. কম-বেশি ১৫০ শব্দে যেকোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫ x ১ = ৫
৫.১ "সিন্ধুতীরে" কাব্যাংশ অনুসারে পদ্মার চরিত্রটি বিশ্লেষণ করো।
৫.২ "হায় ছায়াবৃতা" — কাকে 'ছায়াবৃতা' বলা হয়েছে এবং কেন? কবি তাঁর সম্পর্কে আর কী বলেছেন কবিতায় ?
৬. কম-বেশি ১৫০ শব্দে যেকোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৪ x ১ = ৪
৬.১ "বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান" প্রবন্ধ অনুসরণে বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার অসুবিধা ও তার থেকে উত্তরণের পথগুলি সংক্ষেপে আলোচনা করো।
৬.২ "আমার মনে পড়ে প্রথম ফাউন্টেন কেনার কথা।" — বক্তা কোথায় ও কবে প্রথম ফাউন্টেন কিনেছিল? তার প্রথম ফাউন্টেন কেনার অভিজ্ঞতাটি বর্ণনা করো।
৭. কম-বেশি ১২৫ শব্দে যেকোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৪ x ১ = ৪
৭.১ "সিরাজদ্দৌল্লা" নাট্যাংশ অনুসরণে সিরাজদ্দৌল্লা চরিত্রটি বিশ্লেষণ করো।
৭.২ "আপনাদের কাছে এই ভিক্ষা যে, আমাকে শুধু এই আশ্বাস দিন।" — বক্তা কার কাছে ভিক্ষা চেয়েছেন? তিনি তাদের কাছ থেকে কি আশ্বাস প্রত্যাশা করেছিলেন ?
৮. কম-বেশি ১৫০ শব্দে যে কোনো দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫ x ২ = ১০
৮.১ "আপনি আমার থেকে চার হাজার গুণ বড়োলোক, কিন্তু চার লক্ষ টাকা খরচ করেও আপনি নিজের শরীরটাকে চাকর বানাতে পারবেন না।" — বক্তা কে?বক্তা কার উদ্দেশে বলেছেন? বক্তা কীভাবে তার প্রমাণ দিয়েছিল?
৮.২ "চ্যাম্পিয়নরা জন্মায়, ওদের তৈরি করা যায় না।" —বক্তা কে ? বক্তব্যটির সত্যতা "কোনি" উপন্যাস অবলম্বনে আলোচনা করো।
৮.৩ কোনির পারিবারিক জীবনের পরিচয় দাও।
৯. চলিত গদ্যে বঙ্গানুবাদ করো : ৪
Home is the first school where the child learns his first lesson. He sees, hears and begins to learn at home. In a good home honest and healthy men are made. Bad influence at home spoils a child.
উত্তর : - গৃহই হল প্রথম বিদ্যালয় যেখানে শিশু তার প্রথম পাঠ গ্রহণ করে। সে দেখে, শুনে এবং গৃহেই শিখতে শুরু করে। উত্তম গৃহে সৎ এবং স্বাস্থ্যবান মানুষ তৈরি হয়। গৃহের কুপ্রভাব একটি শিশুকে নষ্ট করে দেয়।
১০. কম-বেশি ১৫০ শব্দে যেকোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫ x ১ = ৫
১০.১ নারীস্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা দুই বন্ধুর মধ্যে কাল্পনিক সংলাপ লেখো।
উত্তর : -
ঋতু: বিহু, আজকে একটা জ্বলন্ত সামাজিক সমস্যা নিয়ে তোকে বলব।
বিহু: হ্যাঁ, বল, কী নিয়ে?
ঋতু: প্রতিদিনের খবরের কাগজে যে নারীনির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ পাচ্ছে, সেটা কি লক্ষ্য করেছিস?
বিহু: একেবারেই ঠিক বলেছিস। প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও বধূনির্যাতন, যৌন হেনস্থা, এমনকি কন্যাভ্রূণ হত্যার খবর বেরোচ্ছে।
ঋতু: এর বাইরে আরও কত ঘটনা আছে, যা নারীরা নীরব থাকার কারণে প্রকাশই পায় না।
বিহু: সত্যিই তো। রামায়ণ বা মহাভারতে সীতা কিংবা দ্রৌপদীর অবস্থান মনে করলেই বোঝা যায়, পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীরা কেমনভাবে অবহেলিত হয়েছে।
ঋতু: আবার যদি বৈদিক যুগের দিকে তাকাই, তখন তো দেখা যায় মাতৃতান্ত্রিক সমাজের এক ভিন্ন ছবি।
বিহু: তাই ভাবি, আসলে পরিবর্তনটা কোথা থেকে শুরু হল?
ঋতু: এর পেছনে আছে দীর্ঘ ইতিহাস। তবে মূল কারণ নারীর অশিক্ষা আর চেতনার পশ্চাৎপদতা।
বিহু: একদম ঠিক বলেছিস। এখন সময় এসেছে নারীদের শিক্ষার মাধ্যমে তাদের চেতনা জাগ্রত করার।
ঋতু: তবেই প্রকৃত নারীস্বাধীনতা সম্ভব হবে।
বিহু: নারীস্বাধীনতার আসল দিকটাই হলো নারীর চিন্তার স্বাধীনতা, চলার স্বাধীনতা।
ঋতু: আর যদি সেটা বাস্তবায়িত হয়, তবে পরিবারে, সমাজে, রাষ্ট্রে নারী সম্মান ও মর্যাদা পাবে।
বিহু: তবে এটাও মানতে হবে যে প্রশাসন ও আইন ব্যবস্থার সংস্কার ছাড়া নারীস্বাধীনতার পথ আরও কঠিন।
ঋতু: ঠিক, তবে শুধু আইন বা প্রশাসনকে দায়ী করলে চলবে না। নারীর নিজেকেও চিন্তার মুক্তি ও আত্মবিশ্বাস অর্জন করতে হবে।
বিহু: হ্যাঁ, যদি নারী নিজেই সংস্কারের শৃঙ্খল ভেঙে পুরুষতান্ত্রিক বাঁধন অতিক্রম করতে পারে, তবে সেই পথ চলা সফল হবে।
ঋতু: তাই আশা করা যায়, সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি একদিন আমূল বদলাবে এবং নারীস্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেবে।
১০.২ "নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি" — এই বিষয়ে সংবাদপত্রের জন্য প্রতিবেদন লেখো।
উত্তর : - নিজস্ব সংবাদদাতা, হলদিবাড়ী, ২৫শে জুলাই :
শহরে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে জনমনে তীব্র অসন্তোষের আবহ তৈরি হয়েছে। সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় সামগ্রী। আলুর দাম ইতিমধ্যেই পঞ্চাশ টাকার ঘর ছুঁয়েছে, অন্য সবজি কিনতেও মধ্যবিত্তদের নাজেহাল হতে হচ্ছে। শুধু সবজি নয়, ডাল, তেল, মশলা, দুধ থেকে শুরু করে কসমেটিক্স—সব কিছুরই দাম যেন নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে উঠেছে। এ বিষয়ে কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের তরফে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না। রাজনৈতিক মহলও দোষারোপের খেলায় ব্যস্ত থাকলেও বাস্তবে সমস্যার কোনো সমাধান হচ্ছে না। বিরোধী শিবির থেকেও এখনো পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনো আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। ফলে ব্যবসায়ীরা নিজেদের মতো দাম বাড়িয়ে চলেছেন, ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।ক্রমবর্ধমান এই পরিস্থিতিতে সাধারণ জনসাধারণ কমিটি আগামীকাল শহরজুড়ে বিক্ষোভ মিছিল ও পথ অবরোধ করার ডাক দিয়েছে। ফলে পুরো শহরে এক অস্থির পরিবেশ বিরাজ করছে।
১১. (কম-বেশি ৪০০ শব্দে প্রবন্ধ রচনা করো — যে কোনো একটি বিষয়) ১০
১১.১ দেশের উন্নয়নে ছাত্রসমাজ।
১১.২ একজন বাঙালি বিজ্ঞানী।
১১.৩ বাংলার উৎসব।
১১.৪ একটি গাছ , একটি প্রাণ।
Enter Your Comment